--- বিজ্ঞাপন ---

ভুয়া কনটেন্ট নিয়ে বিপাকে ইউটিউব

0

যেনতেনভাবে ইউটিউব থেকে আয়। ফলে এ ইউটিউব হয়ে উঠেছে যাচ্ছেতাই কান্ডের কারখানা। ভালো কিছু দেখা, শুনা বা পড়ার জন্য বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইউটিউবে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। কিন্ত বাস্তব চিত্র বলছে অন্যকথা। ইউটিউবে সব কিছু কি সত্য। অবশ্যই না। তাহলে ভূয়া কনটেন্ট। আর এই ভূয়া কনটেন্টের দাপট এতই বেড়ে চলেছে যা নিয়ে বিরক্ত খোদ বিজ্ঞাপন দাতারা।

তাদের অভিযোগ, ইউটিউব এখনো ভুয়া কনটেন্টে ভরা। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ক্যানসার নিরাময়-সংক্রান্ত ভুয়া কনটেন্টের পাশে বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলোর বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে গুগল। বিষয়টি গুগলের জন্য এখন বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ইউটিউব বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে অনেক বড়ো ব্র্যান্ড। এর আগেও ইউটিউবে বাজে কনটেন্টের কারণে বিজ্ঞাপনদাতারা এই প্ল্যাটফরম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর গুগল বাজে কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। গুগলে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনদাতাদের মধ্যে স্যামসাং ও প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল শীর্ষস্থানে রয়েছে। ২০১৭ সালে কয়েকটি বড়ো ব্র্যান্ড ইউটিউবে অযৌক্তিক কনটেন্টের সঙ্গে তাদের বিজ্ঞাপন দেখানো নিয়ে অভিযোগ তোলে। তখন বিজ্ঞাপনদাতাদের আস্থা অর্জনে গুগল কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এটিঅ্যান্ডটির মতো বড়ো গ্রাহক ইউটিউব থেকে দুই বছরের বেশি সময় দূরে রয়েছে। ব্র্যান্ডের সুনাম রক্ষায় বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড গুগলকে বাজে কনটেন্টে বিজ্ঞাপন দেখানো হলে বিজ্ঞাপন না চালানোর হুমকি দিয়েছে। প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারবে এমন প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হওয়ার কথা বলেছে। গুগলের বিজ্ঞাপন আয় বাড়ানোর একটি বড়ো উত্স হচ্ছে ইউটিউব। বর্তমান সমস্যাটি গুগলের জন্য বড়ো ধাক্কা হতে পারে। গুগল এখন ক্লাউড সেবার দিকে মনোযোগ দিলেও বিজ্ঞাপন তাদের আয়ের একটি বড়ো উত্স। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের মূল আয়ের ৮৪ শতাংশ এসেছে বিজ্ঞাপন থেকে।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.