--- বিজ্ঞাপন ---

চলে গেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ

0

নিউজ ডেস্ক: চলে গেলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে মুঠেফোনে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন মাহফুজউল্লাহর বড়ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ। বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিতসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন তিনি। সাংবাদিকতা ছাড়াও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতা করতেন।

এর আগে ২১ এপ্রিল মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুর সংবাদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। ওই দিন দুপুর নাগাদ দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়, বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মাহফুজউল্লাহ। পরে সন্ধ্যা নাগাদ তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে তিনি বেঁচে আছেন। হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

ওইদিন মাহফুজউল্লাহর মেয়ে নুসরাত জানিয়েছিলেন, ‘আমার বাবা এখনো বেঁচে আছেন। তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। গতকাল রাতে (২০ এপ্রিল) তার শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হয় এবং চিকিৎসকরা তাকে ওষুধ দেওয়া বন্ধ করেন। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সঠিক নয়। আমি তার পাশেই রয়েছি। আমরা তার শান্তিপূর্ণ প্রস্থানের অপেক্ষায় রয়েছি’।

একই দিন সন্ধ্যায় মাহফুজউল্লাহর বড় ভাই অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ জানান, তারা কোনো সূত্র থেকেই মৃত্যুর খবর জানতে পারেননি। চিকিৎসকরাও নিশ্চিত করে পরিবারকে কিছু বলেনি। তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

গত ২ এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজউল্লাহ নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ওইদিন তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে গত ১০ এপ্রিল বুধবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সযোগে ব্যাংককে নেয়া হয়। ওইদিন রাত ১১টা ৫২ মিনিটে তাকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যাংককের উদ্দেশ্য রওনা হয় বলে জানিয়েছিলেন বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ডা. মেঘলা ও জামাতা মাহফুজউল্লাহর সঙ্গে যান। শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি না হওয়ায় মাহফুজউল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.