--- বিজ্ঞাপন ---

ফেরাউন আসলে কারও নাম না, মৃত্যুর পর আত্মা কি বেচেঁ থাকে?

0

প্রাচীন মিসরের মানুষ এখনও পুরানো অনেক ধ্যান ধারনা মাথায় রেখে পথ চলেন। বিশেষ করে পিরামিড নিয়ে তরুন মিসরীয়দের মনে কৌতুহলের শেষ নেই। মিসরের মানুষদের বেশিরভাগই এখনও বিশ্বাস করে তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মা এখনও বেচেঁ আছে।

মৃত্যুর পরও কি আত্মা বেঁচে থাকে। এমন বিশ্বাস অনেকে এখনও করেন। যেমনটি করতেন মিসরীয়রা। তারা আত্মাকে ঘর বন্দী করে রাখতেন। এমনভাবে করতেন যাতে আত্মা সেখান থেকে বের হতে না পারে! মিসরের পিরামিড হলো সেসব আত্মাদের ঘর-বাড়ী। তাদের বিশ্বাস ছিল আত্মা জীবিত আছে, তাই তার খাবারের প্রয়োজন। এমন কি কাপড়-চোপড়ের ব্যবস্থাও করতেন। এসব অদ্ভুত বিষয় সবসময় সক্রিয় থাকতো প্রাচীন মিসরীয়দের মনে। মারা যাওয়া মানুষকে মমি করে পাথরের পাহাড়ের ভেতর রেখে দিতেন তারা। মিসরীয় প্রভাবশালী কোন নেতা বা রাজা মারা গেলে তো কথাই নেই। তার আত্মার ঘর হতো বিশাল। বছরের পর বছর ধরে চলতো এর নির্মান কাজ। এত এত বড় পাহাড় কিভাবে যে তৈরি করেছিল তারা তার কুল কিনারা এখনও কেউ করতে পারেনি। তাই মিসরের পিরামিড হলো পৃথিবীর আশ্চর্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম।
প্রাচীন মিসর শাসন করতো ফেরাউনরা। অনেকে মনে করেন ফেরাউন বুঝি কারও নাম। আসলে তা নয়, ফেরাউন কারও নাম না। এটি হলো খেতাব। প্রাচীন মিসরে যারা রাজ্য শাসন করতো তাদের ফেরাউন বলে অভিহিত করা হতো। হযরত মুসা জম্মগ্রহণ করেছিলেন ফেরাউনের আমলে। ফেরাউনদের অনেকে বেচেঁ ছিলেন ৪০০/৫০০ বছর! এসব ফেরাউন এতই প্রভাবশালী ছিলেন যে, তাদের মৃত্যুর পর ধন-দৌলতও আত্মার সাথে দিয়ে দেয়া হতো।


মিসরের পিরামিডগুলো হলো আসলে ফেরাউন বা প্রাচীন মিসরীয়দের কবর। মিসওে ৭৫টি পিরামিড আছে। সবচেয়ে বড় আকর্ষনীয় পিরামিডটির নাম গীজার পিরামিড। উচ্চতা প্রায় ৪৮১ ফুট। সাড়ে সাত’শ বর্গফুট জমির উপর এটি নির্মিত। মিসরের পাথর খন্ডের এক একটির ওজন ছিল প্রায় ৬০ টন! দৈর্ঘ্য ৪০ থেকে ৫০ ফুট। বহুদুর থেকে এগুলো এনে জোড়া লাগানো হতো। মানুষরাই এগুলো রশি বেধেঁ টেনে টেনে আনতো। অনেক চিত্রে এসব পিরামিড তৈরির কষ্টকর দৃশ্য ফুটে রয়েছে। এই পিরামিড এমনভাবে নির্মান করা হয়েছিল যাতে বিন্দুমাত্র কোন ফাঁক না থাকে। পাথরের এসব নির্মান শৈলি আজও মানুষের মনে নানা রহস্যের জম্ম দেয়। এখনও মিসরের অনেক মানুষ পুরানো দিনের এসব বিশ্বাস লালন করে চলেছে।###

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.