--- বিজ্ঞাপন ---

সংবাদ লেখা শুরু করতে হবে যেভাবে

0

কাজী আবুল মনসুর

সাংবাদিকতায় যারা পড়াশুনা করে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নিয়েছে তাদেরকে ‘ষড় –ক’ আর বুঝাতে হবে না। অথবা যারা দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত আছেন তারাও এর অর্থ বুঝবেন। কিন্ত সমস্যা হলো বর্তমানে সাংবাদিকরা এসব ‘ষড়-ক’ এর ধার ধারেন না,অবস্থাটা এমন, কোন মতে দু’লাইন লিখে দিতে পারলে হলো। হাল আমলের সাংবাদিকদের যদি প্রশ্ন করি, আচ্ছা ‘সংবাদ শীর্ষ’ কি, আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, বেশিরভাগ সাংবাদিক এর কোন উত্তর দিতে পারবে কিনা সন্দেহ। একজন পাঠক যদি মনে করেন, যেসব প্রশ্নের উত্তর তিনি সংবাদটিতে চেয়েছেন তার সবকিছুই পেয়েছেন, তাহলে মনে করা হতে পারে, এ সংবাদের সংবাদ শীর্ষ আকর্ষণীয় হয়েছে। অর্থাৎ সংবাদ কাহিনীর মূলসূর ও মেজাজ নিহিত থাকে সংবাদ শীর্ষে। সারা বিশে^র সংবাদ লেখার চিত্রটি প্রায় একই রকম, তাহলো উত্তম একটি সংবাদ শীর্ষ দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন। এক কথায় বলতে পারি, যে অনুচ্ছেদটি দিয়ে সংবাদ কাহিনীর শুরু তাকেই বলা হয় সংবাদ শীর্ষ।
এবার আসি ‘ষড়-ক’ কি। আসলে ষড়-ক হলো ছয়টি ‘ক’। একটি সংবাদ তৈরি করতে এই ছয়টি ‘ক’ এর মধ্যে যে কোন একটি ফর্মুলায় পড়তে হবে। এ ছয়টি ‘ক’ হলো- ‘কি’ শীর্ষ, ‘কখন’ শীর্ষ, ‘কেন’ শীর্ষ, ‘কে’ শীর্ষ এবং ‘কেমন করে’ শীর্ষ।
‘কি’ শীর্ষ নিউজ
ভারতে ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়ো খবর নিয়ে বিবিসির গবেষণায় ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে জাতীয়তাাবাদী চেতনা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কীভাবে সে দেশের সোশ্যাল মিডিয়াত ফেক নিউজের বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি সে দেশের বিরোধী দলগুলি বলছে, ক্ষমতাসীন বিজেপিই অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত ভঙ্গীতে এই ফেক নিউজকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে চলছে – এবং সেটা হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মদতেই। কিন্তু সত্যিই কি ফেক নিউজ ভারতে রাজনৈতিক প্রচারণা বা নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলছে? ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি বরাবরই গর্ব করে বলে থাকে, দেশের ডিজিটাল বিপ্লবে কোনও রাজনৈতিক দল যদি সঠিক সময় সামিল হয়ে থাকতে পারে, সেটা একমাত্র তারাই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির অভূতপূর্ব জয়ের পেছনে দলের তথ্যপ্রযুক্তি বা সোশ্যাল মিডিয়া সেলের অবদানও কেউ অস্বীকার করেন না। কিন্তু এখন বিরোধীরা বিজেপির সেই ভূমিকায় প্রমাদ গুনছেন। দিন-কয়েক আগেই পার্লামেন্টে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ডেরেক ও ব্রায়ান বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “এরা দেশে ডিজিটাল মব তৈরি করছে – যাদের একমাত্র কাজ সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে মগজ-ধোলাই। আর ফেক নিউজ ছড়ানোই তাদের প্রধান শখ।” (সূত্র বিবিসি)
মূল সংবাদের বিষয়টি কি ? ফেক নিউজ

