--- বিজ্ঞাপন ---

ইন্দোনেশিয়ায় পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে

0

নিউজ ডেস্ক: নতুন প্রেসিডেন্ট বাছাই ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয় মাসের প্রচার শেষে বিস্তৃত নিরক্ষীয় দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় বুধবার ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় একদিনের নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এ নির্বাচনকে।

এ ভোট ঘিরে দেশটির ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদোকে সাবেক জেনারেল প্রাবোয়া সুবিয়ান্তোর বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে। জনবিচ্ছিন্ন পাপুয়াতে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

৯০ শতাংশ মুসলমানের ইন্দোনেশিয়ায় ভোট দেয়ার আগে ভোটাররা মসজিদে গিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করেন। রেকর্ডসংখ্যক দুই লাখ ৪৫ হাজার প্রার্থী এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই প্রথম সব ভোট একদিনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার দ্বীপবেষ্টিত বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশটিতে মাত্র ৮ ঘণ্টার ভোট। বস্তিতে বেড়ে ওঠা জোকো কাঠ ব্যবসায়ী ও ধর্মানুরাগী।

আর সুবিয়ান্তো ইন্দোনেশিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাই। নির্বাচনে এ দুই নেতার মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন প্রায় ১৯ কোটি ২০ লাখ ভোটার। ৫৭৫ আসনের বিপরীতে ১৬টি রাজনৈতিক দলের অন্তত দুই লাখ ৪৫ হাজার প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এবারই প্রথম একসঙ্গে প্রেসিডেন্ট, সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

দেশজুড়ে ৮ লাখ ৫ হাজার ৬৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। রয়টার্স জানায়, গোটা দেশে একদিনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টসহ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ১৩৬টি সদস্য পদ এবং নিম্নকক্ষের প্রায় ৫৭৫টি পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

একই সঙ্গে অন্তত দুই হাজার ২০৭ প্রাদেশিক সদস্য ছাড়াও ১৭ হাজার ৬১০টি স্থানীয় কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে। সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এ ভোট শেষ হবে বেলা ৩টায়। ভোটগ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা হলেও আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হবে মে মাসে।

দেশটিতে এবারই প্রথম জালভোট এড়াতে হালাল কালিতে ভোটাররা তাদের আঙুল চুবিয়ে ভোট দেবেন। ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্দোনেশীয় মিশনে হাজার হাজার ভোটার তাদের আগাম ভোট দিয়েছেন।

এ নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে ইতিমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ইউদোদো। ২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক জেনারেল প্রবোয়ো সুবিয়ান্তোকে পরাজিত করেন তিনি। সোলো (সুরাকারতা) শহরের বস্তিতে বেড়ে ওঠা উইদোদো ওই শহরের মেয়র (২০০৪ সালে) হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন।

২০১২ সালের নির্বাচনে রাজধানী জাকার্তার গভর্নর হন তিনি। ছিলেন সামান্য একজন ফার্নিচার বিক্রেতা। গত ৫ বছরে গরিবদের স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বৃদ্ধি, গ্রামে হাজার হাজার মাইল রাস্তা তৈরি, ব্রিজ, হাসপাতাল ও রেলপথ নির্মাণ করেছে তার সরকার।

সম্প্রতি রুপিয়াহর অতি মন্দা ও বৈষম্যের কারণে বেশ সমালোচিত তিনি। জোকোর ভাইস প্রেসিডেন্ট (রানিং মেট) প্রার্থী হয়েছেন ধর্মীয় গুরু মারুফ আমিন (৭৬)। জোকোর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাবোয়ো দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক সুহার্তোর জামাতা। ১৯৯৮ সালে সুহার্তোর পতনের পর তার পরিবার ও পুরো দেশকে সামাল দেন তৎকালীন সেনাপ্রধান প্রাবোয়ো। ১৯৯৮ সালের পর থেকে নির্বাচনে লড়ে যাচ্ছেন তিনি।

এবার নিয়ে চতুর্থবার। কিন্তু প্রতিবারই পরাজিত হয়েছেন। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে দৈনন্দিন ইসলামিক জীবনযাপন, সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর মতো প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন তিনি।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.