--- বিজ্ঞাপন ---

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কি শুরু হচ্ছে…..?

0

এন.এইচ নিরব :   বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যে পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবারই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফ থেকে ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাট পর্যন্ত থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারকূলেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কক্সবাজারে অবস্থান করছে চীন ও মিয়ানমারের দুই জন প্রতিনিধি।

জাতিগত নিধন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়।

মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে ২৩৫ রোহিঙ্গা পরিবারের মতামত নেওয়া সম্ভব হয়েছে। যারা রাজি থাকবে তাদের দিয়েই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত যেকোন সময়ে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সূচনার লক্ষ্যে ৫টি বাস ও ৫টি ট্রাক থাকবে। যারা মিয়ানমারে ফিরবেন তাদের মালামাল বহনে এসব পরিবহন রাখা হয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে রাজি কিনা?

এমন প্রশ্নে জবাবে মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, তারা যেতে রাজি বলেই মতামত পেশ করতে সিআইসি কার্যালয়ে এসেছে।

২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের প্রক্রিয়া কে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান শুরু করে। তারা প্রাণ বাঁচাতে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।

নতুন পুরনোসহ সব মিলিয়ে উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। কিন্তু জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.