লন্ডনের দক্ষিণে ক্ল্যাফাম এলাকার একজন বাসিন্দা রোববার বিকালে তার বাড়ির বাগানে রোদ পোহাচ্ছিলেন। বিকাল আনুমানিক পৌনে চারটার দিকে তিনি তার চোখের সামনে যা দেখলেন তা তার কল্পনারও অতীত ছিল। তার মাত্র কয়েক গজ দুরে আকাশ থেকে ধপ করে একটি মৃতদেহ এসে পড়ে। রক্তে ভেসে যায় তার বাগানের একাংশ। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হিথরো বিমানবন্দর-গামী কেনিয়ান এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে মৃতদেহটি এসে পড়েছে। এত ওপর থেকে পড়লেও মৃতদেহটি ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়নি। “মৃতদেহটি যে ছিন্নভিন্ন হয়নি তার প্রধান কারণ সেটিকে একটি বরফের দলার মত দেখাচ্ছিল।” পুলিশ বলছে, মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হবে। তবে তারা এই ঘটনার পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র দেখছেন না। কেনিয়ান এয়ারওয়েজ জানিয়েছে, তারা তাদের বিমানটি পরীক্ষা করেছেন। কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের খোপের ভেতর একটি ব্যাগ, পানি এবং কিছু খাবার পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ঐ ব্যক্তি ব্রিটেনে আসার জন্য নাইরোবি বিমানবন্দরে লুকিয়ে ল্যান্ডিং গিয়ারের খোপের মধ্যে গিয়ে উঠেছিল। দূরপাল্লার বিমান আকাশে ওঠার পর ল্যান্ডিং গিয়ারের খোপের ভেতরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৬০ ডিগ্রি পর্যন্ত নীচে নেমে যেতে পারে। সেখানে তখন দীর্ঘক্ষণ বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব। অবতরণের আগে চাকা খোলার জন্য ল্যান্ডিং গিয়ারের ঢাকনা খোলার পর মৃতদেহটি ছিটকে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।