--- বিজ্ঞাপন ---

রোনাল্ডোকে ‘কাঁদিয়ে’ সেমিতে আয়াক্স

0

নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠেও অপেক্ষাকৃত কম শক্তির আয়াক্সকে পরাজিত করতে পারল না জুভেন্টাস। উল্টো এবার হেরে বসলেন তুরিনের বুড়িরা। স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পাওয়া হলো না তাদের।

প্রথম লেগে আয়াক্সের দূর্গে ১-১ গোলে ড্র করে জুভেন্টাস। ফলে সেমির টিকিট পেতে হলে দ্বিতীয় লেগে নিজ ডেরায় জয়ের বিকল্প ছিল না জুভদের। কিন্তু বিধিবাম! উল্টো ২-১ গোলে হেরে গেছেন তারা।

ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে উঠে গেছে আয়াক্স। এ নিয়ে ২২ বছর পর ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টের সেমিতে উঠল ডাচ ক্লাবটি।

মঙ্গলবার রাতে জুভেন্টাসের ডেরা অ্যালিয়াঞ্জ এরিনায় আতিথ্য নেয় আয়াক্স। হোমগ্রাউন্ডে শুরুটা দারুণ করেন স্বাগতিকরা। ২৮ মিনিটে তাদের এগিয়ে নেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মিরালেম পিয়ানিচের কর্নার পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের হেড এক ড্রপ খেয়ে জালে জড়ায়। ডি-বক্সের মধ্যে আয়াক্সের এক খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি।

এতে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখা শুরু করে জুভেন্টাস। তবে ক্ষণিকেই তা উবে যায়। ৩৪ মিনিটে স্বাগতিকদের স্বস্তি কেড়ে নেয় আয়াক্স। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাকিমের জোরালো শট ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে পেয়ে যান ডনি ভ্যান ডি বিক। ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। আবারও ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি। কিন্তু গোলের সিদ্ধান্ত অটুট থাকে।

পরে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জমে ওঠে খেলা। এবার এগিয়ে যায় আয়াক্স। ৬৭ মিনিটে এগিয়ে যায় ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতা দলটি। সতীর্থের কর্নার থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন মাতাইস দি লিট।

ফলে জুভেন্টাসের জন্য সমীকরণ কঠিন হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করলেও সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি দলটি। ফলে ইউরোসেরা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাস্সিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির শিষ্যরা।

এতে হতাশায় মুষড়ে পড়েন রোনাল্ডো। চোখমুখ ঢেকে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। গেলবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ট্রফি জিতেছিলেন সিআর সেভেন। এবারো তা জেতার আশায় স্পেন ছেড়ে ইতালিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.