এন.এইচ নিরব : ঈদুল আযহা উপলক্ষে করে কামারদের ব্যস্ত সময় পার করতেছে আর চাহিদা বাড়তেছে গ্রাহকদের।এই চিত্র দেখা যায় বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সহ আশেপাশের উপজেলাগুলোতে। কোরবানির অংশ হিসেবে রয়েছে দা, ছুরি, চাকু, চাপাটি সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। পুরো নগরজুড়ে দেখা যাচ্ছে কুরবানীর হাতিয়ারগুলো বানানোর জন্য অগ্রিম টাকা দিচ্ছে আর কেউ বার লোহা দিয়ে বানিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, কেউ বা পুরাতন হাতিয়ারগুলো নতুন করে ঝালাই করে নিচ্ছে।আবার অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে পাইকারি বিক্রি করতেছে।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে কুরবানীর জন্য অত্যাধুনিক যে হাতিয়ার বের হয়েছে। সে সুবাদে কামারদের হাতিয়ার গুলোর পরিবর্তন এখনও আসে নাই সে পুরানো পদ্ধতির মধ্যে থেকে গেছে।
আর মাত্র চার দিন বাকি এই সময়টাতে বাড়তি চাপ বেড়ে যায় কামারদের বছরের প্রায় সময় তাদের হাতে কাজ থাকে খুবই কম কিন্তু এই সময়টাতে তাদের কাজের দ্বিগুনের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। আর তাদের সংসারে সচ্ছলতা ফিরে আসে এ মাসে। এই আয় দিয়ে বাকি একটা বছর পার করে দিতে হবে তাদের। তাই তাদের সংসারের কথা ভেবে তারা দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে।
বিক্রেতা কাঞ্চন কামার জানাই, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা অনেক বেশি থাকে। তাই কাজের চাপও থাকে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুন বেশি। কিন্তু লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আর এই ব্যবসায় আমাদের তেমন একটা লাভ হয় না।
অন্যদিকে শংকর বলেন, ঈদকে ঘিরে কাজের প্রচুর চাপ। মানুষজন তাদের গরু কোরবানি দেয়ার জন্যে ছুরি, চাপাতি, দাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা নিয়ে আসছেন। কাজ বেশি থাকায় লাভও বেশি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
ক্রেতা হোসেন বলেন, প্রতিবছর কোরবানি ঈদের সময় ছুরিসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে পুরনো দা, ছুরি মেরামত করা লাগে সঙ্গে পছন্দমত নতুন ছুরিও বানিয়ে নিয়ে থাকি।
বর্তমানে ধারালো অস্ত্রের মধ্যে বটি প্রকার ভেদে ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, দা ৩শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, বড় আকৃতির ছুরি ৪শ’ থেকে ৮শ’ টাকা, ছোট আকৃতির ছুরি ৫০ থেকে ২শ’ টাকা এবং ধামা ৬শ’ থেকে ৯শ’ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।