বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়েছে ভারত সরকার। শুধু তাই নয়, রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখে ভাগ করা হয়েছে। আর তাতেই আশার আলো দেখছে দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তারা দার্জিলিংকে বিধানসভাসহ আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি অঞ্চলটিকে উত্তাল করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। খবর এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাজ্য ভাগ করার চক্রান্ত সফল করতে দেয়া হবে না’। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জম্মু-কাশ্মীর ভাগের সিদ্ধান্ত দার্জিলিং পাহাড়ের পৃথক রাজ্যের দাবিকে উসকে দিয়েছে।১৯৮০ সালের শেষের দিকে সুভাষ ঘিসিংয়ের জিএনএলএফ-এর নেতৃত্বে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে চরম আন্দোলন শুরু হয় পাহাড়ে। এরপর ২০১৭ সালে ফের একই ইস্যুতে আন্দোলনে নামে বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেই আন্দোলন ১১ জন প্রাণ হারান, পাহাড় অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ১০৪ দিন। জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম কি পাহাড়ে আবার উত্তেজনা ডেকে আনবে? অনিশ্চয়তায় সাধারণ মানুষ।## সাতক্ষিরার সৌজন্যে