-- বিজ্ঞাপন ---

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত সফরের প্রাক্কালে দিল্লীতে মুসলিম বিরোধী আইন বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভ রণক্ষেত্র

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম: নির্ধারিত সময়েই ভারতে পৌঁছলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে আহমদাবাদের সর্দার বল্লভ ভাই বিমানবন্দরে পৌঁছেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিতি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১১.৪০ নাগাদ ভারতের মাটিতে অবতরণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান। কিছু সময়ের অপেক্ষার পর স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুদিনের সফরে সোমবার ভারতে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার দুপুরের আগেই  আহমদাবাদের মাটিতে পা রাখেন  মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ও কন্যা ইভাঙ্কা ও জামাতা জারেদ কুশনার। বাণিজ্য চুক্তির অনিশ্চয়তা, সিএএ-এনআরসি অস্বস্তি নিয়েই তাঁর মুখোমুখি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 ট্রাম্প সফরকালে মুসলিম বিরোধী আইন বাতিলের দাবীতে রণক্ষেত্র রাজধানী দিল্লী

 

 

এদিকে ভারতের প্রচার মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ট্রাম্পের সফরের মাঝেই সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে রণক্ষেত্রে রাজধানী। সোমবার বিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে উত্তর-পূর্ব জাফরাবাদের মৌজপুর ও ভজমপুরা এলাকায়। জানা যাচ্ছে ইটের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে রতনলাল নামে এক পুলিশের হেড কনস্টেবলের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতে পৌঁছার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফের সিএএ বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর-পূর্ব দিল্লি। সোমবার সকাল থেকে অশান্তি ছড়ায় মউজপুর, গোকালপুরি, কবীরনগর-সহ একাধিক এলাকায়। দুপক্ষ একে অপরকে নিশানা করে পাথরবৃষ্টি করে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতে। চলে গুলিও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নামে পুলিশ। আর তখনই পাথরের ঘায়ে জখম হন একাধিক পুলিশ কর্মী। ভারতের কলকাতার বাংলাভাষী পত্রিকা ট্রাম্পের সফরের শুরুতে শিরোনাম দেয় “ আহমদাবাদে ট্রাম্প উৎসব, এদিকে রণক্ষেত্র  দিল্লী”। অপর পত্রিকা শিরোনাম দিয়েছে, “ ট্রাম্প ঘুরছেন আগ্রায়, এদিকে জাফরাবাদে গুলি চালোনোর ঘটনা হল ভাইরাল”। মুসলিম বিরোধী আইন সিএএ ও এনআরসি বাতিলের দাবীতে বিক্ষোভরতদের সরকারের লেলিয়ে দেয়া ক্যাডারদের পুলিশের পাশাপাশি গুলি চালাতে দেখা যায় এবং এএনআই  এর তোলা ছবিটি ভাইরাল হওয়ার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে গুরুতর চোট পান রতনলাল। তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

পরিস্থিতি দেখে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেছেন, দিল্লির বিভিন্ন এলাকায শান্তি ও সম্প্রীতি ব্য়াহত হচ্ছে। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে সম্প্রীতি বজায় রাখার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

 

একের পর এক ভুল উচ্চারণ ট্রাম্পের, হাসির রোল নেট দুনিয়ায়

 

মোতেরায় নিজের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই গোল বাঁধিয়ে ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য রাখতে গিয়ে একাধিক ভারতীয় শব্দের এমন উচ্চারণ করলেন, যা আসল উচ্চারণের থেকে অনেকটাই আলাদা। ট্রাম্পের এই উচ্চারণ বিভ্রাট এখন আলোচনার বিষয় নেট দুনিয়ায়।

