মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম (২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং) : বর্তমানে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুদেশের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা। এমুহুর্তে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটি নির্মাণকে উস্কানিমূলক বলে মনে করছে ভারত। কাশ্মীরের ভারতের লাইন অব কন্ট্রোলের নিকটে খাইবার পাখতুনখোয়ায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিমানঘাঁটি । পাকিস্তান থেকে কয়েক মিনিটেই ভারতের ভুখন্ডে ঢুকে হামলা চালাতেই পাকিস্তানের এ পরিকল্পনা। ভারতীয় সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় অনলাইন সংস্করণে ২১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীরের খাইবার পাখতুনখোয়ায় এই বিমানঘাঁটি করার পরিকল্পনা সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করে। পাকিস্তানের পরিকল্পনায় পরিস্থিতি
আরও ঘোরাল করে তোলা হচ্ছে বলে পত্রিকাটি জানায়।এই পাখতুনখোয়ার বালাকোটেই ভারত গত ফেব্রুয়ারীতে হামলা চালিয়েছিল। পাকিস্তান এখন এর কাছাকাছি স্থানে বিমানঘাঁটি নির্মাণ করতে চলেছে। এবার ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে মাত্র ১৫০ কি:মি: দূরে পাকিস্তানের পরিকল্পিত সামরিক বিমানঘাঁটি ।
পাকিস্তানের এসব তোড়জোড়ের মধ্যেই ভারত ফ্রান্সের কাছ থেকে অত্যাধুনিক জঙ্গী বিমান ‘ রাফাল ’ এর প্রথম বিমানটি গ্রহণ করেছে বলে ভারতীয় সূত্রে জানা যায়। দেশটি নিজস্ব তৈরী ‘তেজাস’ যুদ্ধ বিমানেরও সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ভারতের সীমান্তের নিকটে ওই বিমানঘাঁটি তৈরি করার জন্য ১৬০ কোটি পাকিস্তানি টাকা বরাদ্দ করেছে ইমরান খান সরকার। পাক প্রশাসন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, এই বিমানঘাঁটি থেকে প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন ভারতীয় ভূখণ্ডে আক্রমণ শানানোর পরিকল্পনা করেছে পাক সেনা। এর আগেই মানসেরা থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে মুজাফ্ফরাবাদে ‘ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড’ তৈরি করেছে পাকিস্তান। নতুন বিমানঘাঁটি সেই প্রকল্পকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বিমানঘাঁটি থেকে ২০ কিমি দূরত্বে এবোটাবাদ শহর, যেখানে মার্কিন বাহিনীর হানায় নিহত হয় আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেন।
ভারতীয় বিশ্লেষকদের মতে, নিয়ন্ত্রণরেখার এত কাছে পাক বিমানঘাঁটি হওয়ায় তা ভারতীয় যুদ্ধবিমানের নিশানাতেও থাকবে। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩০০ কি:মি: পর্যন্ত। ফলে পাক বিমানঘাঁটি সবসময় ভারতীয় মিসাইলের আওতায় থাকছে। আবার, কয়েক মিনিটের দূরত্ব অতিক্রম করে সেখানে চাইলেই হানা দিতে পারবে ভারতীয় বিমান বাহিনী বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানও। এছাড়া পাকিস্তানের জ্যাকোবাবাদের বিমানঘাঁটিতেও সংস্কারমূলক কাজ চলছে এবং সেখানে সম্প্রতি ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেখা গেছে। মিয়ানওয়ালিতে বসানো হয়েছে নজরদারি রাডার।
## শহীদ, ২১.০৯.২০১৯ইং।