ব্রেকিং নিউজ: কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের এক ব্রিগেড সৈন্য পৌঁছেছে, গোয়েন্দা উপগ্রহের মাধ্যমে গতিবিধির উপর নজর রাখছে ভারত
মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,( ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং): ভারতের সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে ‘জি নিউজের’ সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজে বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের সমন্বয়ে গঠিত ব্রিগেড সাইজের ২,০০০ সৈন্যের একটি সাঁজোয়া বহর ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে এই রিপোর্ট লেখার সময় ভারতের কাশ্মীর সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান নিয়েছে। ব্রেকিং নিউজ বুলেটিনে জানিয়েছে,ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানী সৈন্যের প্রতিটি গতিবিধির উপর সার্বক্ষনিক নজর রাখছে । কাশ্মীরের ৫৫০ কিলোমিটার সীমান্তের বারমুলা সেক্টরে সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত ভারতের ১৯তম ইনফেনট্রি ডিভিশনের সেখানে ১৫ হাজার সৈন্যকে দেখতে সীমান্ত সফর করেছেন। তিনি সেনাদেরকে সদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন বলে সংবাদ মাধ্যম জানায়।
ভারতের আশংকা, পাকিস্তানী স্পেশাল ফোর্সের সহায়তায় ভারতের অভ্যন্তরে জঙ্গী অনুপ্রবেশের পাঁয়তারা করতেই এই সেনা মোতায়েন শুরু করেছে পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানের সেনা দিবস ৬ সেপ্টেম্বর , দিবসটি মাথায় রেখে তারা সীমিত যুদ্ধের কিংবা সীমান্তে জঙ্গী অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাবে এ আশংকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ২৪ ঘন্টা সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে জানিয়েছে ভারতের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
কাশ্মীর সীমান্তের নিকট ‘বাগ ও ‘কোটলি’ সেক্টরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ব্রিগেডটি সেখানে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করছে। এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ৬ সেপ্টেম্বর , ২০১৯ ইং শুক্রবার সেনা দিবসের দিন কাশ্মীরবাসীর প্রতি সংহতি জানান এবং সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে সাথে নিয়ে ভারতের সীমান্তের নিকট পাকিস্তানী সৈন্যদের ঘাঁটিসমূহ ও চৌকি পরিদর্শন করেছেন ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের সেনাদের উপর নজর রেখে চলেছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে পাকিস্তান সীমান্তে ও গুজরাটের স্যার ক্রীক এলাকায় ১০০ এরও বেশী এসএসজি কমান্ডো পাঠিয়েছে। আশংকা করা হচ্ছে, এসকল কমান্ডো কাশ্মীরে চোরাগোপ্তা হামলায় লস্কর ও জয়স-ই-মুহম্মদের মত জঙ্গীদের সীমান্ত ডিঙ্গিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশে সহায়তা করবে।
ফ্রান্সের তৈরী পরমাণু বোমা বহনে সক্ষম ৩৬টি মিরেজ-৫ জঙ্গী বিমান ক্রয় চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান
ভারত ও পাকিস্তান দুদেশই যুদ্ধ যুদ্ধ উত্তেজনার মুখে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সামরিক সাজ-সরঞ্জাম প্রায় প্রতিদিনই সংগ্রহ করছে। পাকিস্তান মিশর থেকে ব্যবহৃত ৩৬ টি ফ্রান্সের ডেসল্ট কোম্পানীর তৈরী পরমাণু বোমা বহণে সক্ষম মিরেজ-৫ জঙ্গী বোমারু বিমান ক্রয়ের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সেদেশের সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ৫ সেপ্টেম্বর এ সংবাদ জানা গেছে। এসকল বিমান পরমাণু বোমা নিয়ে আক্রমণ করতে পারবে।
মিডল ইস্ট মনিটর পত্রিকার ৫ সেপ্টেম্বর বুলেটিনে এ খবর পরিবেশন করে বলা হয়েছে, পাকিস্তান এসকল জঙ্গী বিমানকে নিজেদের কামরা এ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্সের মিরেজ রিবিল্ড ফ্যাক্টরীতে নিয়ে এগুলিকে আরও আধুনিকীকায়ন করবে। সেখানে হেলমেট মাউন্টেড ডিসপ্লে, মিশন পড ও নাইট ফাইটিং যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হবে। এবং সেগুলো পাকিস্তানের বিমান বাহিনীতে আগে থেকে অন্তর্ভুক্ত শতাধিক মিরেজ বিমানের সমকক্ষ করে তোলা হবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির মধ্যে গত মে মাসে সাক্ষাতে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়।
ভারত সাবমেরিন বিধ্বংসী মেরিটাইম পর্যবেক্ষণ মার্কিন গোয়েন্দা বিমান পি-৮ আই কিনছে
অপরদিকে, একই দিন ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ জোরদারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকা জানায়, রাশিয়ায় পুতিন-মোদী বেঠকের পর ভারত ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যে ৫টি আমুর শ্রেণীর প্রচলিত সাবমেরিন ক্রয় করতে যাচ্ছে ভারত।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩১০ কোটি ডলার মূল্যের বোয়িং কোম্পানীর আধুনিক সাবমেরিন বিধ্বংসী ১০টি মেরিটাইম পর্যবেক্ষণ গোয়েন্দা বিমান পি-৮ আই সংগ্রহ করছে। ভারতের কাছে ইতিমধ্যেই ১২ টি এধরনের বিমান ক্রয়ের চুক্তি করা হয়েছে। এবং এগুলি সরবরাহ অব্যাহত আছে। মোট ২২টি পি-৮ আই মেরিটাইম গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ বিমানের একটি বহর গড়ে তুলছে ভারতীয় নৌবাহিনী।##
শহীদ,০৫.০৯.২০১৯ ইং।