মোতেরায় নিজের বক্তব্যে বলিউড থেকে ক্রিকেট, ভারতের বহুত্ববাদ থেকে ভারত-পাক সম্পর্ক, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা থেকে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী। প্রায় সমস্ত বিষয়েই আলোকপাত করার চেষ্টা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এই বিবিধ আলোচনার মাঝে কয়েকটি উচ্চারণ ভুল করে ফেলেছেন তিনি। যা নিয়ে মাতামাতি করছে নেটদুনিয়া।কিন্তু, কী এমন ভুল করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? ট্রাম্পের বক্তব্যে বেশ কিছু ভুল উচ্চারণের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ যুগপুরুষের নামটিও ঠিকমতো উচ্চারণ করতে পারলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ বলতে গিয়ে বললেন, ‘স্বামী বিবেকামন্নন’। একইভাবে তিনি বেদের প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে ‘বেদ’উচ্চারণটাই ভুল করলেন। ‘ভেদাস’বলতে গিয়ে তিনি বললেন ‘ভেস্টাস’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, একজন চা-ওয়ালা থেকে এত বড় দেশের নেতা হওয়াটা মোদির বিরাট কৃতিত্ব। এখানেও ‘চা-ওয়ালা’শব্দটি ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘চা-ওয়ালা’-কে তিনি বললেন ‘চি-ওয়াল্লা।’ শচীন তেণ্ডুলকর নামের উচ্চারণটিও ঠিক করে করতে পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শচীনকে তিনি বলেন ‘সুচ্চিন তেণ্ডুলকর।’ নিজের বক্তব্যে বলিউডের দুটি কালজয়ী সিনেমার নাম নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাতেও একটির উচ্চারণ ভুল। ‘শোলে’ছবির নাম নিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বললেন ‘সোজে’। অবাক করার বিষয়, ট্রাম্প যখন এত ভুল উচ্চারণ করছেন, তখনও হাততালিতে ফেটে পড়েছে মোতেরা স্টেডিয়াম।

তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আমেরিকান ইংরেজিতে সড়গড়। ভারতীয় ভাষা বা ভারতীয় উচ্চারণ সম্পর্কে তাঁর সম্যক জ্ঞান থাকার কথা নয়। কিন্তু, তা বলে স্বামী বিবেকানন্দ, বেদ এবং শচীন তেণ্ডুলকরের মতো শব্দ ভুল বলবেন সেটাও হয়তো প্রত্যাশিত নয়। নেটদুনিয়ার একাংশ বলছে, ট্রাম্প যখন ভারতীয় শব্দগুলি উচ্চারণ করলেনই, তখন আরেকটু ‘হোমওয়ার্ক’ করে এলেই হয়তো ভাল করতেন।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় নিরপেক্ষতার বার্তা

 

ভারতের আজকাল পত্রিকার বলছে, আগেই ইঙ্গিত মিলেছিল ভারত সফরে এসে ভারতের ধর্মীয় নিরপেক্ষতার বার্তা দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেটা যে এভাবে এক লক্ষ দর্শকভরা স্টেডিয়ামে তিনি দিয়ে দেবেন তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তাঁর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। কখন কী করবেন আর কী বলবেন তা বুঝতে পারেন না কেউই। সাম্প্রতিককালে দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, সরকার–বিরোধীদের উপর প্রশাসনিক তাণ্ডবের কারণে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এমনকী ভারতের নাগরিক আইন নিয়ে অসন্তুষ্ট আমেরিকাই। তার মধ্যেই এভাবে এদিন মোতেরার স্টেডিয়ামে এক লক্ষ দর্শকের উপস্থিতিতে ভারতের ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে তুলে ধরে মোদি সরকারকে কিছুটা অস্বস্তিতেই ফেললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। আর মোতেরায় নতুন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনে এসে তাঁরই সম্মানে আয়োজিত ‘‌নমস্তে ট্রাম্প’‌অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে এসে ট্রাম্প বললেন, ‘সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতই একমাত্র দেশ, যেখানে হিন্দু, মুসলিম, ক্রিশ্চান, ইহুদি, জৈন, বৌদ্ধ, শিখরা একসঙ্গে নিজেদের আরাধ্যের প্রার্থনা করতে পারেন। এখানে হোলি, দিওয়ালির মতো উৎসব হয়। ভারতে সবসময় ধর্মীয় নিরপেক্ষতা প্রাধান্য পেয়েছে। ভারত সবার সম্মান রক্ষা করেছে। মানুষের অধিকার রক্ষা করেছে। বিশ্বের কাছে মানবতাকে সম্মান দিয়েছে। এখানে ১০০–র উপর ভাষা আছে। আপনাদের একতা বিশ্বের কাছে উদাহরণ।’

