--- বিজ্ঞাপন ---

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

0

নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সাথে ন্যায্য মূল্য পণ্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। আসন্ন রমজান মাসে কোন পণ্যের বৃদ্ধি পাবে না এবং সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না। চাহিদার তুলনার অনেক বেশি পণ্য মজুত রয়েছে। গত বছরের তুলনায় বর্তমানে অনেক পণ্যের মূল্য কম রয়েছে। সরবরাহ চেইনে কোন সমস্যা নেই। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজান মাসে কোন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সংগত কোন কারণ নেই। পণ্য পরিবহনে যাতে কোন ধরনের চাঁদাবাজি না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না। প্রতিটি জেলার প্রশাসন এ বিষয়ে উপযুক্ত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দায়িত্বশীল আচরণ করে ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎপাদন, আমদানি, মজুত অবস্থা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জ্যোতিময় দত্ত, এফবিসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট মো. সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, টিসিবি এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতিনিধিগণ এবং বিভিন্ন বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুন্শি বলেন, পণ্যের উৎপাদনকারী ও আমদানি কারকগণ পণ্য বিক্রয়ের সময় রশিদ সরবরাহ করবে, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাগণ সে মোতাবেক যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করবেন। কৃত্তিম উপায়ে কোন ধরনের পণ্যের সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অনেক পণ্যের মূল্য গত বছরের তুলনায় কম আছে। আমদানি ও পরিবহন ক্ষেত্রে এসকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলাচল নিশ্চিত করা হবে। কোথাও কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। দেশে উৎপাদিত পণ্য উৎপাদনে যাতে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বাণিজ্য বলেন, সারাজীবন টেবিলের ওই পাশেই বসেছি, মন্ত্রী হয়ে এপাশে আসছি। আমার আচরণ ওই পাশেই থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা দেব, যতটা লজিক্যাল। মানুষের কষ্টের জায়গায়টায় মানুষের কাছে থাকবেন।

তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কথায়-গ্যাসের সাপ্লাই বা চাঁদাবাজি বড় হেডেক। চাঁদাবাজি শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন, কোনো অবস্থাতেই চাঁদাবাজি মানবো না। আমরা সব জায়গায় পয়েন্ট রাখব, ব্যবসায়ীদের যাতে চাঁদাবাজির জন্য ভোগান্তি না হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রংপুরে যে সবজির দাম ১০ টাকা বা ১২ টাকা তা ঢাকায় ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয় চাঁদবাজির জন্য। পথে পথে চাঁদা দিতে হয়। শ্রমিকরা টাকা খায়, পুলিশরা টাকা খায়, অমুক টাকা খায়, তমুক টাকা খায়, বাজার সমিতি টাকা খায়-এসব কথা শুনতে হয়। এক গাড়ি পণ্য আনতে আনতে যে কত টাকা খরচ হয় তার একটা হিসাব ধরিয়ে দেয়, এত জায়গায় এত চাঁদা দিয়ে আসছি। সেটাও তো প্রোডাক্টের ওপর গিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পজিটিভ আছে। আমরা এটা কন্ট্রোল করার চেষ্টা করব।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.