--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্বের একমাত্র পরিবার যেখানে মানুষ আজও চারপেয়ে! 

0

অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সামনের দিকে ঝুঁকে মুখটা উপরের দিকে তুলে দু’হাত আর দু’পায়ের সাহায্যে এগিয়ে চলে এরা। দূর থেকে দেখে মনে হবে ঠিক যেন চারপেয়ে কোনও পশু ধীর গতিতে হেঁটে চলেছে। তুর্কির ওই পরিবারটির বাস তুরস্ক-সিরিয়া সীমানার কিছুটা উত্তরে। বাবা-মাকে নিয়ে পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ২১ জন। এই ২১ জনের পরিবারে ৫ ভাইবোনের মধ্যে এই অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ওই ৫ ভাইবোনের মধ্যে চার বোন ও এক ভাই। সাফিয়ে, হেসার, সেনেম, এমিন এবং ভাই হুসেইন। বাকি ভাইবোনেরা চারপেয়ে না হলেও কেউই পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। নিজেদের এলাকা বাদে ২০০৫ সালের আগে পর্যন্ত সারা বিশ্বের কাছে আক্ষরিক অর্থেই এঁদের সে ভাবে কোনও অস্তিত্ব ছিল না। ২০০৫ সালে বিবিসি-র একটি তথ্যচিত্রে প্রথম এঁদের কথা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছয়। সাধারণ মানুষ তো বটেই, এমন দৃশ্যে বিজ্ঞানীরাও বিস্মিত হয়ে যান। চারপেয়ে মানুষ! তারপর থেকে মাঝেমধ্যেই বিজ্ঞানীদের দল ঘুরে গিয়েছে তুর্কির ওই গ্রামে। রক্তের নমুনা, মস্তিষ্কের স্ক্যান, বাদ যায়নি কোনও পরীক্ষাই। কিন্তু ২০১৪ পর্যন্ত এমন ব্যবহারের সঠিক কোনও কারণ কেউ খুঁজে পাননি। তবে তাঁদের বাবা-মা কিন্তু একেবারেই স্বাভাবিক। আর এই ৫ জন শুধু যে চারপেয়ে তাই নয়, এঁদের কোনও কিছু বুঝতে এবং কথা বলতেও সমস্যা হয়। এঁরা নিজেদের মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে কথা বলেন। এঁদের আশপাশের লোকেরা এঁদের সঙ্গে যদিও পশুর মতোই ব্যবহার করেন। কখনও ঢিল ছুড়তে থাকে এঁদের দিকে, তো কখনও নানা ভাবে বিরক্ত করেন। তাই বাড়ি থেকে এঁরা খুব একটা বাইরে বেরোন না। অনেক চিকিৎসা সত্ত্বেও এই রোগের কোনও উপশম বার করা যায়নি আজও। তাঁদের অবর্তমানে ছেলেমেয়েদের কী হবে? কে দেখবেন? সারাক্ষণ এই চিন্তাই করে চলেছেন চারপেয়ে ওই মানুষগুলোর বাবা-মা।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.