ইসলামাবাদ আমেরিকাকে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ধ্বংস করতে সহায়তা করছে

যে কোনও দেশেরই নিজেদের সীমান্ত রক্ষা করার অধিকার আছে। সোমবার মোতেরায় ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে ভারত–পাকিস্তান সীমান্ত সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে এমনটাই বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘চরমপš’ী ইসলামি সন্ত্রাসবাদের হাত থেকে নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর আমেরিকা এবং ভারত। সন্ত্রাসবাদের যন্ত্রণা কী তা আমরা দুদেশই জানি। ভারত এবং আমেরিকা একজোট হয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করছে এবং তাদের মতাদর্শের বির“দ্ধে লড়ছে’। পাকিস্তানের সঙ্গে এখন আমেরিকার সম্পর্ক অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে এবং তার ফলে ইসলামাবাদ আমেরিকাকে পাকিস্তনের মাটিতে এবং ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে গড়ে ওঠা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে ধ্বংস করতে সহায়তা করছে বলেও এদিন জানান ট্রাম্প।
ইরাক–সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী তাঁর শাসনকালে ১০০ শতাংশ নির্মূল হয়ে গিয়েছে এবং স্বঘোষিত খলিফা আল–বাগদাদিও খতম হয়েছে বলে এদিন দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের মাটিতে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিকেশ করতে পাকিস্তানের সঙ্গেই একযোগে কাজ করছে আমেরিকা।

মোদি এবং ট্রাম্পের সাক্ষাৎ ‘স্বৈরাচারী জোট’ বা ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স

 

কলকাতা থেকে ভোয়ার সাংবাদিক পরমাশিস ঘোষ রায় সফর নিয়ে প্রতিবেদনে জানান,  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগামী দু’দিনের ভারত সফরের আগেই প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস, তাদের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন ভারতে এসেছিলেন, আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেখা করবেন কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের তিন দিন আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহদের সঙ্গে দেখা করার কোনও কর্মসূচি নেই। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের মাটিতে পা রাখার আগেই ট্রাম্পের সফর নিয়ে শুরু প্রতিবাদ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ট্রাম্পের সাক্ষাৎকে ‘স্বৈরাচারী জোট’ বা ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স বলেই ব্যাখ্যা করছেন গুজরাটের বিদ্বজ্জনরা।

কংগ্রেসের সরাসরি প্রশ্ন, এই আড়ম্বর বছরের শেষে আমেরিকার নির্বাচনের প্রচার হয়েই থেকে যাবে না তো? এই ঢাকঢোলের আওয়াজে হারিয়ে যাবে না তো আসল বিষয়গুলি? কংগ্রেস বিদেশ বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতা আনন্দ শর্মা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এইচওয়ান-বি ভিসার সমাধান, সে দেশে কাজ করা পেশাদারদের সামাজিক নিরাপত্তা বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত এবং ভারতের সামগ্রী আমেরিকায় সস্তায় বিক্রির সুযোগ ফেরানোর মতো বিষয় সুনিশ্চিত করা দরকার ভারতের। দেশের সার্বভৌমত্ব, আত্মসম্মান ও রাষ্ট্রহিত যেন বজায় থাকে। কারণ, সফরের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত ভাল ব্যবহার করেনি বলে মন্তব্য করেছেন!’’ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাৎকে ‘স্বৈরাচারী জোট’ বা ফ্যাসিস্ট অ্যালায়েন্স বলেই ব্যাখ্যা করছেন গুজরাটের বিদ্বজ্জনরা। সমাজকর্মী, বিদ্বজ্জন এবং পড়ুয়াদের ১৬০ জনের একটি দল এই মর্মে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। যেখানে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, মোদি-ট্রাম্প জোট শুধু ভারতের জন্যই নয়, গোটা বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এবং গণতন্ত্রে ক্ষয় ধরাতে চাওয়া এই জোটকে আমরা কোনওভাবেই সমর্থন করি না।”

