কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় কার্যত সুবিধা করতে পারছে না পাকিস্তান। কাশ্মির নিয়ে যখন যুদ্ধের দামামা বাজতে শুরু বরছিল তখন পরমানু যুদ্ধের সম্ভাবনা নেই বলে জানায় পাকিস্তান। কাশ্মীর তাদের ‘শিরায়’ রয়েছে বলে দাবি করলেও আপাতত ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন পাক সেনা মুখপাত্র আসিফ গফুর। তিনি বলেছেন, “আমরা উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। আসলে দুটি পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের যুদ্ধ করার কোনও জায়গা নেই।”
পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে মোদী সরকারের ৩৭০ ধারা রদের তীব্র সমালোচনা করেন আসিফ গফুর। পাক সংবাদপত্র ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লির পদক্ষেপকে ‘অনৈতিক’ বলে মন্তব্য করেছেন পাক সেনার মুখপাত্র। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “পাকিস্তানে শিরায় শিরায় রয়েছে কাশ্মীর। তা রক্ষায় যা যা করা দরকার তা করা হবে।” সম্প্রতি কূলভুষন যাদবের কথা উল্লেখ করে গফুর জানান, ভারত যেনতেন প্রকারে পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে আগ্রহী।
নয়া দিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাক সেনা মুখপাত্র বলেন, “ভারত ভাবছে যুদ্ধ করে আমাদের অর্থনীতি, অস্ত্রভাণ্ডারকে দুর্বল করে দেবে। কিন্তু, যুদ্ধ দেশপ্রেম দিয়েও লড়া যায় তা যেন মনে রাখে ভারত।” মোদী সরকারকে ফ্যাসিবাদের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি, এবং আরএসএসকে ‘নাৎসি বাহিনী’ বলে উল্লেখ করেন। তাঁর অভিযোগ, “দিল্লির সরকার মুসলমান ও দলিতদের উপর অত্যাচার করছে।”
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিযেছিলেন। যদিও সেই দাবি নাকচ করে দেয় নয়াদিল্লি। ভারত জানিয়ে দেয়, হিংসায় মদত ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।
কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা ওঠে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেও মুখ পুড়েছে ইসলামাবাদের। তবে, সেই বৈঠককেই আপাতত ঢাল করতে চাইছে পাকিস্তান। তাদের দাবি, বহু বছর পর কাশ্মীর ইস্যু আলোচনায় এসেছে। যদিও ওই বৈঠকে উপস্থিত ১৫ টি দেশের প্রতিনিধি জানিয়ে দিয়েছেন, কাশ্মীর ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।