--- বিজ্ঞাপন ---

প্রশিক্ষন নিতে এওটিএসের মাধ্যমে তরুনরা সহজে জাপান যেতে পারেন….জাপানের অনারারী কনসাল জেনারেল

0

###কাজী আবুল মনসুর, চট্টগ্রাম :

২০২১ সালে জাপানের সাথে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সর্ম্পকের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। দু’দেশ সর্ম্পকের  মাত্রাটিকে ধরে রাখার জন্য এখন থেকে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে। জাপান সবসময় বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকে বাংলাদেশে জাপানই একমাত্র দেশ, যে দেশ নিঃস্বার্থভাবে রেকর্ড পরিমোন বিনিয়োগ করেছে।

এখনও করে যাচ্ছে। হাইটেক প্রযুক্তি ও উন্নত টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণে বাংলাদেশীদের জন্য জাপানের দরজা এখনো উন্মুক্ত। জাপান ভিত্তিক সংগঠন এসোসিয়েশন ফর ওভারসীজ টেকনিক্যাল কোঅপারেশন এন্ড সাসটেইনেবল পার্টনারশিপ–১৯৮০ এর দশক থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সহায়তা করে আসছে। রবিবার দুপুরে আগ্রাবাদস্থ ওসমান কোর্ট ভবনে জাপানের কনসুলেট অফিসে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বললেন চট্টগ্রামে জাপানের অনারারী কনসাল জেনারেল ও চট্টগ্রামে AOTS এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।

তিনি আরো বলেন, পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়া জাপান এখনো এদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার। চট্টগ্রাম থেকে এপর্যন্ত AOTS এর মাধ্যমে টেকনিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিষয়ে জাপানে ছয় শত এর অধিক বাংলাদেশী প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তবে এবারে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাপানের উন্নয়ন ও অত্যাধুনিক কারিগরি উত্তরনের প্রক্রিয়াগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নবীন উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠিত টিম নিয়মিত জাপানে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে AOTS।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তারা এ সুযোগ নিতে পারে। এই টিমের উদ্দেশ্য হলো, The Sprit of Japan কে দেখা, জানা ও শেখা। তারা দেখবে, কিভাবে জাপানিরা এখনো কঠোর পরিশ্রম করে এবং সময়জ্ঞান ও ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে নিজেকে, দেশকে ও জাতিকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। কিভাবে তারা অত্যাধুনিক কারিগরি, প্রযুক্তিগত, কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট ও কমপিউটার সফটওয়্যার আপডেট ভার্সনগুলো দ্রুত আয়ত্ত করে কাজে লাগায় । ২০ থেকে ৩০ সদস্যের এই টিমে থাকবে তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্যাংক,বীমা, স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা। এই শিক্ষা সফরের মাধ্যমে দু-দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক আরো মজবুত হয়ে নলেজ শেয়ার বাড়বে এবং যৌথ ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হবে। শিক্ষা সফরে আগ্রহীগন জুবিলী রোড কাদের টাওয়ার ভবনস্থ ৪র্থ তলায় AOTS  অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।

মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, জাপান চায় বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে একটা উন্নয়ন বলয় তৈরী করা, যার সমান সুফল পাবে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার পাশাপাশি মায়ানমার ও শ্রীলঙ্কা। এটাকে আমরা বলতে পারি The Bay of Bengal Growth Triangle. তবে জাপানের বেশী আগ্রহ সমুদ্র উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার, যেখানে ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন উন্নপরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হওয়ার এখনই সময়।

সাক্ষাতকালে নুরুল ইসলাম তথ্য তুলে ধরে বলেন, জাপানের সাথে চট্টগ্রামের সম্পর্ক বহুদিনের পুরানো। জাপানি ভিক্ষু তেনজো ওয়াতানাবের কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, নিজের আরাম আয়েস পরিত্যাগ করে ওয়াতানাবে দীর্ঘ সময়কাল চট্টগ্রামে ছিলেন। তার হাত ধরে এমন অনেকে চট্টগ্রাম থেকে জাপান গেছেন যারা এখন দেশকে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধি করছে। তার হাত ধরে অনেক তরুন -তরুনী জাপানে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পেরেছেন। এমনকি অনেকে পিএইচডি ডিগ্রীও করেছেন। তার অবদানের জন্য জাপান সরকার তাকে বিশেষ সম্মানে ভুষিত করেছেন।

জাপানের সাথে চট্টগ্রামের নিপ্পন একাডেমির সর্ম্পকের উল্লেখ করতে গিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, বিগত ৬৭ বছর ধরে জাপানের সাথে আমার সম্পর্ক। সেই হিসেবে নিপ্পন একাডেমির মধ্যমে অনেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহনের জন্য জাপানে গিয়েছেন। জাপানি ভাষা শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে এ প্রতিষ্ঠানটি এখনো সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই একাডেমির দরজা সবার জন্য খোলা। এখান থেকে জাপানের শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন রকম তথ্য সহজে যে কেউ পাবেন । তিনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে নিজেকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার আহবান জানিয়ে বলেন, এওটিএস এ ব্যাপারে কাজ করছে। যারা প্রশিক্ষন নিতে জাপান যেতে চান তারা এওটিএস থেকে পরামর্শ গ্রহন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে মত ব্যক্ত করেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.