-- বিজ্ঞাপন ---

মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিক চাপ অব্যাহত রাখার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

0

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যসহ সকল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর জোরালো বৈশ্বিক চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার সকালে ব্রিটেনের বৈদেশিক দফতর এবং কমনওয়েলথ কার্যালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এমপি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।

বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

রোহিঙ্গাদের মাঝে বিশেষ করে রোহিঙ্গা তরুণদের মাঝে কাজকর্ম না থাকা এবং তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় হতাশা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা ওই এলাকায় একটি বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করেছে কেননা সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনসাধারণকে ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই স্বার্থন্বেষী মহল তাদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশাকে খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্ষাকালে রোহিঙ্গাদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। অবশ্য সরকার তাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য একটি দ্বীপকে উন্নত করে গড়ে তুলছে।’

সফররত যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রী এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট বোঝা আখ্যায়িত করে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সরকারের কাছে জানতে চান।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

এসময় যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জনের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।

শেখ হাসিনা দুই দেশের পারস্পরিক লাভের স্বার্থেই বাংলাদেশে আরো ব্রিটিশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। তিনি এ সময় ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের আরো বেশি বেশি বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহবান জানান।

মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশেষ করে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে ব্রিটেনের অংশীদারিত্বের কথা পুণর্ব্যক্ত করেন। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটেনের আরো সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন।

বৈঠকে উভয়ে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.