--- বিজ্ঞাপন ---

ক্যাসিনোর কথা

0

বিশ্বে ক্যাসিনো সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। কোন কোন দেশের অর্থনীতির বড় অংশ জুড়ে রয়েছে এই ক্যাসিনো। আমাদের দেশে এটাকে বলা হয় জুয়া। ক্যাসিনোতে যারা ঝুকি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের কেউ সর্বস্ব হারায়, আবার কেউ মোটা দাগে লাভবান হয়ে ঘরে ফেরে।  ক্যাসিনোর সাথে সাথে রয়েছে নারীদের বিচরন। এসব নারীরা ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের অংশ হয়ে থাকে। ধনীরা সাধারনত ভোগ-বিলাসে লিপ্ত থাকে ক্যাসিনো সাম্রাজ্যে।

বাংলাদেশে ক্যাসিনো বেশ তোলপাড় চলছে। সাধারন মানুষের কাছে  ঢাকার ক্যাসিনোর খবর ​​‘ওপেন সিক্রেট’। বাংলাদেশে ক্যাসিনো আইনত নিষিদ্ধ। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্যাসিনো আইন মেনেই চালু আছে। বিশ্বজুড়ে ক্যাসিনোর অর্থনীতিও অনেক বড়। পকেটে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে ক্যাসিনোতে ছুটে যাওয়া মানুষের সংখ্যা মোটেই কম নয়। ক্যাসিনো কথাটা এসেছে মূলত ইতালি থেকে। ইতালীয় শব্দ–রুট কাসা, এর অর্থ বাড়ি। আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গা বানিয়ে জুয়া খেলার প্রথম উদাহরণও ইতালির ভেনিসে, ১৬৩৮ সালে। তবে জুয়া খেলার ক্যাসিনো জনপ্রিয় করেছে আমেরিকানরাই। আইনি বৈধতা পেয়ে প্রথম ক্যাসিনো প্রতিষ্ঠা করা হয় ১৯৩১ সালে, নেভাদায়। অনেকের মতে, জুয়া খেলা পৃথিবীর অন্যতম বড় শিল্প। বলা হয় এটি মোটামুটি ৫০০ বিলিয়ন ডলারের শিল্প। আর অনলাইনে জুয়া খেলার যে ব্যবসা গড়ে উঠেছে, তাও ক্রমেই বড় হচ্ছে। যেমন ২০১৭ সালে অনলাইন জুয়ার বাজার ছিল ৪৫.৮ বিলিয়ন ডলারের। ক্যাসিনো বললেই অনেকের কল্পনায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নাম। তবে অনেকেই হয়তো অবাক হবেন, ক্যাসিনোতে কিন্তু এশিয়াই এগিয়ে। ২০১৫-১৬ সময়ে বিশ্বব্যাপী ক্যাসিনো থেকে যে আয় হয়েছে, তার ৪৩.৪ শতাংশই এসেছে এশিয়া ও প্যাসিফিক থেকে। এরপরই আছে যুক্তরাষ্ট্র, ৪০.১ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে আছে ইএমইএ (ইউরোপ, মধ্য এশিয়া ও আফ্রিকা) অঞ্চল। এই অঞ্চলের আয় ১০ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা কানাডার আয় ৩.৪ শতাংশ এবং সবশেষে লাতিন আমেরিকা, ৩.১ শতাংশ।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.