--- বিজ্ঞাপন ---

একটি মানুষও ক্ষুধার্ত গৃহহারা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

0

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৬শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস, এ দিবস আমরা আগামীকাল উদযাপন করব। বাংলাদেশের মানুষের একেবারে গ্রামের প্রতিটি মানুষের ঘরে যেন স্বাধীনতার সুফল পৌঁছায়, প্রতিটি মানুষ যেন উন্নত জীবন পায়। একটি মানুষও ক্ষুধার্ত থাকবে না, গৃহহারা থাকবে না। বিনা চিকিৎসায় কষ্ট পাবে না। তাদের জীবনটা অর্থবহ হবে, সুন্দর হবে, উন্নত হবে- সেটাই আমাদের লক্ষ্য।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত স্বাধীনতা পদক-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে ২৫শে মার্চ, গণহত্যা দিবস। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল, আমরা লাখো মানুষ হারিয়েছি। কাজেই এ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে যেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় সেটার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে এ স্বাধীনতার সুফল পৌঁছাক। যেটা জাতির পিতার লক্ষ্য ছিল, স্বপ্ন ছিল। তিনি বেঁচে থাকলে আমরা স্বাধীনতার পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যেই তা অর্জন করতে পারতাম। কিন্তু ১৫ই আগস্ট আমাদের সেই সম্ভাবনা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু আজকে যখন আমরা সেই সুযোগ পেয়েছি তার আদর্শ বুকে ধারণ করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানের হাতে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে ১০ই মার্চ মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব (কমিটি ও অর্থনীতি) মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এ বছরে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে পদক প্রাপ্তরা হলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (মরণোত্তর), শহীদ এটিএম জাফর আলম (মরণোত্তর), আ ক ম মোজাম্মেল হক, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. কাজী মিসবাহুন নাহার, আবদুল খালেক (মরণোত্তর) ও অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ (মরণোত্তর), শওকত আলী খান (মরণোত্তর), চিকিৎসাবিদ্যায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা বেগম মনোনীত হন।

এছাড়াও সমাজসেবায় পদক পান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সংস্কৃতিকে মুর্তজা বশীর, সাহিত্যে হাসান আজিজুল হক, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অধ্যাপক ড. হাসিনা খাঁন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে স্বাধীনতা পদক দেয়া হবে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর (মরণোত্তর) পক্ষ থেকে তার ছেলে তানভীর শোভন হায়দার চৌধুরী, শহীদ এ টি এম জাফর আলমের (মরণোত্তর) পক্ষ থেকে তার ভাই অধ্যক্ষ মো শাহ আলম, আবদুল খালেকের (মরণোত্তর) পক্ষে তার সহধর্মিনী সাবিনা খালেক, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের পক্ষে (মরণোত্তর) তার পুত্র মোহাম্মদ জহির, শওকত আলী খানের (মরণোত্তর) পক্ষে তার দৌহিত্র রায়হান হোসেন পুরস্কার গ্রহণ করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা সশরীরে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক বীরেশ কুমার গোস্বামী।

পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সফিউল আলম।

অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.