--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে কোরবাণির বর্জ্য অপসারণে শতভাগ সফল চসিক মেয়র আ জ ম নাছিরউদ্দিন

0

 

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম (১৪ আগস্ট,২০১৯ইং) : কোরবানির পর বর্জ্য অপসারণে এবার শতভাগ সফল হয়েছেন  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। প্রথম দিনেই সফলতার সাথে  অপসারণ করা হয়েছে নগরীর প্রায় শতভাগ বর্জ্য। তবে এবার আরেকটি  নতুন সমস্যা ছিল ফেলে যাওয়া বিপুল চামড়া অপসারণ।

সোমবার ঈদের দিন বিকালে চলমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম সরেজমিন পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং করেন  সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি নগরীর আলমাস সিনেমা হলের মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে লাভ লেইন মোড় এলাকা, নিউমার্কেট, সদরঘাট, মাদারবাড়ি এলাকায় যান । সেখানে গিয়ে  তিনি সড়কের ডাস্টবিনগুলোতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিতদেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এই ঈদে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় মেয়র তাদের ধন্যবাদও দেন।

বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে  সিটি  মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন সাংবাদিকদের  বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে যে সময় বেঁধে দিয়েছিলাম- ওই সময়ের মধ্যেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে তা সফল করেছে। এটাকে এবার  আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম। সিটি করপোরেশনের নিয়োজিত পুরো টিম এই চ্যালেঞ্জ সার্থক করেছে।

কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার মোট  ২৭৩টি গাড়ি ও প্রায় চার হাজার কর্পোরেশনের সেবক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। নগরীতে বৃষ্টি হওয়ায় আরও ভাল হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত সেলের অধীনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে পরিচ্ছন্ন বিভাগ। নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে চারটি সেলে ভাগ করে ৪ জন কাউন্সিলরকে সেল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অপরদিকে নগরীতে এবার কোরবাণীর পশুর চামড়ার দামে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। অনেকেই  ৩০০ টাকায় বড় চামড়া কিনছিলেন। এরপর এর দাম ২০০-১০০ টাকায় নেমে আসে। তখনও  ক্রেতার দেখা মেলেনি বাজারে। চামড়া নিয়ে যেসব  ট্রাক এসেছিল অনেকে সেই ভাড়াও  তুলতে পারেনি । এবং একপর্যায়ে চামড়ার স্তুপ ও  ট্রাকভর্তি চামড়া ফেলেই পালিয়ে যান তারা। অপরদিকে,  বাজারে লবণের দামও রাতারাতি বেড়ে গেছে। আড়তদারেরা জানিয়েছেন, কোরবানির আগে প্রতি ৭৪ কেজি লবণের বস্তা  তারা কিনেছেন ৩০০ টাকায়। সেই লবণ এখন ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ  করার খরচও আকস্মিক বেড়ে যায়।

সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ সূত্রে জানা যায়,  ঈদের  পরদিন থেকে বুধবার পর্যন্ত আতুরার ডিপো-হামজারবাগ এলাকা থেকে এক লাখ, বহদ্দারহাট থেকে ৯ হাজার ও আগ্রাবাদ থেকে ১২ হাজারের বেশি পচা চামড়া নগরের দুইটি আবর্জনার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে।

চট্টগ্রামের  মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ ঘটনাকে অত্যন্ত  দুঃখজনক ও নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে বলেছেন, চামড়ার সরকার নির্ধারিত দামও না পাওয়ার পেছনে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠিত চক্রের দূরভিসন্ধি আছে কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ঘটনায় কোরবানিদাতারা হতাশ, মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব, দেশ বঞ্চিত হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে। তিনি বলেন, চামড়া পচবে, সেই চামড়া চসিককে অপসারণ করতে হবে এ ধরনের কোনো ভাবনাই আমাদের কোনো কালে ছিলো না। কিন্তু পচা চামড়া অপসারণের কাজটি ছিল নতুন একটি চ্যালেঞ্জের। ##

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.