--- বিজ্ঞাপন ---

ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড চায় ঢাবি’র সাধারন ছাত্রীরা

0
দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রীরা। এ সময় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শান্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝুুলানোরও দাবি জানান শিার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে এ কর্মসূচির ডাক দেন শিার্থীরা। এতে শতাধিক সাধারণ শিার্থীর সঙ্গে সচেতন নাগরিকরাও অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রীবৃন্দের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তিÍ প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড চাই’। এছাড়া আরও লেখা রয়েছে, ‘পরবর্তী ধর্ষিতা আমি হবার আগে, আমার সুরা রাষ্ট্রকে বুঝিয়ে দিতে হবে’। একই লেখা ব্যানার নিয়ে তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেন সচেতন নাগরিক সমাজ। মানববন্ধনে বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই, তাদের প্রকাশ্য শাস্তি চাই। অন্যান্য অপরাধের প্রকাশ্যে বিচার হলেও ধর্ষকদের বিচার হয় না। একটা খুনের চেয়ে কোনো অংশে ধর্ষণকে ছোট মনে করি না। এজন্য যদি এর শাস্তি মৃত্যুদন্ড হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবে ধর্ষকরা ভয় পাবে।’ পরিবেশ বিজ্ঞানী কানিজ আকলিমা সুলতানা বলেন, ‘ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে। যেকোন মহামারী সরকার চাইলে রুখতে পারে। প্রশাসন যদি তাদের এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সাথে সংযুক্ত থেকে খোঁজ-খবর নেয় তাহলে দুই-তিন বছর পর এই ধর্ষণ রোধ হবে। একটা ধর্ষণ হলে পুরো পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে যায়। এই পরিবারটা আর কোনদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। তাই আমরা চাই ধর্ষকদের শাস্তি হোক মৃত্যুদন্ড।’ শিার্থীদের বহন করা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘শিশুকামীদের ফাঁসি চাই, মৃত্যুদন্ড চাই’, ‘ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই’, ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে বিচার করে ধর্ষককে দড়িতে ঝুলাতে হবে’, ‘বিকৃত মানুষরুপী জানোয়ারমুক্ত সমাজ দাবি নয়, অধিকার..’, ‘নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সময়ের দাবি’ ইত্যাদি।
আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.