--- বিজ্ঞাপন ---

রাশ আল খাইমার রহস্যঘেরা পাহাড় ‘জিবেল জাইস’

0

গন্তব্য আরব আমিরাতের রাশ আল খাইমা। পারস্য উপসাগরের তীরে রাশ আল খাইমা আরব আমিরাতের ঐতিহাসিক সমৃদ্ধ একটি প্রদেশ। অনেক হিন্দি সিনেমার শুটিং নাকি এখানে হয়ে থাকে। বিশেষ করে রাশ আল খাইমাতে বলিউড এর নায়ক অক্ষয় কুমারের হিট ছবি ‘এয়ার লিফট’ এর অনেকখানি এখানে করা। রাশ আল খাইমা’র পাহাড় ঘিরেও অনেক হিন্দি হিট ছবির শুটিংও হয়েছে। আরো হয়েছে এখানকার পুরানো পরিত্যক্ত বাড়িগুলোতে। সব মিলে রাশ আল খাইমা দেখার লোভ সামলানো কঠিন ছিল। রাশ আল খাইমাতেও যথারীতি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার লোক বেশি। দুবাই-আবুদাবির অনেক সৃষ্টি মানুষের। প্রাকৃতিক সৃষ্টির রহস্য লুকিয়ে আছে আরব আমিরাতের রাশ আল খাইমা প্রদেশে। আগে থেকে শুনে আসছিলাম রাশ আল খাইমার ভয় লাগানো পাহাড়ের কথা। তাই শুরু থেকে দেখার ইচ্ছেটা ছিল প্রবল। শারজাহ থেকে রাশ আল খাইমা যেতে সময় লাগে দু’ঘন্টা। প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়। আগে থেকেই রাশ আল খাইমাতে প্রস্তত ছিলেন দু’ চট্টগ্রামবাসী। হাটহাজারি আমানবাজারের নাহিদ সরকার ও পটিয়ার কে এম তারিক। তারা দু’জনে দীর্ঘদিন ধরে রাশ আল খাইমাতে আছেন। গাড়ীতে বসেই আরব আমিরাতের প্রবাসী আর পর্যটন সমৃদ্ধ স্থানগুলো সর্ম্পকে অবহিত করছেন আমিরাতের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আজিম তালুকদার, মোহাম¥দ গফুর।
আরব আমিরাতের ট্রাফিক ব্যবস্থার কথা আবার না বলে পারলাম না। তাদের রাস্তার র্টানওভারগুলো এত চমৎকার যে, কোন গাড়ীকে দাড়িয়ে থাকতে হয় না। রাস্তাগুলোর মাঝখানে কোন প্রতিবন্ধক নেই। নেই কোন উচু প্রতিবন্ধক বা জেব্রা ক্রসিং। রাস্তাগুলোর পরিসর বড়। একাধিক লাইনে সমান গতিতে গাড়ী চলে। কারো তাড়া থাকলে বা কেউ আগে যেতে চাইলে কৌশলে একটি গাড়ী অপর গাড়ীর সামনে চলে যায়। সামনের গাড়ী যখন বুঝে যে পেছনের গাড়ী আগে যেতে চাইছে তখন নিজেরাই স্পীড কিছু কমিয়ে দেয়, যাতে সামনের গাড়ী অনায়াসে আগে যেতে পারে। তবে কেউ ভুলেও একেবারে সাইডের রেড লাইন স্পর্শ করেন না। হাইওয়েতে ১২০ কিলোমিটার গতিবেগ নির্ধারিত থাকলেও গতিবেগ ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর বেশি হলে রাস্তার পাশের ক্যামেরা ক্লিক করে উঠে। মানে জরিমানার খড়গ। শারজাহ থেকে রাশ আল খাইমার পথে খেজুর গাছের প্রাধান্য লক্ষ্যনীয়। সারিবদ্ধভাবে এসব গাছ দাড়িয়ে আছে। এক লাইনে, এলোমেলা নয়। শহরাঞ্চলে গাছ পালা কম বিধায় এখানে গরমের তীব্রতা বেশি।


রাশ আল খাইমা’র ‘ল্যাম্পো দুয়ার’ এসে গেছি বলে জানান দিলেন একজন। দেখলাম রাস্তার চৌমুহনিতে বিশাল একটি হারিকেন লটকে আছে বিশেষ কায়দায়। চট্টগ্রামের লোকজন হারিকেনকে এখনও ল্যাম্পো বলে। এখানেও দেখি তার ব্যতিক্রম নয়। বুঝলাম ল্যাম্প শব্দটি আরবি শব্দ। দুপুর নাগাদ পৌছে যথারীতি বাংলা খাবার। এখানেও যেহেতু চট্টগ্রামের মানুষ বেশি তাই খাবারেও চট্টগ্রামের স্বাদ। বাংলাদেশের কিছু কোম্পানির বিভিন্ন ব্রান্ডের মসলা এখানে বিক্রি হচ্ছে। রাশ আল খাইমা এমন একটি প্রদেশ যেখানে আধুনিকতা আছে, আছে প্রতœতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক নিদর্শন। অনেকে থাকেন দুওে, বিশেষ করে গ্রামের দিকে। শহর থেকে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে অনেকে ঘর ভাড়া নিয়ে বাস করেন। যেহেতু বেশিরভাগই দুরের কারনে নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করেন, তাই যাতায়াতে তেমন সমস্যা হয় না। তাছাড়া দুরের বাড়ীগুলোতে ভাড়া অনেকাংশে কম।
