--- বিজ্ঞাপন ---

পাকিস্তান এখন আর স্বাধীন দেশ না…বিস্ফোরক মন্তব্য সাহসি সাংবাদিক হামিদ মীরের

0

পাকিস্তানী গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান এখন আর স্বাধীন দেশ নয় বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সে দেশের সাহসি সাংবাদিক হামিদ মীর । গত ১ জুলাই ইমরান খান সরকারের সমালোচনা করে পাকিস্তানের বেসরকারী টিভি চ্যানেল ‘জিও নিউজ’ এর সাংবাদিক হামিদ মীর টুইট করেন, ‘দর্শকদের কাছে শুধু দুঃখ প্রকাশ করে আমি এটাই জানাতে পারি, জিও নিউজে যে সাক্ষাৎকারটি প্রচার শুরু হয়েছিল তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ সাক্ষাতকার কাদের নির্দেশে বন্ধ করা হয়েছে তা ষ্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে। আসলে আমরা এখন স্বাধীন দেশে বসবাস করছি না।’

পাকিস্তান টুডে জানায়, দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির একটি সাক্ষাতকার নিয়েছিলেন সাংবাদিক হামিদ মীর৷ সেই সাক্ষাতকার টিভি চ্যানেলে শুরু হবার কিছুক্ষণের মধ্যেই এ প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়৷ পরে সেই চ্যানেলের পক্ষে জানানো হয় যে, সাক্ষাৎকারটি আর দেখানো হবে না৷ এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন হামিদ মীর। সোমবার টুইটারে এভাবে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। কী এমন বার্তা ছিল সেই সাক্ষাতকারে যে তা শুরুর পর পরই বন্ধ করতে হয়েছিল?

পাকিস্তানের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, হামিদ মীরকে দেয়া সেই সাক্ষাতকারে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিভিন্ন আইনবহির্ভূত কার্যকলাপ নিয়ে চলমান একটি তদন্তের বিষয়ে কথা বলছিলেন আসিফ আলি জারদারি৷ আর ঠিক সেই মুহূর্তেই অনুষ্ঠানটির প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একেবারেই কোণঠাসা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিপিপি-র নেতা জারদারি।

দুর্নীতির অভিযোগ করা মামলায় গতমাসে গ্রেফতার হয়ে জেলও খাটতে হয়েছে তাকে। বর্তমানে বিশেষ জামিনে বেরিয়ে এসেছেন তিনি।

পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, জামিনে থাকা রাজনীতিবিদের সাক্ষাতকার প্রচারে কোনো বাধা নেই। সুযোগটি কাজে লাগান সাংবাদিক হামিদ মীর।জামিনে মুক্ত হয়ে সংসদের বাজেটপর্বে যোগ দিতে গেলে সংসদভবনের ভেতরেই জারদারির ওই সাক্ষাতকারটি নিচ্ছিলেন হামিদ মীর৷ এদিকে জারদারির ওই সাক্ষাতকার প্রচার বন্ধ করে দেয়ায় ইমরান খান সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র চেয়ারম্যান বিলাওয়াল আলি ভুট্টো। এই সরকারকে পারভেজ মুশাররফ ও জিয়ার আমলের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

সোমবারই ওই ঘটনার এক প্রতিক্রিয়ায় বিলাওয়াল আলি ভুট্টো নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘কোনো কোনো সরকার শুধু কিছু বিশেষ ধরনের মন্তব্যই শুনতে পছন্দ করে৷ বর্তমান পাকিস্তানের সঙ্গে মুশাররফ বা জিয়ার আমলের পাকিস্তানের কোনো পার্থক্যই দেখছি না আমি৷’ এদিকে হামিদ মীরের ওই টুইটের পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাংবাদিক সংগঠন ইতিমধ্যে পাকিস্তানে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন অনেকে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.