-- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে আটকিয়ে চাঁদা আদায়কালে পুলিশের জালে আটক ৩ ভার্সিটি ছাত্র

0

চট্টগ্রাম, (১১ অক্টোবর ২০১৯ ইং) :  চট্টগ্রামের একটি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিকে আটকিয়ে চাঁদা আদায়কালে বিশ্বকলোনী থেকে ৩ ভার্সিটি  ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে  খুলশী থানা পুলিশ।  শুক্রবার সকালে নগরীর থানার বিশ্বকলোনী ডি-ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ওষুধ কোম্পানির ওই কর্মকর্তাকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আটক তিনজন হলেন- ইফতেখারুল আলম (২৫), মোহাম্মদ তালিম উদ্দিন (২৪) ও সালেহিন আরাফাত (২৮)। ওই তিন যুবকই বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র এবং অভিজাত পরিবারের সন্তান । তারা একটি ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, তিনজনের বাসা নগরীর বিশ্বকলোনী এলাকায়। এর মধ্যে ইফতেখারুল আলম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের  ছাত্র। তালিম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসিতে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। সালেহিন আরাফাত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগেরর শেষ বর্ষের ছাত্র। পাশাপাশি সালেহীন তার বাবার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেন।

ঘটনার শিকার হাসান তারেক (৩৭) নগরীর পাঁচলাইশ থানার রহমান নগরের হাতিম বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা মোফাজ্জল আহমেদের ছেলে। তিনি রেনেটা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, দু’সপ্তাহ আগে হাসান তারেক কোম্পানির কাজে বিশ্ব কলোনীতে যান। সেখানে ইশরাত নামে এক মেয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সেই সূত্রে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রাতে মেয়েটি হাসান তারেককে বিশ্বকলোনীর ডি-ব্লকে তার বাসায় ডেকে নেয়। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ চারজন ইসরাতের বাসায় ঢুকে। এসেই হাসানকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেবে, পুলিশের হাতে তুলে দিবে ইত্যাদি বলে ভয় দেখাতে থাকে। এক পর্যায়ে হাসান বিকাশের মাধ্যমে ২৪ হাজার টাকা এনে দেয়। কিন্তু আসামিরা এত অল্প টাকা নিতে না আপত্তি জানালে হাসান তার বোন শারমিন ফারজানাকে ফোন করে তার দুটি চেক নিয়ে আসতে বলে। ফোনে হাসানের কথাবার্তা শারমিনের সন্দেহ তিনি ৯৯৯ এ জানালে খুলশী থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ আসলে পুলিশ  ইউএসটিসির সামনে অবস্থান নেয়।

পুলিশের কথামতো শারমিন আসামিদের ফোন করে ব্যাংক চেক নিতে আসতে বলে। পুলিশের ফাঁদেই আসামীরা পা রাখলে পুলিশ মো. তালিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে। তালিমের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হাসানকে উদ্ধারসহ আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইসরাত এবং মুহাম্মদ নামের আরও দুজন পলাতক আছেন বলে জানান ওসি। আসামীদের বিরুদ্ধে ভিকটিম হাসানের বোন ফারজানা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান আকবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

## শহীদ, ১১.১০.২০১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.