মধ্যপ্রদেশে মাঝরাতে কমল নাথ মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ সকলের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার কথা স্বীকার করে অভিযোগ করেছেন, মাফিয়াদের সাহায্যে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ফের নতুন করে মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।
রাতে একসঙ্গে ২২ মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। এর আগে সোমবার সকাল থেকেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে।কংগ্রেসের বিধায়কেরা হঠাত্ করে বেপাত্তা হয়ে যান। এমনকি তারা ফোন ধরাও বন্ধ করে দেন। অতীতেও নানা রাজ্যে একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি কর্নাটকেও এমন নাটক হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে কমল নাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারের এই সংকটের মূল কারণ দলেরই নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলে মনে করা হচ্ছে। খবর, প্রাক্তন সাংসদ সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক, তাদের মধ্যে আবার ৬ জন মন্ত্রীকে বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একটি চ্যাটার্ড বিমানে।
অন্যদিকে দিল্লিতে রয়েছেন গান্ধি পরিবার ঘনিষ্ঠ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং আপোষের চেষ্টায় রয়েছে কংগ্রেস। যদিও এই মুহূর্তে সমাধান সম্ভবত সম্ভব হয়। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, যেভাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দলের নেতাদের বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি ভাঙন চাইছেন। ফিরে আসার কোনো জায়গা সম্ভবত নাও থাকতে পারে মধ্যপ্রদেশে, এমনই আশঙ্কা রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের।
কমল নাথ সরকারের পক্ষে রয়েছে ১২০জন বিধায়ক, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রয়োজন ১১৬জন বিধায়ক, ফলে মাত্র চারটি আসন বেশি রয়েছে তাদের।তারমধ্যে ১১৪ জন কংগ্রেস, দুজন বিএসপি, একজন সমাজবাদি পার্টি এবং চারজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির রয়েছেন ১০৭ জন বিধায়ক, দুটি আসন শূন্য। যদি ১৭ জন বেরিয়ে যান, কর্নাটকের পর, এই নিয়ে দ্বিতীয় রাজ্য হারাবে কংগ্রেস।### সুত্রঃ প্রতিদিনের সংবাদ