তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ‘আটমাকা’ সর্বশেষ পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র শিগগিরই তুর্কি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা শিল্পের (এসএসবি) প্রধান ইসমাইল দেমির।
এক টুইট বার্তায় দেমির বলেন, ‘আটমাকা’ এবারের পরীক্ষায় ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের একটি লক্ষ্যে সফলভাবে আঘাত করেছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি শীঘ্রই তুর্কি সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ভাণ্ডারে যুক্ত হবে।
দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম। এটি নৌ বাহিনীকে অত্যাধুনিক সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত এবং ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের প্রতীক হিসেবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
এই অ্যান্টি শিপ মিসাইলটি ২০০৯ সালে প্রথম তৈরির ঘোষণা দেয়া হয় এবং ২০১৮ সালের নভেম্বরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়। ২০১৮ সালে এসএসবি ও রকেস্টান এর মধ্যে মিসাইলটি ব্যাপক আকারে উৎপাদনের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
‘আটমাকা’ মিসাইলটি যে কোন আবহাওয়ায় ব্যবহার যোগ্য, এটি স্থির বা চলমান টার্গেটের বিরুদ্ধেও কার্যকর। প্রতিপক্ষের হামলা প্রতিরোধেও কার্যকর এই মিসাইলটি টার্গেটের বিষয়ে হালনাগাদ থাকা, পাল্টা হামলা, হামলা বাতিলের সক্ষমতাসহ ত্রিমাত্রিক রাউটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপের পরেও এর লক্ষ্য পরিবর্তন করতে পারে। এটি বৈদ্যুতিক জ্যামিংয়ের বিরুদ্ধেও অত্যান্ত কর্যকর।
তুরস্কের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ইস্তাম্বুলে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রতিরক্ষা মেলা, আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা শিল্প মেলায় (আইডিইএফ’১৯) প্রদর্শিত হয়েছিল। #ডেইলি সাবাহ