--- বিজ্ঞাপন ---

তুয়ারেগ পুরুষ: যাদের মুখ সব সময় ঢাকাই থাকে

0

উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মরুভূমির দেশ নাইজার। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু বালুর ঢেউ। মাঝে মাঝে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে বিলুপ্ত প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর মতো চকচকে পাথরের দেয়াল। হঠাৎ সন্ধ্যার ঝোঁকে আপনার সামনে এসে দাঁড়াল কয়েকজন লোক। তারা সামনে এসে আপনার কুশল জানতে না চাইলে অবাক হবেন না। হঠাৎ করেই তারা যেন হাওয়ার মধ্যে থেকে এসে হাজির। আচমকাই তাদের আপনি দেখতে পাবেন। সারা গায়ে কাপড় জড়ানো। তরবারি কোমরে আর বাঁ হাতে তীক্ষ্ণ বর্শা। ডান হাতে রুপার বাঁটওয়ালা বাঁকা ছুরি। তাদের চেনার উপায় নেই। কারণ, এই পুরো দৃশ্যের মধ্যে আপনি দেখতে পাচ্ছেন কেবল এক জোড়া শান্ত সতর্ক চোখ। পুরো মুখ দেখা যাচ্ছে না। চাইলেও আপনি তা দেখতে পাবেন না। যাদের দেখছেন তাদের সবার মুখ ঢাকা। তুয়ারেগ পুরুষ কখনো পুরো মুখ দেখায় না। তুয়ারেগ নারী নয়, পুরুষেরা পুরো মুখ ঢেকে রাখে। শুধু চোখ আর কখনো নাকের ডগা কাপড়ের বাইরে থাকে। কৈশোর পার হয়ে, কোন গোত্রে বা ২৫ বছর বয়সের পর থেকে তুয়ারেগ পুরুষ নিজের মুখ ঢেকে রাখে। রীতিমতো অনুষ্ঠান করে কৈশোর পার হওয়া তরুণকে তার কাকা-জেঠারা পূর্ণ বয়স্ক ঘোষণা দিয়ে মাথা আর মুখ ঢাকার চাদর পরিয়ে দেন। এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সামনেও মুখের ওপর থেকে কাপড় সরানোর নিয়ম নেই। সেই কাপড় নীল রঙে ছাপানো। প্রাচীন আর মধ্যযুগের পরিব্রাজকেরা তাদের বলতেন নীল মানুষ। সাদা মেঘের মতো উড়ে চড়ে তারা ঘুরে বেড়ায় মরুভূমির বুকে। নিজেদের তারা যোদ্ধা ভাবতেই ভালোবাসে। তাদের ইতিহাসও সেই কথা বলে। এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সামনেও মুখের ওপর থেকে কাপড় সরানোর নিয়ম নেই। সেই কাপড় নীল রঙে ছাপানো। প্রাচীন আর মধ্যযুগের পরিব্রাজকেরা তাদের বলতেন নীল মানুষ। সাদা মেঘের মতো উড়ে চড়ে তারা ঘুরে বেড়ায় মরুভূমির বুকে। নিজেদের তারা যোদ্ধা ভাবতেই ভালোবাসে। তাদের ইতিহাসও সেই কথা বলে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.