--- বিজ্ঞাপন ---

আফগানিস্তানে তালেবানরাই এখন ‘যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু’।

0

কাতারের রাজধানী দোহায় নবম দফা আলোচনার পর তালেবানদের বেশির ভাগ মনে করে, আলোচনায় তাদের বিজয়ী হয়েছে, আর আমেরিকানরা কোনোমতে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেয়ার পথ খুঁজছে। তালেবানরা মনে করে, আলোচনার লক্ষ্যে ৮০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে, বাকিটাও আস্তে আস্তে সুরাহা হয়ে যাবে। তালেবানদের প্রধান মুখপাত্র সোহায়েল শাহীন এমনই বক্তব্য দিয়েছেন মিডিয়ায়। মনে হচ্ছে, আফগানিস্তানে তালেবানরাই এখন ‘যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু’।

আফগানিস্তানে গত শতকের আশির দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এক লাখ সেনা ছিল। সোভিয়েত বাহিনী ১০ বছর যুদ্ধ করে ১০ হাজার সেনা হারিয়েছে সে দেশে। আমেরিকা এক লাখ ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করে সেখানে ১৪ থেকে ১৮ হাজার সেনা রেখেছে। আমেরিকার জোট ১৮ বছরের যুদ্ধে দুই হাজার ৫০০ সেনা হারিয়েছে এ ফ্রন্টে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৫ থেকে ২০ বছরের যুদ্ধে ৫০ হাজার সেনা হারিয়েছিল। সে সময় মাও দে জংয়ের চীন ভিয়েতনামিদের সহায়তা দিয়েছিল। মাওকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনারা কখন সরাসরি ভিয়েতনাম যুদ্ধে নামবেন? তিনি বলেছিলেন, চীন যুদ্ধে নামার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে বিদায় নিতে হবে। কার্যত সেটাই হয়েছিল। আফগান যুদ্ধেও এখন সেই চীন রয়েছে; তার ওপর রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান ও তুরস্ক আছে।

সুতরাং কোনো বিরোধী কোয়ালিশন হয়ে গেলে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্থান মোটেই সুখকর হবে না। এরকম একটি সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকার প্রস্থান কৌশলগত কারণে জরুরি হয়ে পড়েছে। সোজা কথা, আফগান ইস্যুতে আমেরিকা বেকায়দায়। তালেবানরা সুযোগ পেলে ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’ প্রতিষ্ঠা করবে। আমেরিকা কোনো প্রকার ইসলামী খেলাফত গঠনের বিপক্ষে। তা ছাড়া তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না। তালেবানরা দালাল গোষ্ঠী, তাঁবেদার ও প্রতিপক্ষ উপদলের লোকদের নিঃশেষ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারাকে তারা চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। মূলত ২০০১ সাল থেকেই আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট কাজ করছে। অবশ্য এই নির্বাচন পশ্চিমাদের পছন্দমতোই হয়েছিল।

পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই শেষ দিকে বেঁকে বসলেও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সেই চাল দিতে না পারায় তালেবানদের কাছে ‘দালাল সরকার’ বলে পরিচিতি পেয়েছে এবং তালেবানরা তার সাথে কোনো আলোচনায় রাজি হয়নি। এ দিকে তালেবানদের বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচন হয়েছে। তবে বিশাল এলাকার লোকজন ভোট দিতে যায়নি বা দিতে পারেনি। কয়েকটি কেন্দ্রে বোমা হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, আগামী সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে পারে। তবে নির্বাচন ও সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যেকোনো সময় নাটকীয় ঘটনা ঘটতে পারে।

