--- বিজ্ঞাপন ---

ক্রাইস্টচার্চে সেই সন্ত্রাসী হামলায় যা বললেন মাশরাফি

0

নিউজ ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়াবহ হামলার নিহত মানুষের সংখ্যা ৪৯ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে দুইজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। এই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
এক মাস আগে বাংলাদেশ দল যখন সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে ক্রাইস্টচার্চে এসেছিল, ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, অনুশীলনের আগে এই মসজিদেই নামাজ পড়েছিলেন মাশরাফি-তামিমরা।
মাশরাফি বিন মর্তুজা ক্রিকেট অঙ্গণে সবারই প্রিয় মুখ। বাংলাদেশ ওয়ানডে দল খেলেছে তারই নেতৃত্বে। সিরিজ শেষ করে তিনি চলে আসেন দেশে। রয়ে যান টেস্ট দলের সদস্যরা।
নিউজিল্যান্ডে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সৌভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছেন তামিম, মুশফিক, মিরাজেরা। মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটাররা। মসজিদের মধ্যে তখনো বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করছিল সন্ত্রাসীরা। তখন তারা দেখতে পান কয়েকজন রক্ত মাখা শরীর নিয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসছেন। এ সময় অজ্ঞাত এক নারী এসে তামিমদের সতর্ক করে জানান যে মসজিদের ভেতরে গোলাগুলি হচ্ছে, ভেতরে যাওয়া বিপদজ্জনক।
নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও।
ক্রিকেটাররা নিরাপদে আছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মাশরাফি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে মাশরাফি লেখেন, নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এছাড়া ক্রিকেটাররা যেন দ্রুত নিরাপদে দেশে ফিরে আসতে পারেন সে জন্য দোয়া কামনা করি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে মাশরাফি লিখেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নূর মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার দুজন বাংলাদেশিসহ অনেক মানুষ নিহত হওয়ার খবর পাচ্ছি। এমন সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।
ঘটনাটি শোনার পর থেকে আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আশা করছি, আমাদের ক্রিকেটাররা দ্রুতই নিরাপদে দেশে ফিরে আসবেন।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় ভয়াবহ বন্দুকধারী সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। অন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্রেইটবার্ট থেকে সংবাদ প্রকাশ হয়। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডান এ হামলাকে নিউজিল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে অন্ধকার দিন বলে উল্লেখ করেছেন।
 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.