আরব আমিরাতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে হলে রাশ আল খাইমার ‘জিবেল জাইস’ এ যেতে হবে। প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন তো বটে, এখানে আসলে বুঝা যাবে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি যে কত বড় হতে পারে তার কিছু নির্দশন। অনেকে বলে থাকেন, রাশ আল খাইমা সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টি। এখানকার মাটি উর্বর। মাত্র তিন লাখ জনসংখ্যা নিয়ে পর্যটন নগরী রাশ আল খাইমা দাড়িয়ে আছে ওমানের সীমান্তবর্তী এলাকায়। রাশ আল খাইমা স্বতন্ত্র একটি রাষ্ট্র হিসেবে পুরানো দিনের ঐতিহ্য নিয়ে অবস্থান করেছে বহুকাল। ১৯৭২ সালে আরব আমিরাতের ফেডারেশনে যোগ দিয়ে নিজের অস্তিত্ব এদের সাথে বিলীন করে। তবে রাশ আল খাইমা যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেন স্বতন্ত্রভাবে। বাংলাদেশিদের ইনভেস্টও ভিসার দরজা খোলা আছে এ প্রদেশে। রাশ আল খাইমাতে ঢুকেই মন জুড়িয়ে যায়। পরিচ্ছন্ন একটি শহর। পরিকল্পিতভাবে বহুতলা ভবনের পাশাপাশি চর্তুদিকে সবুজ গাছপালা নজরে পড়ার মতো। প্রতি বছর এখানে বৃষ্টি হয়। ওমানের পাহাড় থেকে পানি বেয়ে নেমে আসে এ অঞ্চলে। তাই এর মাটি উর্বর।
রাশ আল খাইমার মূল শহর থেকে পাহাড়ের দুরত্ব রয়েছে। সম্ভবত ৫০ কিলোমিটারের মতো। যাত্রা শুরুর প্রাক্কালে নিজের মধ্যে শিহরণ অনুভব করলাম। কারন এই পাহাড়গুলো নাকি ব্যতিক্রম। পাহাড় পর্যন্ত চলার পখ মসৃন। দু’লেইনের রাস্তা। অনেক আরবের ঘরবাড়ি পার হয়ে আমরা পাহাড়ের পথে। যাচ্ছি আর যাচ্ছি। মাঝে দেখলাম বেশ কিছু সিমেন্ট ফ্যাক্টরি। এখানকার পাথর বেশ শক্তিশালি। পাহাড়ের ভেতর দিয়ে অন্তত দশ মাইল যেতে হবে। উঠতে হবে উচুঁতে। আকাঁ বাকাঁ রাস্তা। যা দেখছি সবই আশ্চর্য মনে হচ্ছে। কোথাও কোথাও মনে হচ্ছে এগুলো বিশাল আকৃতির পিরামিড। আবার কোথাও কোথাও বিশাল খাদ। বিশাল বিশাল পাহাড় একটির সাথে অন্যটি লাগানো। মাঝখানে ভয় লাগানো খাদ।


সাথে থাকা রাশ আল খাইমার অধিবাসি নাহিদ জানালো, ‘এ অঞ্চলের ইতিহাস অনেক পুরানো। প্রায় ১০০০ বছর আগে এখানে মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে। তবে পাহাড়গুলো কিভাবে এখানে সৃষ্টি হয়েছে তার সুনির্দিষ্ট ব্যখ্যা এখনও পাওয়া যায় নি।’ রাশ আল খাইমার ইতিহাসবিদরা মনে করেন, এ অঞ্চলটি ছিল সমুদ্র। এ পাহাড় সমুদ্রের তলদেশেই ছিল। কালের বিবতর্নে এগুলো ভেসে উঠেছে। পানি সরে যাওয়ার পর এগুলো আপন মহিমায় দাড়িয়ে আছে। ঐতিহাসিকভাবে এ এলাকাটির নাম ছিল জুলফার। মোঙ্গলরা এ পাহাড়ের ভেতরে তাদের আস্তানা গেড়েছিল বলে প্রকাশ। রাশ আল খাইমার দখল বেদখল নিয়ে অতীতের অনেক ইতিহাস রয়েছে। হয়েছে অনেক যুদ্ধ। সমুদ্র বন্দরের জন্য এটি বিখ্যাত। পারস্য উপসাগর দিয়ে নানা জাতির বাস ছিল।