‘কখন’ শীর্ষ নিউজ
সোমবার মার্কিন সিনেটরদের ৫৬ জন্য সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আর বিপক্ষে গেছেন ৪১ জন। সৌদি প্রেস এজেন্সিতে প্রকাশিত দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সিনেটের সাম্প্রতিক অবস্থানের মূলে রয়েছে ভিত্তিহীন অভিযোগ। এটি অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সৌদি আরবের ওপর অশোভন হস্তক্ষেপ। খাশোগি হত্যাকান্ডের বাইরে ইয়েমেনে নৃশংসতার জন্যও সৌদি আরবকে দায়ী করে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধের পক্ষেও মত দিয়েছেন মার্কিন সিনেটররা। সিনেটের এই দুই প্রস্তাবে সমর্থন দানকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স উল্লেখ করেছে, কংগ্রেসে পাস না হলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস করানো বিফল হবে। প্রস্তাবটিকে আইনে পরিণত করতে গেলে দরকার মার্কিন কংগ্রেসের সমর্থন। কিন্তু সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য রিপাবলিকান। তারা মনে করেন, ইরানকে ঠেকাতে সৌদি আরবের সহায়তা দরকার যুক্তরাষ্ট্রের। মার্কিন সিনেটরদের ৫৬ জন্য সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, আর বিপক্ষে গেছেন ৪১ জন। ইয়েমেনের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের বিষয়ে সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাত জন রিপাবলিকানও। সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান সিনেটর বব কোরকার বলেছেন, ‘জামাল খাশোগিকে হত্যার বিষয়ে সিনেট যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করার বিষয়ে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। এটা খুবই কড়া একটি বার্তা। আমরা যেসব মূল্যবোধকে ধারণ করি এ প্রস্তাবনার মূল প্রেরণা সেসব মূল্যবোধ।’ ইয়েমেনের বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার পর সিনেটে খাশোগির হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়ী করে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। সেই প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, খাশোগি হত্যায় সৌদি আরবকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। কিন্তু সৌদি আরবের বিষয়ে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রাখার বিষয়েই মত ব্যক্ত করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সৌদি যুবরাজের পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন। ট্রাম্প মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি ঠেকাবার জন্য সৌদি আরবের উপস্থিতি অপরিহার্য। ইরান শক্তিশালী হয়ে উঠলে বিপদে পড়বে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইসরায়েল।’ (সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন)
এখানে সোমবার মার্কিন সিনেটরদের ভোটাভোটির বিষয়টি মূখ্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
‘কেন’ শীর্ষ
জাপানের বৃহত্তম এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ সিগারেট নির্মাতা জাপান টোব্যাকো ঘোষণা করেছে ১৫০ কোটি ডলার (১২,৪০০ কোটি টাকা) দিয়ে তারা বাংলাদেশের আকিজ গ্রুপের সিগারেট তৈরির সব ব্যবসা কিনে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ৭ আগস্ট, সোমবার ঢাকায় দুই কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তিও সই হয়ে গেছে। জাপানি এই সিগারেট কোম্পানির এই বিনিয়োগ হবে এ যাবৎকালের মধ্যে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে একক বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জাপানের টোব্যাকো জায়ান্ট কেন এত টাকা বাংলাদেশের বাজারে ঢালছে? ঢাকার গবেষণা সংস্থা হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচ ডিআরসি) অর্থনীতিবিদ আসমার ওসমান বলেন, ‘বাংলাদেশে ধূমপায়ীর যে সংখ্যা, সিগারেটের যে বিশাল বাজার এবং ধূমপান নিরুৎসাহে সরকারের যে অনীহা, তাতে এই খাতে বিদেশি বিনিয়োগের আগ্রহে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই।’ (সূত্রঃ বিবিসি)
এ সংবাদে দেখা যাচ্ছে জাপানের টোব্যাকো জায়ান্ট কেন এত বিপুল টাকা দিয়ে বাংলাদেশের সিগারেট কোম্পানিটি কিনে নিচ্ছে।
‘কে’ শীর্ষ
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত প্রখ্যাত নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের নটরডেম ফোরামের বসন্তকালীন সেমিস্টারে মূল ভাষণ দিলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্ববিদ্যালয়টির ডানকান স্টুডেন্ট সেন্টারের ডাহ্নকে বলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সমবেত প্রায় ৬৫০ জন শ্রোতার কাছে ড. ইউনূস সামাজিক ব্যবসায়ে তাঁর আত্মনিয়োগের কাহিনী তুলে ধরেন। কেওগ স্কুল অব গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স-এর নটরডেম ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক রে অফেনহাইজার এর সাথে আলাপচারিতায় প্রফেসর ইউনূস বলেন, তিনি শুরুতে তাঁর নিজের পকেটের টাকা থেকে ঋণ দেয়া আরম্ভ করেন এবং