রাইড শেয়ারিং অ্যাপস OBHAI (ওভাই) ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানুষের সঙ্গে চরমভাবে প্রতারণা করে চলছে। প্রতারণার মাধ্যমে তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একটি উদাহরণ দিই। আমি গত রোববার(৭ জুলাই,২০১৯ইংরেজী) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ওভাই কল করি। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জীবন আহমদ সিএনজি নিয়ে আসলেন। আমার মোবাইলে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত ভাড়া শো (দেখায়) ২৬৫ টাকা। চালক জীবন আহমেদের মোবাইলেও একইভাড়া দেখা যায়। এক ঘন্টার কম সময়ে গণভবনে এসে পৌছি। এসে পৌছানোর পর চালকের মোবাইলে ভাড়া শো করে ৫৪২ টাকা। আর আমার মোবাইলে ভাড়া শো- করে ২৬৫ টাকা। লেগে যায় মহা ঝামেলা। অবশেষে কল দেয়া অ্যাপসটির হেল্প (১৬৬৩৩) লাইনে। এক ললনা ফোন রিসিভ করে বলে- ‘আপনাকে কি হেল্প করতে পারি।’
তখন আমি বললাম- ‘আমি ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস ওভাই এর মাধ্যমে গণভবনের সামরে এসেছি। আমার মোবাইলে ভাড়া দেখাচ্ছে ২৬৫ টাকা আর চালক জীবন আহমেদের মোবাইলে ৫৪২ টাকা।’
তখন মিষ্টি কণ্ঠে ওনারী আমাকে বলে-‘স্যার আপনি কি বিদেশ থেকে এসেছেন। বিদেশ থেকে আসলে ভাড়া একটু বেশি।’
তখন আমার মাথা রক্ত উঠে যায়। আমি আর্ন্তজাতিক ভাষায় কিছু বলি ফেলি যা হয়তো ওনারী চাকুরি ছেড়ে না দিলেও ঘুমের মধ্যে তা কল্পনা করবে। এসব কি শুনলাম। তখন ওই নারী আমাকে আবার বলে- ‘স্যার আমার এখানে (তাদের সার্ভারে) ভাড়া শো করছে ৫২৪ টাকা। আপনি দয়া করে ৫২৪ টাকা পরিশোধ করেন।’ মাথায় আবার গরম হয়ে যায়। তখন আমার সঙ্গে থাকা আরেক বড়ভাই ওই নারীকে আবারও আন্তর্জাতিক ভাষায় কিছু বলেন যা বলেন যা উহ্য রাখলাম।
এখন আমার প্রশ্ন- আমার ও চালকের মোবাইলে ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবনের সামনে পর্যন্ত ভাড়া
শো করলো ২৬৫ টাকা। একঘন্টার মধ্যে গণভবনের সামনে যেতে যেতে ৫৪২ টাকা কিভাবে হয়। এই ভাড়া আবার তাদের অফিসে শো করছে ৫২৪ টাকা। আসলে প্রকৃত ভাড়া কত? এসবের প্রতীকার কি? নীতিমালায় কি আছে। প্রতারণার অভিযোগে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪২০ ধারায় মামলা করা যাবে কিনা। না ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মামলা করতে হবে? এসবের প্রতীকারটা কি?
আহমেদ মুসা
সাংবাদিক