--- বিজ্ঞাপন ---

সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৫ তম, ভারত ৪, পাকিস্তান ১৫, মিয়ানমারের ৩৭

0

সামরিক শক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নৌ-পথ ও স্থল পথে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বাড়ছে। গত এক বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের সামরিক শক্তির  ১১ ধাপ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার’র প্রতিবেদনে পাওয়া তথ্য মতে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬ থেকে এখন ৪৫। অপরদিকে পাকিস্তান এসেছে ১৭ থেকে ১৫ তে। তবে ভারতও তাদের অবস্থান সংহত করে  ৪ নাম্বারে উঠে এসেছে। মিয়ানমারের অবস্থান ৩৭তম।

সামরিক শক্তিতে কার অবস্থান কি করকম এ রকম একটি জরীপ চালায় বিশ্বের প্রভাবশালী সামরিক খাত গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। গত ২০০৬ সাল থেকে তারা এ জরীপ চারিয়ে আসছে । ১৩৭ টি দেশের উপর করা এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এখন ৪৫তম সামরিক শক্তির অধিকারী দেশ। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল অবস্থান ৪৫তম। প্রতিবেদনে বিশ্বের সামরিক শক্তিশালী দেশের মধ্যে প্রথম থেকে ২০ এর মধ্যে দেশগুলো হলো  যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত , ফ্রান্স, জাপান,  দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য,  তুরস্ক,  জার্মানি. ইতালি, মিসর, ব্রাজিল, ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইসরায়েল, উত্তর কোরিয়া,  অস্ট্রেলিয়া ও  স্পেন।সবচেয়ে নিচের তালিকায় রয়েছে ভুটান।  ।

সামরিক শক্তিতে সবচেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে ভারত ৷ পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোট যে বোমায় কেঁপে উঠেছিল, সেই শক্তিশালী স্পাইস বোমা এবার আরও বেশি সংখ্যায় চলে এল ভারতে ৷ ইজরায়েলি সংস্থার কাছ থেকে স্পাইস ২০০০ বোমা নিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা ৷ প্রথম দফায় স্পাইস ২০০০ বোমা এবং মার্ক ৮৪ ওয়ারহেডস গুলি এসে পৌঁছেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র মিরাজ ২০০০ যুদ্ধ বিমানগুলির বেস হল এই গোয়ালিয়রের বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি ৷ গোটা একটা বিল্ডিং ভেঙে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই স্পাইস ২০০০ বোমাগুলি ৷ পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে স্পাইস ২০০০ বোমার ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ নতুন বোমা ও তার সরঞ্জাম কিনতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ৷ বাঙ্কার থেকে শুরু করে বড় বড় বিল্ডিং সবই ধ্বংস করতে সক্ষম এই শক্তিশালী বোমা ৷

এ অঞ্চলের দেশগুলো হঠাৎ করে সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। বিশেষ করে ভারত ও পাকিস্তান। পাশাপাশি মিয়ানমারের কারনে বাংলাদেশেরও সামরিক শক্তি বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.