--- বিজ্ঞাপন ---

সবার সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে যাবো: নুর

0

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর চায়ের আমন্ত্রণে অংশগ্রহণ বিষয়ে সবাইকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নুর।
আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অনিয়ম কারচুপির পরেও নির্বাচনে বিজয়ীদের প্রধানমন্ত্রী চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এখন সেটা সকলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি একা বললে তো হবে না, এখানে আরো অনেকে রয়েছে যারা স্বতন্ত্রভাবে মেয়েদের হলে নির্বাচিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো রয়েছে। তাদের সাথে কথা বলে এরপর সিদ্ধান্ত জানাতে হবে যে যাবে কিনা।’
নুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়েও তার দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের ছাত্রদের সমস্যা, ছাত্ররা পুনর্নির্বাচন চায়। তো পজেটিভভাবে আমি যাওয়ার পক্ষে। যেন আমরা আমাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরতে পারি। তবে আমি আমার আন্দোলনকারী ভাই বোনদের সাথে কথা বলে এবং যারা এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সাথে কথা বলে ফাইনাল ডিসিশন নেব। কারণ তারা যদি এগ্রি না করে তাহলে তো আমি যেতে পারবো না। আশা করি তারা হয়তো এগ্রি করবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনের নামে সন্ত্রাসীদের হাতে বার বার রক্তাক্ত হয়েছি। তখন আমার এ ভাই-বোনরাই আমার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং তারা না চাইলে দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা দেখা করতে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।’
‘আমার ব্যক্তি ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কিছু ছড়ানো হচ্ছে। আমি আগেও বলছি এখনো বলছি আমি আগে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম। তবে আমি এখন কোনোভাবেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। আমি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। এ পরিষদের পক্ষ হতে আমি ডাকসুতে নির্বাচন করেছি। সুতরাং এখানে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই’, বলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের এ নেতা।
ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি আগে ছাত্রলীগ করেছি। আমার মনে হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে কিছু কাজ আমার নৈতিকতায় সায় দেয় না। সেজন্য আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিততে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি।’
 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.