--- বিজ্ঞাপন ---

৩২৪ করেও হারলো মোহামেডান

0

নিউজ ডেস্ক: ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে বড় পুঁজি নিয়ে এবার হার দেখলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। গতকাল মোহামেডানের বিপক্ষে ৩২৪ রান তাড়া করে জয় পায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।  চলতি ঢাকা লীগে এর আগে ৩৩০ রানের পুঁজি নিয়ে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের কাছে হার দেখে ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
বল হাতে ৪৬ রানে ৫ উইকেট, ব্যাট হাতে ১৯ বলে ৩৪। ডানহাতি পেসার দেলোয়ার হোসেনের অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সে গতকাল ডিপিএলে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৩২৪ রান তাড়া করে ২ উইকেটে জিতলো শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। আর দেলোয়ার পেলেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলো শাইনপুকুর। সমান ম্যাচ খেলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা মোহামেডানের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট।
মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে ১১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর। এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়েন আফিফ হোসেন-অমিত হাসান।

দলীয় ২৩৫ রানে অমিত (৪৩) আউট হন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেঞ্চুরি মিস করেন আফিফ। ৮৬ বলে চার বাউন্ডারি ও পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে ৯৭ রান করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। শাইনপুকুরের তখনো জয়ের জন্য ৩৭ বলে ৬৪ রান দরকার। হাতে অবশিষ্ট মাত্র ৩ উইকেট। কিন্তু অষ্টম উইকেটে দোলোয়ার-সোহরাওয়ার্দী শুভর ৩১ বলে ৫৯ রানের জুটিতে ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে শাইনপুকুরের।  এক চার ও তিন ছক্কায় ১৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হন দেলোয়ার। তবে ২৪ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন শুভ। মোহামেডানের পক্ষে অফস্পিনার সোহাগ গাজী ও ভারতীয় পেসার রজত ভাটিয়া ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ৩২৪ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের হয়ে প্রথম চার সারির চার ব্যাটসম্যানই পান ফিফটির দেখা। তবে কেউই ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৮৪ রান করেন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন রকিবুল হাসান। একটা সময় ৩১৫/৫ ছিল মোহামেডানের স্কোরবোর্ড। সেখান থেকে দেলোয়ারের পেস তোপে ৯ রান যোগ করে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় দলটি। শেষ পাঁচ উইকেটের তিনটিই নেন দেলোয়ার।
নাসুম ঘূর্ণিতে গাজীর রুদ্ধশ্বাস জয়
সাভার বিকেএসপি মাঠে ডিপিএলের ৫২তম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ রানে হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। গাজীর জয়ের নায়ক ২৪ বছর বয়সী অফস্পিনার নাসুম আহমেদ। ১৪ বলের ব্যবধানে ব্রাদার্সের শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন তিনি। তাতে ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ব্রাদার্স ৭ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় ১৯৭ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে গাজী ক্রিকেটার্স। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল মেহেদি হাসান (৪৮) দুই অংকের ঘর ছুঁতে পারেন। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ফেরেন শূন্য রানে। তবে
সাতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানি স্পিনিং অলরাউন্ডার কামরান গুলামের ৮২ রানের ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় গাজী। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ রানে থামে দলটি।  ব্রাদার্সের পক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে সফল বোলার বাঁহাতি পেসার সাজেদুল ইসলাম।
২০৭ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৩২.১ ওভারে ১৩২/১ ছিল ব্রাদার্সের স্কোর। এরপর ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকীকে (৭২) ফেরান অফস্পিনার সঞ্জিত সাহা। সিদ্দিকীর বিদায়ের পর থুবড়ে পড়ে ব্রাদার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। সঞ্চিত-নাসুম ঘূর্ণিতে ৬৫ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় দলটি। ৮.৫ ওভার বোলিং করে ৪৯ রানে ৫ উইকেট নেন নাসুম। আর ৪৫ রান খরচায় সঞ্জিত শিকার করেন ৩টি। ম্যাচসেরা হন নাসুম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মোহামেডান-শাইনপকুর
টস: শাইনপকুর, ফিল্ডিং
মোহামেডান: ৪৯.৩ ওভারে ৩২৪ (লিটন ৮৪, ইরফান ৫০, অভিষেক ৫০, রকিবুল ৭৪, সোহাগ গাজী ৪৫; দেলোয়ার ৫/৪৬)
শাইনপুকুর: ৪৯.২ ওভারে ৩২৫/৮ (উন্মুক্ত চাঁদ ৪৯, আফিফ ৯৭, অমিত ৪৩, দেলোয়ার ৩৪, শুভ ৩৪*; গাজী ২/৪০, ভাটিয়া ২/৮০)
ফল: শাইনপুকুর ২ উইকেট জয়ী।
ম্যাচসেরা: দেলোয়ার (শাইনপুকুর)
ব্রাদার্স-গাজী গ্রুপ
টস: ব্রাদার্স ইউনিয়ন (ফিল্ডিং)
গাজী ক্রিকেটার্স: ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ (কামরান ৮১, মেহেদি ৪৮, শামসুল ২২, শামসুর ১২; সাজেদুল ৪/৫৪, মেহেদি ২/২৬)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৮.৫ ওভারে ১৯৭ (জুনায়েদ ৭২, রাব্বী ৩১, ইয়াসির ৩০; নাসুম ৫/৪৯, সঞ্জিত ৩/৪৫, কামরুল  ১/২৯)
ফল: গাজী ৯ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: নাসুম আহমেদ (গাজী)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.