হিন্দিতে ট্যুইট ট্রাম্পের

 

 

ভারতে পৌঁছনোর আগে হিন্দিতে একাধিক টুইট করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছিলেন, ‘মাঝপথে আছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা হবে।’ অবতরণের পর এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বেরিয়ে আসার পরই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উষ্ণ অভ্যর্থনায় দু’জনের বন্ধুত্বের মুহূর্ত আরও একবার ধরা পড়ে। এরপর একে একে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, এদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত-সহ উপস্থিত অন্য অতিথিদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলাপ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

মাঝআকাশ থেকে হিন্দিতে ট্যুইট ট্রাম্পের! ‘ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব দৃঢ় হবে’, বার্তা মোদীর। ট্রাম্প হিন্দিতে লেখেন, ‘আমরা ভারতে আসার জন্য তত্‍পর হয়ে আছি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।’ এর আগে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘ভারত আপনার অপেক্ষায় রয়েছে। আপনার সফর নিঃসন্দেহে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করবে। খুব শিগগিরই অহমদাবাদে দেখা হচ্ছে।’

২৪, ২০২০, ১০:৪৪

ট্যুইটেই পরস্পর সৌজন্য বিনিময় শুরু করে দিলেন মোদী ও ট্রাম্প। রবিবার স্ত্রীকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘মেলানিয়াকে নিয়ে ভারতের দিকে রওনা দিচ্ছি।’

সোমবার সকালে তারই জবাব দিয়ে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। লেখেন, ‘ভারত আপনার অপেক্ষায় রয়েছে। আপনার সফর নিঃসন্দেহে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করবে। খুব শিগগিরই অহমদাবাদে দেখা হচ্ছে।’

 

তাজমহলে সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট  শাহজাহানের কীর্তির তাজমহলের  বিশেষ প্রশংসায় ট্রাম্প

 

ভারতের সৌন্দর্য, সংস্কৃতির প্রতীক তাজমহল। আগ্রায় এসে শাহজাহানের কীর্তির বিশেষ প্রশংসা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সন্ধ্যে ছ’টা পর্যন্ত সপরিবারে তাজমহলে ঘুরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৩৬ ঘণ্টার এই ভারত সফরে বেশ কিছুটা সময় রাখা হয়েছে তাজমহল দর্শনের জন্য। বোঝাই যাচ্ছে, পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের এক আশ্চর্য এই তাজমহল দেখার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ উৎসাহ ছিল। সেকথা অবশ্য তিনি সকালে মোতারে স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময়েই বলেছেন। জানা যাচ্ছে, তাজমহলে ভিজিটরস্ বুকেও নিজের মনের কথা লিখেছেন তিনি। ‘ভারতের সৌন্দর্য, সংস্কৃতির প্রতীক তাজমহল। প্রেরণা দেয় তাজমহল’। প্রথমে বেশ খানিকক্ষণ তাজমহলের সামনের সাজানো বাগানে চলল ফটোশ্যুট। ডোনাল্ড ও মেলানিয়া ট্রাম্প একাধিক ছবি তুললেন তাজমহলকে পিছনে রেখে। কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্পও অতি উৎসাহে স্বামী জ্যারেড কুশনরের সঙ্গে ছবি তুললেন। ওদিকে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি একসঙ্গে তাজমহলের ভিতরে অনেকটা সময় কাটালেন। যমুনার পারের এই আশ্চর্য স্থাপত্যের চারদিকটাই ঘুরে দেখলেন তাঁরা।

সোমবার বিকেলেই আগ্রায় সস্ত্রীক তাজমহল দর্শন সেরে দিল্লি পৌঁছে সেখানেই রাত কাটাবেন। মঙ্গলবার দিল্লিতে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে। সেদিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ রাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সফরে কোনও বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলেও নৌবাহিনীর জন্য ২৪টা অত্যাধুনিক সামরিক যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

## ২৪.০২.২০২০ ইং।

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.