--- বিজ্ঞাপন ---

কংগ্রেস ডুবন্ত টাইটানিকের মতো: মোদি

0

নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জমজমাট ভারত। নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ছাড়ছে না কেউই। কংগ্রেসের আলোচিত রাজনীতিক প্রিয়াংকা গান্ধী ভদ্র এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেছেন, মোদি বিরিয়ানি খান পাকিস্তানে। আলিঙ্গন করেন চীনকে। আর বারানসিবাসীকে ভুলে থাকেন। এর একদিন না যেতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তার সমালোচনার তরবারিতে ধার দিয়েছেন। কংগ্রেসের দিকে তা চালিয়ে দিয়ে বলেছেন, কংগ্রেস হলো ঐতিহাসিক টাইটানিকের মতো একটি ডুবন্ত জাহাজের মতো।

তারা ডুবছে। মধ্যবিত্তের জন্য তাদের কোনোই প্রতিশ্রুতি নেই। তারা শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। এ খবর দিয়েছে ভারতের সরকারি বার্তা সংস্থা পিটিআই।
শনিবার নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রে এক নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। সেখানে কংগ্রেসের দিক থেকে আসা নির্বাচনী চ্যালেঞ্জকে তিনি উড়িয়ে দেন। কংগ্রেস রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার বিরুদ্ধেও সমালোচনা করেন মোদি। তিনি মহারাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নন্দেদ, লাতুর, হিঙ্গোলি ও পরভানি আসনে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে র‌্যালিতে বক্তব্য রাখছিলেন। মোদি বলেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দ্বিতীয় আসনে নির্বাচন করছেন। এক্ষেত্রে তিনি যে আসনটি বেছে নিয়েছেন তা হলো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
কংগ্রেস দল তাদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে দরিদ্রদের জন্য সর্বনি¤œ আয়সীমা নির্দিষ্ট করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর সমালোচনা করেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, মধ্যবিত্তের ওপর অতিরিক্ত আয়ের বোঝা চাপিয়ে বিরোধীরা এমন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাইছে। মোদি দাবি করেন, মধ্যবিত্তরা হলেন দেশের মেরুদ-। তাই কংগ্রেস এমন আয়সীমা নির্ধারণ করার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আসলে মধ্যবিত্তদের জন্য কিছুই করছে না।
তিনি অভিযোগ করেন, যখনই কংগ্রেস সমস্যায় পড়ে, তখনই তারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় এবং পরিণত হয় ‘গজনি’তে। উল্লেখ্য, গজনি হলো একটি ছবির চরিত্র। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান। ছবিতে এ চরিত্রে তার স্মৃতিশক্তির বিভ্রাট ঘটে। অর্থাৎ এমন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কংগ্রেসকে সেই গজনির সঙ্গে তুলনা করেছেন মোদি।
এ সময় তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনের ফল সামনে নিয়ে আসেন এবং তার ওপর ভিত্তি করে কংগ্রেসের সমালোচনা করেন। ওই নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন পেয়েছিল। মোদি বলেন, কংগ্রেস হলো ডুবন্ত টাইটানিকের মতো। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তাদের আসন কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ৪৪টিতে। এবার তার চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে তাদের।
নরেন্দ্র মোদি এর আগে ১লা এপ্রিল ওয়ারধা’তে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস নেতাদের ভিতু বলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ (হিন্দু) জনসংখ্যা অধ্যুষিত আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পায়। এর মাধ্যমে তিনি রাহুল গান্ধীকে খোঁচা দিয়েছেন। কারণ, রাহুল গান্ধী দ্বিতীয় আসনে নির্বাচন করছেন কর্ণাটকে। সেখানকার ওয়ায়ানাদ আসনটি হলো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। এ ছাড়া রাহুল গান্ধী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন উত্তর প্রদেশের আমেথি থেকে।
মোদি অভিযোগ করেন, হিঙ্গোলিতে কংগ্রেসের বর্তমান এমপি রাজিব সাতাভ, এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার ও প্রফুল প্যাটেল নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে গিয়েছেন। তারা তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তা ছাড়া জম্মু ও কাশ্মির সমস্যা, সন্ত্রাস ও নক্সালিজমের জন্য দায়ী কংগ্রেস।
এ ছাড়া পাকিস্তানের কাছ থেকে যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদী অর্থ নিয়েছে তাদের সঙ্গে কংগ্রেস আলোচনা করছে বলে অভিযোগ করেন নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মিরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহর দাবির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মোদি বলেন, কংগ্রেস ও তার মিত্ররা দু’জন প্রধানমন্ত্রী চায়। তার একজন হবেন দিল্লিতে। অন্যজন জম্মু ও কাশ্মীরে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.