সমীক্ষা বলছে ২ থেকে ৪ বছরের বাচ্চারা গুছিয়ে মিথ্যে কথা বলতে ভালোবাসে। আর বাচ্চা মিথ্যে বলছে এসব শোনামাত্রই যে কোনও অভিভাবকই খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাচ্চাকে বকেন, মারধোর করেন।
তবে এই মিথ্যে কথা বলার মধ্যে দিয়েই বাচ্চাদের প্রথম বুদ্ধিবিকাশ হয়। তারা তাদের মনের ভাব গুছিয়ে প্রকাশ করতে পারে। কোনও কাজ একবার না করতে বললে পরক্ষণেই যে তারা সেই কাজ করবে এটা তাদের স্বাভাবিক প্রবণতা। সেখান থেকেই বড়দের সচেতন করতে তারা বানিয়ে কথা বলে। তবে এই মিথ্যে কথা বলার অভ্যেস থাকলে তা মোটেই খারাপ নয়। তবে যা যা খেয়াল করবেন
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই মিথ্যে বলার পরিবর্তন
ফ্রিজ থেকে হঠাৎ করে কেক বের করে খেয়ে নিয়েছে আপনার খুদে। সারা মুখে কেক লেগে, হয়তো বেডারা নিজেও জানে না। তখন খুব লক্ষী হয়ে আপনাকে বলে সে কেক খায়নি। বা সুন্দর সাজানো দেোয়ালে নিজেই রঙের আঁচড় কেটে বলে দাদা করেছে এটা বাচ্চাদের খুবই সাধারণ প্রবণতা।
বাচ্চাদের মধ্যে কোনও রকম জটিলতা থাকে না। তাই এসব ক্ষেত্রে কিছু না বলে বরং ভালো করে বোঝান। ওতেই কাজ হবে। এই নিয়ে অযথা টেনশন করবেন না।
মা-বাবা হিসেবে কখন সতর্ক হবেন
বাচ্চাকে কখনও বেশি প্রশ্রয় দেবেন না। এমনকী দিন দিন নালিশের পরিমাণ বেড়ে চললেও তা অবিলম্বে থামান। সকলেই খুব ভালো নয় আবার খুব খারাপও নয় এই ধারণা মনের মধ্যে গড়ে তুলুন। কিন্তু যদি দেখেন খুব তুচ্ছ বিষয় নিয়েও মিথ্যে বলছে, কারোর বিরুদ্ধে সবসময় অভিযোগ করছে তাহলে তা খতিয়ে দেখুন। কখনই সীমা অতিক্রম করতে দেবেন না। এভাবে বেশিদিন চললে সেখান থেকে মানসিক সমস্যা আসতেও সময় লাগবে না।
অভিভাবক আর শিক্ষককে আলাদা করে চিনতে শেখান
আপনারা দুজনেই বাচ্চাকে শিক্ষা দেবেন, কিন্তু খেয়াল রাখবেন বাচ্চারা যেন আপনাদের একসঙ্গে না গুলিয়ে ফেলে। স্কুলে কোনও শিক্ষক বকাবকি করলে কখনই তিনি যেমন খারাপ নন, তেমনই মা বাড়িতে মারে বলে খারাপ…মায়ের নামে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলা যায় এই অভ্যাস কোনওভাবেই বরদাস্ত করবেন না।
বাচ্চার বেড়ে ওঠায় সাহায্য করুন
বাচ্চাকে তার নিজের মতো করে বড় হতে দিন। জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবেন না। প্রতিদিন যদি মিথ্যে বলা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলে তবে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু ছোট্ট বেলায় যদি ভুল করে বলেও ফেলে তাহলে মাফ করে দিন। কারণ এটা ওর স্বাভাবিক ভাবে বেঁচে ওঠার অন্তরায়।