আফগান সরকার বলেছে, তালেবানদের জন্য নির্বাচনে আসার সব পথ খোলা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ‘আফগান সরকারের সাথে আলোচনা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য নিজে তালেবানদের সাথে আলোচনা করব।’ কিন্তু তালেবানরা সেনা প্রত্যাহারের আগে গনি সরকারের সাথে কোনো আলাপে বসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ২০২০ সালের মধ্যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে, সেনা প্রত্যাহার চান বলে জানা গেছে। নিজেদের সেনা রাখার পরিবর্তে সেনা প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান তালেবানদের বিষয়টি দেখভাল করবে- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমনটি চান। আমরা দেখেছি, এশিয়ায় যখন আমেরিকার পা রাখার জায়গা ছিল না, তখন প্রেসিডেন্ট কেনেডির সময় পাকিস্তানে জ্যাকুলিন কেনেডি বেড়াতে আসেন। পাকিস্তানের সাথে সুমধুর সম্পর্ক হলো। পাকিস্তান গোপনে চীনের সাথে কিসিঞ্জারের আলোচনার বন্দোবস্ত করে দেয়। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে আমেরিকান সেনাদের রসদ ও অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল অনেক বছর ধরে। আফগানিস্তানে রাশিয়ার সাথে তালেবানদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ পাকিস্তান সীমান্তেই দেয়া হয়েছিল। ওসামা বিন লাদেনকে ধরার জন্য পাকিস্তানের আইএসআই সিআইকে সহযোগিতা করেছিল। পাকিস্তান সন্ত্রাস দমন কর্মসূচিতে আমেরিকার প্রচুর অস্ত্র ও অর্থ পেয়েছে।

এত সুসম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ভারতের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করেন এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনবরত ড্রোন হামলা চালালেন। এহেন পরিস্থিতি ও ইতিহাস থেকে পাকিস্তান কিছু শিক্ষা নিতে না পারলে ইমরান-ট্রাম্প সম্পর্ক ভবিষ্যতে কিরূপ পরিগ্রহ করবে, তা বলা মুশকিল। রাশিয়া যখন ১৯৮৮ সালে জেনেভা চুক্তির পর আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেয়, তারপর আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। আবারো সেই গৃহযুদ্ধ হতে এবং আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। এ দিকে ভারতের জন্যও আফগানিস্তান গুরুত্বপূর্ণ।

ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া আফগান ইস্যুকে ‘এ-বোম্ব’ ও কাশ্মির সমস্যাকে ‘কে-বোম্ব’ নাম দিয়েছে। ভারতের রাজনীতিতে এখন এ দুটো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত দশকে ভারত আফগানিস্তানে অবকাঠামো, সামরিক, আমলাতন্ত্র, সংস্কৃতি ও কৌশলগত খাতে বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। ভারত নিছক ড্রেনে টাকা ঢালবে কেন? কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে ভারত আহত হয়েছে মনে হয়। আফগান শান্তি আলোচনায় ভারতকে কোথাও যুক্ত করা হয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, ভারতের কোনো কাজ নেই। ত্রিদেশীয় বৈঠক গত জুলাই মাসে বেইজিংয়ে শেষ হয়- আমেরিকা-রাশিয়া ও চীনের বৈঠক। সেখানে পাকিস্তানকে দাওয়াত করা হলেও ভারতকে ডাকা হয়নি; যদিও গত কয়েক বছর ধরে ভারত পাকিস্তানকে একঘরে করার চেষ্টা করছে। ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে সমঝোতা করে আফগানিস্তান-পাকিস্তান অর্থনৈতিক লাইফলাইন, করাচি-কান্দাহার ও করাচি-খাইবার-কাবুল রুটের পরিবর্তে চাবাহার-মিলাক-জরিঞ্জ-দিলারাম-কাবুল রাস্তা এবং দিল্লি-কাবুল বড় ব্রিজ তৈরি করার প্রয়াস নিয়েছে ভারত।

