--- বিজ্ঞাপন ---

লাদেন পুত্র হামজার মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার

0

 

২০০১ সালের হামলার প্রতিশোধ নিতে একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে হামলার অনুমোদন দেন লাদেন। লাদেনের নির্দেশে ভয়ানক এ হামলা চালানো হয়। নিহত হয় তিন হাজার মানুষ। এ ঘটনার পর সারা বিশ্বে লাদেন ও আল কায়েদা সন্ত্রাসবাদের প্রতীক হয়ে উঠে। মুসলিম দুনিয়া জুড়ে তার নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়ে। লাদেনের মৃত্যুর পর তার পুত্র হামজা বিন লাদেনের দিকে নজর যায় আমেরিকার। সিআইএ হামজা বিন লাদেনকে টার্গেট করে রাখে দীর্ঘদিন ধরে। ওসামার তৃতীয় বউ খাইরিয়া সাবারের সন্তান ২৯ বছরের হামজার মাথার দাম ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার ধার্য করেছিল পেন্টাগন

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকার করে, ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ও আল কায়দা নেতা হামজা বিন লাদেন মারা গিয়েছে । পেন্টাগন সূত্রে হামজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে কোথায়, কীভাবে লাদেনপুত্র মারা গিয়েছে তা সম্পর্কে কিছু জানায়নি মার্কিন প্রশাসন। লাদেনের ছেলে হামজার মৃত্যুর খবর প্রথম প্রকাশ্যে আনে মার্কিন সংবাদ চ্যানেল এনবিসি নিউজ। কিন্তু প্রথমে এই ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি মার্কিন গোয়েন্দারা। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, বিষয়টি তিনি জানেন কিন্তু কোনো মন্তব্য করবেন না। এরপরই মার্কিন প্রশাসন সূত্রে হামজার মৃত্যুর কথা স্বীকার করা হয়। তবে তার মৃত্যুর পিছনে ওয়াশিংটনের ভূমিকা রয়েছে কী না তা স্পষ্ট নয়।

পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার পর মার্কিন নেভি সিলের হাতে ধরা পড়েছিল লাদেনের তিন স্ত্রী। কিন্তু হামজাকে তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি। । ২০১৭ সালে আমেরিকা হামজাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা দেয়। ২০১৮ সালে শেষবার গোপন ডেরা থেকে ভিডিয়োর মাধ্যমে সৌদি আরব প্রশাসনকে হুমকি দিয়েছিল হামজা। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে রক্তের নদীর বইয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল সে। লাদেন মারা যাওয়ার পর আল কায়দার শীর্ষ নেতা হিসাবে উঠে আসে হামজার নাম। তবে এখনও আল কায়দার মাথা আয়মান আল-জাওয়াহিরি। মার্কিন হামলাতেই যদি হামজার মৃত্যু হয়, তবে তা ট্রাম্প প্রশাসনের বড়ো সাফল্য হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.