রাশ আল খাইমার মূল পাহাড়ে ঢুকার পর বুঝলাম আঁকাবাকা রাস্তা যথেষ্ট ঝুকিঁপূর্ণ। দক্ষ চালক না হলে এখানে উঠা রীতিমতো কঠিন। জানলাম, এর উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ফুট। গাড়ী চালককে উপওে উঠাকালে বেশ সচেতন থাকতে হয়। বিশেষ করে বাকঁ পার হবার কালে। অদক্ষ চালক এখানে উঠতে দুঃসাহস দেখাবে না। যে গাড়ীটি উঠবে তারও শক্তি থাকতে হবে। আমরা যখন উঠছিলাম তখন ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতকালে তাপমাত্রা থাকে দু’ থেকে পাচঁ ডিগ্রী সেলসিয়াস। উপরে উঠার পথে পথে পাহাড়ের খাদে কিছু কিছু বাড়ী সদৃশ জায়গা লক্ষ্যনিয়। কারও মতে এখানে রাতে মানুষ থাকে। আবার অনেক পাহাড়ের কোল ঘেষে লাগানো হয়েছে পানি প্রবাহের হাজার হাজার ছোট্ট ছোট্ট নল। এগুলো দিয়ে পানি প্রবাহিত হয় কিনা জানিনা, তবে পাহাড়ের নিচে অনেকদুর তাকানোর পর বুঝা যায় কোন এক সময় এখানে পানির স্রোত ছিল। পাহাড়গুলোতে কোন গাছপালা নেই। মাঝে মাঝে আমাদেও দেশের বট গাছের মতোন ছোট ধরনের গাছ দেখা যায়। পরিবেশ বেশ রুক্ষ। মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে আছে বিশাল বিশাল পাথরের পাহাড়। পাথরের পাহাড়গুলোও দেখতে কিম্ভুতকিমাকার। মাটির কোন চিহ্ন নেই। কখনও মনে হয় এগুলো শক্ত মাটি। আবার কখনও মনে হয় পুরোটা পাথর। মাঝে মাঝে পাহাড়ের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল বিশাল আকারের পিরামিড। এ সব পাহাড়ের ভেতরে কি আছে তা এখনো রহস্যময়। পথ চলতে চলতে নানা সাবধান বাণী সম্বলিত বোর্ড। পাহাড়ে যাতে কেউ কোন কিছু খেয়ে ময়লা ফেলতে না হয় তার জন্য পথে দেয়া হচ্ছে কালো পলিথিন। মাঝে মাঝে রাস্তার রেড লাইনের পাশে অনেক গাড়ীর সারি। মনে হলো, কেউ যদি বিশ্রাম নিতে চায় তাহলে রাস্তার সাইডে দাড়িয়ে কিছুটা সময় কাটাতে পারে। পাহাড়ের উপরে প্রায় পাচঁ হাজার ফুট উঠার পর পুলিশের বাধাঁ পেলাম। অর্থ আর যাওয়া যাবে না। উপরে যাবেন তারা যারা ‘তারের উপর দিয়ে প্যরাগ্লাইডিং’ করবেন। তারপরও যতদুর উঠেছি তাতে দেখা যাচ্ছে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। অনেক নিচের দিকে তাকালে গিরি খাদ। এরই মধ্যে নজরে এলো পাহাড়ের প্রায় ৬ হাজার ফুট থেকে ছোট ছোট কি সব বস্ত ভেসে যাচ্ছে তারের উপর দিয়ে। অনেক পরে বুঝলাম, ওরা পাহাড়ের উপর দিয়ে যাওয়া তারের চেয়ারে বসে বা শুয়ে অনেকটা বিমানের মতো উড়ছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা দ্রুতগতিতে ভেসে যাচ্ছে। দেখলে যে কারও গা শিউরে উঠবে। অসম্ভব মনোবল আর সাহস না থাকলে যে কারও পক্ষে এ ধরনের বিমান যাত্রা করা সম্ভব নয়। পরে জানলাম মাত্র ক’দিন আগে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসেই ভয়ংকর এ পর্বত ভ্রমনটি চালু হয়েছে। পৃথিবীর দীর্ঘতম ‘জীপ লাইন’ বলে এটাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই তারের উপর দিয়ে যাওয়া যাবে প্রায় ৩ হাজার মিটার পর্যন্ত! তাও তারের এ চেয়ারের গতি বা ঝুলন্ত যাত্রার গতি ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার! রোমাঞ্চকর এ যাত্রা করতে হলে বিপুল টাকা ব্যয় হবে। সম্ভবত বাংলাদেশি ৭ হাজার টাকায় এ ভয়ানক ভ্রমন যাত্রা করা যাবে। অনেক ঝুকি থাকায় প্রথম প্রথম খুব একটা কেউ আগ্রহ না দেখালেও পরবর্তিতে সাহসি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানালেন একজন। রাশ আল খাইমার এ এলাকা ঘিরে পাচঁ তারকা হোটেল, গল্ফ ক্লাবসহ নানা ব্যবস্থার কাজও চলছে। সন্ধ্যা হবার আগেই রাশ আল খাইমার পাহাড় ছেড়ে নিচের দিকে নেমে এলাম। তবে কেউ কেউ এখানে রাতে বারবিকিউ পার্টিও জন্য প্রস্ততি নিচ্ছে। রাতে তাবু টানিয়ে কেউ থাকতে চাইলে অনুমতি নিয়ে পারবে। কেউ কেউ রাতের ঠান্ডার শিহরন অনুভবের জন্য রাত যাপন করেন। তবে পড়ন্ত বিকেলের দিকে আমাদেও গাড়ী চলা শুরু করেছে। পেছনে ফেলে এলাম রহস্যময় পাহাড়। যাত্রা এবার আল মারজান আইল্যন্ড। যেখানে সূর্য ডোবার দৃশ্যটি চমৎকার।
আল মারজান দ্বীপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ভরপুর থাকলেও এখানে অনেক কিছু কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে এ দ্বীপটি পারস্য উপসাগরে নানা ধরনের বাধঁ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকে জানান। এ দ্বীপকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন রির্সোট, সৈকতসহ নানা মনোমুগ্ধকর স্থাপনা। বছরে এক লাখেরও বেশি পর্যটক এ দ্বীপটি দেখতে আসেন। পারস্য উপসাগরকে ঘিরে নয়নাভিরাম এ দ্বীপটি প্রায় সাড় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সৃষ্টি করা হয়েছে গ্রামিন আবহ। এ দ্বীপকে ঘিরে দর্শনিয় ট্রেজার আইল্যান্ড, স্বপ্ন দ্বীপ, বাতি ঘরসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
রাশ আল খাইমার পরিত্যক্ত গ্রামীন বাড়ি ঘর, ভূতের বাড়ী ও মরুভূমিও দেখতে বেশ চমৎকার। চলন্ত পথে মরুভূমির ধূ ধূ বালুচর অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও রাস্তার পাশ জুড়ে সবুজ বিশেষ ধরনের গাছপালা নজরে পড়ার মতো। এখানে রয়েছে মাছ ধরার কেন্দ্র। বিদেশী পর্যটকরা বাণিজ্যিকভাবে মাছ ধরে আনন্দ পায়। উপসাগর শাসন করে পর্যটকদের জন্য এ মাছ ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে সমুদ্র সৈকতও। উপছে পড়া ঢেউগুলো তেমন জোরালো না। তার একমাত্র কারন জোরালো ঢেউগুলো যাতে পাড়ের দিকে আসতে না পাওে তার জন্য সমুদ্র ঘিওে এমন ব্যবস্থা তারা করেছে যাতে পর্যটন ও পানির প্রবল স্রোত আটকানো যায়। তারা প্রবল স্রোতকে ঝুকিপূর্ণ মনে করে। রাশ আল খাইমার মেরিনা মল আর সবচেয়ে আকর্ষনীয় হোটেলটির নাম ‘আল হামারা রেসিডেন্ট এন্ড ভিলেজ’। নয়নাভিরাম বিশাল এ হোটেলটি দেখতে হাজার হাজার পর্যটক আসেন। সমুদ্রগামি বিশাল জাহাজ আকৃতির এ হোটেলটি রয়েছে পারস্য উপসাগরের পাড়ে। দুর থেকে দেখলে মনে হবে কোন জাহাজ ভাসছে সমুদ্রে। তবে পাচঁ তারকা মানের এ হোটেলে থাকতে হলে চড়া মূল্য দিতে হবে। রাশ আল খাইমাতে আসা বিদেশী পর্যটক যারা অর্থবিত্তের মালিক তাদেও প্রথম পছন্দ নয়নাভিরাম এ হোটেলটি। যেটি সাজানো হয়েছে গ্রামের মতোন করে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.