আফগানিস্তানে শান্তির জন্য সেনাপ্রত্যাহার যেমন জরুরি, তেমনি পরবর্তী সময়ে আরব দেশগুলো থেকে আর্থিক সহায়তাও দরকার। আমেরিকার স্বার্থের বিরুদ্ধে তালেবানরা কোনো অস্ত্র বা পদক্ষেপ নেবে না- এই প্রতিশ্রুতি ছাড়া আরব দেশগুলো বড় ধরনের কোনো সহায়তা দিতে চাইবে না। এই দুটি কাজে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততা দরকার। চীন চাইবে ‘ডুরান্ড লাইন’ বরাবর যেন কোনো গোলযোগ না হয়। কেননা, চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরে বা সিপিইসিতে, চীন ৫৬ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে, তাই সেটি যেন নিরাপদ থাকে, সিন্ধু নদের পশ্চিমে ও বেলুচিস্তানে যেন নতুন যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি না হয়। রাশিয়াও চিন্তিত; মধ্য এশিয়ায় গোলযোগ যেন রাশিয়ায় আপদ ডেকে না আনে। ভারতও চাইতে পারে, শান্তিচুক্তি বিলম্বিত হলে, স্টেকহোল্ডারদের বিশেষ করে পাকিস্তানের স্বার্থের ক্ষতি হবে। তালেবান প্রাধান্য পাবে এমন সরকার আফগানিস্তানের জন্য সুবিধার হবে না- এমন বিষয়ও ভারত উপস্থাপন করতে পারে। এই বিষয়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্রও একমত পোষণ করতে পারে।

৯০ দশকের তালেবান তাণ্ডবে এমনিতেই লোকজন শঙ্কিত। উজবেক, হাজারা ও তাজিকদের উত্থান এবং পশতু ও অ-পশতু ইস্যুগুলো রাজনীতিকে ঘোলাটে করতে পারে। ভারতের কে-বোম্ব ইস্যুতে পাকিস্তানের সাথে ইতোমধ্যেই নতুন যুদ্ধফ্রন্ট তৈরি হয়ে গেছে। ভারত চায় পাকিস্তান এ এবং কে-বোম্ব ইস্যু, ওয়াজিরিস্তান, পাকিস্তানি তালেবান এসব হট বিষয়ে আবদ্ধ হয়ে থাকুক।

তালেবান-যুক্তরাষ্ট্র শান্তিচুক্তি আগামী সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হওয়ার কথা। তালেবান সমস্যার জন্য প্রেসিডেন্ট গনি পাকিস্তানকে ‘মূল হোতা’ বললেও অবস্থা বেগতিক দেখে পাকিস্তানে গিয়ে ইমরানের সাথে আলাপ করেছেন। এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হবে মর্মে এই কলামে কয়েক মাস আগে ‘আশরাফ গনি চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন’ শিরোনামে বিস্তারিত লিখেছিলাম। মূল চুক্তির আগে তালেবানদের কিছু বিষয় বা ওয়াদা ওয়াশিংটন প্রত্যক্ষ করবে। যেমনÑ সরকারি সেনা ছাউনিতে আক্রমণ না করা, আলকায়েদা এবং আইএসকে সুযোগ না দেয়া, মুসলিম মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন যা শরিয়াহ আইন অনুমোদন করে ইত্যাদি। এখন যেকোনো সময় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

প্রত্যাবর্তনরত সেনাবহরে অথবা ছাউনিতে যদি আলকায়েদা হামলা চালায়, তবে শান্তি প্রক্রিয়া নস্যাৎ হয়ে যেতে পারে। রাজধানী কাবুলে বিয়ের অনুষ্ঠানে সম্প্রতি আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬৩ জন নিহত হয়েছেন, আহত ২০০ জন। শিয়া মুসলমানদের অধ্যুষিত এলাকায় এক কমিউনিটি হলে বিয়ের অনুষ্ঠানে ন্যক্কারজনক ওই হামলা চালানো হয়। আইএস হামলার দায় স্বীকার করেছে। গত ১৮ মাসের মধ্যে কাবুলে এটি বড় ধরনের হামলা। আসন্ন শান্তিচুক্তিতে আলকায়েদা ও আইএসরা যেন কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করতে না পারে, তার দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হবে তালেবানদের। এই দুই দল যে এখনো শক্তিধর, সেটাই যেন জানান দিয়ে গেল। শিয়া-সুন্নি বিরোধ তীব্র, আইএস তাও জানিয়ে দিলো। আশরাফ গনি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আইএসদের নির্মূল করা হবে।’ এত দিন এ ব্যাপারে কী করেছেন, তা কেউ প্রশ্ন করেননি।