পরবর্তীতে দরিদ্র মানুষদেরকে বিশেষ করে দরিদ্র নারীদেরকে ছোট ছোট ঋণ দেবার জন্য একটি ব্যাংক গড়ে তোলেন। বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রায় ২ হাজার ৬শ শাখা রয়েছে যাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল গ্রামে ৯০ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে – যাদের ৯৭ শতাংশই নারী – নিয়মিত ঋণ সুবিধা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই এখন গ্রামীণ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে, এবং গ্রামীণ আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি নগরীতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে এক লক্ষেরও বেশী দরিদ্র নারীকে সেবা প্রদান করছে। এরআগে কেলোগ ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে ‘নটরডেম অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড সলিডারিটি’ গ্রহণ করেন ড. ইউনূস। গবেষণা, প্রায়োগিক গবেষণা ও চর্চা, জনসেবা এবং লোকহিতৈষী কাজের মাধ্যমে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে। নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট রেভারেন্ড জন আই. জেনকিন্স এবং কেলগ’স ফোর্ড প্রোগ্রাম ইন হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এন্ড সলিডারিটি এর পরিচালক রেভারেন্ড রবার্ট ডাউড উভয়ে ড. ইউনূসের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।(সূত্রঃ ইত্তেফাক)
এ সংবাদের কে হচ্ছেন ড. ইউনুস
‘কেমন করে’ শীর্ষ
সৌদির সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে টুকরো করে সাত মিনিটেই হত্যা করা হয়েছিল। হত্যার আগে নির্যাতনও করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর খাসোগিকে হত্যার পর শরীর টুকরো টুকরো করা হয়। মিডল ইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, খাসোগিকে হত্যা করতে মাত্র সাত মিনিট সময় লেগেছে। পরে একজন সৌদি ফরেনসিকের নেতৃত্বে খাসোগির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করা হয়। এ সময় তিনি তাঁর সহকর্মীদের গান শুনতে বলেন। তুরস্কের সরকার-সমর্থিত দৈনিক ‘ইয়েনি সাফাক’-এর বরাত দিয়ে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, হত্যার আগে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়েছিল সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর আঙুল কেটে ফেলা হয়। ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর খবরে বলা হয়েছে খাসোগিকে কেটে টুকরো করা হয়। এর আগে তুরস্ক দাবি করেছিল, খাসোগিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সৌদির ১৫ সদস্যের একটি দল ইস্তাম্বুলে উড়ে যায়। তারা জানায়, খাসোগিকে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে হত্যার সপক্ষে তাদের কাছে অডিও এবং ভিডিও প্রমাণ রয়েছে। যদিও ওই সময় এর চেয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি তুরস্কের কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করতে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড নিয়োগ দিয়েছিল সৌদি আরব। তুরস্কের সরকার-সমর্থক একটি দৈনিকের এক খবরে ওই ১৫ সদস্যের আততায়ী দলের প্রত্যেক সদস্যের নাম ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে আগে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ‘শীর্ষ কর্মকর্তাদের’ বরাত দিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ জানিয়েছে, ওই আততায়ী দলে একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞও ছিলেন। তিনি হাড় কাটতে করাত সঙ্গে এনেছিলেন। করাত আনার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যার পর খাসোগির দেহ টুকরো টুকরো করা। ওই আততায়ী দলটি হলিউডের সিনেমা স্টাইলে খাসোগিকে হত্যা করে। দুই ঘণ্টার ভেতর মিশন শেষ করে তাঁরা তুরস্ক থেকে বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। খাসোগি হত্যাকান্ডকে কোয়েন্টিন তারান্টিনো পরিচালিত হলিউডের সিনেমা ‘পাল্প ফিকশন’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। (সূত্রঃ প্রথম আলো)
এ সংবাদের মূখ্য হলো কেমন করে খাসোগিকে হত্যা করা হলো
নতুন যারা সাংবাদিকতায় আসছেন তাদের সংবাদ বা রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে ষড়-ক প্রথমে বুঝতে হবে। যদি রিপোর্টার এটি তার আয়ত্তে নিতে পারেন তাহলে তার স্বাভাবিক রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে আর কোন প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। তবে যারা এ বিষয়টি আয়ত্তে না নেন তাহলে তাদেও রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, একটি সুন্দর রিপোর্ট লিখতে হলে ঘটনাটি আসলে কি এবং ঘটনার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি মূখ্য সেটা যদি বের করা না যায় তাহলে পুরো বিষয়টিতে ছদ্মপতন হবে। রিপোর্টার নিজেই বিভ্রান্ত হবেন। আর রিপোর্টটি হবে সাধারন মানুষের কাছে অগ্রহণযোগ্য।###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.