--- বিজ্ঞাপন ---

কাশ্মির নিয়ে ভারত ও চীন সংঘর্ষ

0

বিখ্যাত প্যাংগং লেকের জলসীমান্তে ভারত ও চিনা সেনার মুখোমুখি অবস্থানে ফের উত্তেজনা। বুধবার ভারতীয় সেনারা টহল দেওয়ার সময়ে চিনা সৈন্যরা বাধা দেয়। এর জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এই খবর জানাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে সাময়িক পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে যায়। পরে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি আপাত শান্ত।প্যাংগং লেক বিশ্বের অন্যতম উচ্চ আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বা এল এ সি রেখা যা ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত হিসেবে পরিচিত সেটি এই হ্রদের উপর দিয়ে গিয়েছে। প্যাংগং হ্রদের দুই তৃতীয়াংশই অংশ চিনের দিকে পড়ে।

সীমান্তের এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আগেও হয়েছে। বিশেষ করে লাদাখ লাগোয়া অংশে চিনের দিক থেকে সেনা ঢুকে পড়ে। প্রতিবারই ভারতের তরফে তাদের রুখে দেওয় হয়। বৃহস্পতিবার প্যাংগং লেকের সীমান্তে দুই দেশের সেনার মুখোমুখি উত্তপ্ত পরিবেশ থামার পর এলাকায় নজরদারি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত এই ভূখণ্ড বরাবর কিছু জমি দুই দেশই দাবি করে। তবে কোনওবারই এল এ সি পার করে ভারতীয় সেনা ঢুকে পড়েনা।

সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ঘটনা দুই তরফেই লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এল এ সি) নিয়ে আলাদা পদ্ধতির জন্য হয়েছে।

দিল্লিতে ‘দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া’ পত্রিকা জানাচ্ছে, বুধবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন লেকের ধারে রুটিন টহলদারি চালাচ্ছিল তখনই চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ফৌজ তাদের বাধা দেয়।

এর পরই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, দুদেশের সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। দুপক্ষই বাড়তি ফৌজ চেয়ে পাঠায়, আর দফায় দফায় এই সংঘাত চলে বুধবার প্রায় সারাদিন ধরেই। সন্ধ্যায় প্রতিনিধি-পর্যায়ের বৈঠকের পর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে ‘ডিএসক্যালেট’ ও ‘ডিসএনগেজ’ করা সম্ভব হয়েছে বলে ভারতের সামরিক সূত্রগুলি জানিয়েছে।

ভারত ও চীনের মধ্যে লাদাখে যে ‘লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল’ (প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা) সীমান্তের কাজ করে, দুপক্ষের মধ্যে তার ব্যাখ্যার তারতম্যের কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি। দুবছর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসেও ভারত ও চীনের সেনারা প্যাংগং লেকের ধারে এক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল।

সেবারের ঘটনায় একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে, যাতে দেখা যায় দু’পক্ষের সেনারা পরস্পরকে লাথি ও ঘুষি মারছে বা এমনকি পাথরও ছুঁড়ছে। সেদিন ছিল ভারতের স্বাধীনতা দিবস (১৫ আগস্ট), আর তখন চীন-ভারত-ভুটানের সীমান্তে বিতর্কিত ডোকলাম উপত্যকায় দুদেশের সেনাদের মধ্যে উত্তেজনাও ছিল চরমে।

দুবছর আগের সেই ঘটনাতেও দুদেশের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। (সূত্রঃ বিবিসি ও ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে)

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.