চুক্তির পর তালেবানরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসবে- এটা নিশ্চিত। সেনাপ্রত্যাহার করা হলে তালেবানদের হাতেই ক্ষমতা আসবে। তিন লাখ আফগান সিকিউরিটির বিশাল ফোর্স থাকা সত্ত্বেও আফগানিস্তানের মাত্র ৩০ শতাংশ তাদের দখলে। ক্ষমতায় কারা কিভাবে আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মিলিশিয়ারা ওই প্রক্রিয়ার এক স্টেকহোল্ডার। তালেবানরা সরকারের সাথে আলাপ করতে চায়। এটাও তালেবানদের এক কৌশল। তালেবানরা ট্রাম্পের প্রশংসা করছেন, ‘চমৎকার ব্যক্তিত্ব ও আন্তরিক’ বলেছেন। ট্রাম্প আবার ক্ষমতায় এলে তালেবান সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রাখা যাবে, হয়তো এটি তার ইঙ্গিত। তালেবানরা ফিরে এলে বিশাল আফগান জাতীয় নিরাপত্তাবাহিনী সেনাবাহিনীর মর্যাদায় থাকবে কি না সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এত দিন তালেবান, আলকায়েদা ও আইএস এদের ছাউনিতেই বোমা ফাটিয়েছে। অনেকে- বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীর পশতুনরা তালেবানে যোগ দিতে প্রস্তুত। নিরাপত্তাবাহিনীতে এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। নিরাপত্তা বাহিনীর তাজিক, উজবেক, তুর্কম্যান ও হাজারাগোষ্ঠী তালেবানদের দলে ভিড়বে না। সম্ভবত ওরা সাধারণ জীবনে ফিরে যাবে। এসব কিছু আশরাফ গনির জন্য সুখকর নয়।

২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তালেবান হুমকি দিয়েছে, আগামী মাসে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, তা হবে সেখানে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার শামিল। শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চলছে, তখন নির্বাচন করে ‘তাঁবেদার সরকার’ বসানো হবে যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর। তালেবানরা আলোচনার মাধ্যমে আফগান সঙ্কটের সমাধান চায়। আফগান সূত্র জানায়, ওয়াশিংটনের সাথে সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি করার পর আফগান পক্ষগুলোর সাথে আলোচনায় বসবে তালেবান। সে আলোচনায় আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণ করা হবে।

তালেবানরা সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইছে না। তবে ‘ইসলামী শরিয়াহ মতে’ কিছু ধারা সংযোজন করতে চায়। মনে হয় ক্ষমতায় গেলে তারা সম্পূর্ণ সংবিধান ছুড়ে ফেলে তাদের শরিয়াহর ব্যাখ্যা মতে আগের সংবিধান বা নতুন এক সংবিধান নিয়ে আসবে। তালেবানরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আফগান রাজনীতিতে শামিল হয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারলে দায়িত্বশীল ও জনহিতকর সরকার গঠন করতে পারবে বলে মনে হয়। তার আগে দল-উপদল বিভেদ কৌশলী হাতে দূর করতে হবে। এনজিও, ঠিকাদার, বিদেশী ইনভেস্টমেন্টকে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে। তালেবানরা মূলত সশস্ত্র মিলিশিয়া। এ জন্য পশ্চিমা বিশ্ব তাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়াকে ভয় করে। তালেবানদের সময়ে মানবাধিকার বিপন্ন হয়েছিল। তাই তার পুনঃআগমন নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত।### সৌজন্যেঃ মো: বজলুর রশীদ , নয়াদিগন্ত

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.