মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব পাকিস্তানে বেশ কয়েকটি ভারী তুষারপাত ও পাহাড়ি ধসে মারা গেছে ৭৭ জন। আহত হয়েছেন ১’শরও বেশি মানুষ। পাহাড়ী এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতার। পাকিস্তান শাসিত কাশ্মিরে এ দুর্যেোগ নেমে আসে।মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী আহমদ রাজা কাদরী গণমাধ্যমকে জানান, কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে তুষার জলে ডুবে যায়। ফলে বেশিরভাগ লোক মারা যায়। আহত হয়েছেন অনেকে। পাকিস্তানের শাসিত কাশ্মীরের নীলুম উপত্যকায় ভারী তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। আহত ও জলাবদ্ধতার শিকার হওয়া মানুষদের উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারটিতে মুজাফফরাবাদ পৌঁছেছে।
সিএনএন সূত্র জানায়, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ আশঙ্কা রয়েছে যে অনেক লোক এখনও আটকা পড়ে আছে।অসহায় ও কারও সাহা্যে না পেয়েং হতাশ গ্রামবাসীরা তুষারপাতের কবলে পড়ে থাকা লোকদের খোঁজ করার জন্য অনুসন্ধান ও উদ্ধার প্রচেষ্টা চালায়। বেলচার সাহায্যে তারা গর্ত থেকে ানেক মানুষকে বের করে আনেন। পরে জরুরী কর্মীরাও সেকেলে নিয়মে উদ্ধার কাজ চালায়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, এটাকে জাতীয় দুর্যেোগ আখ্যা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, সেনা ও ফেডারেল মন্ত্রীদের ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার আহবান জানান। আহতদের বেশ কয়েকজনকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার দ্বারা চিকিত্সার জন্য এই অঞ্চলের রাজধানী মুজাফফারাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং আরও হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। যাতে উক্ত এলাকার বাসিন্দাদের খাবার ও প্রয়োজনীয় সরবরাহ তরান্বিত করতে পারে।
মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এই অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দার খান ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর প্রশাসন “ক্ষতিগ্রস্থ জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করতে সকল প্রকার প্রচেষ্টা চালাবে।”
২০ বছরের মধ্যে এবারের শীতকালে হিমসাগরগুলি ভয়ংকর হয়ে দেখা দেয় । পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের দৈনন্দিন জীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তুষারপাতের ফলে রাস্তা বন্ধ ছিল, যোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ ছিল এবং বৈদ্যুতিক বিদ্যুত সরবরাহে ব্যাহত হয়।
বছরের এই সময়ের জন্য ভারী তুষারপাত স্বাভাবিক। রাজধানী ইসলামাবাদে জাতীয় আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের পরিচালক জহির আহমেদ বলেছিলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ বছর শীতের তীব্রতা আগের কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি।”###১৫.১.২০২০