--- বিজ্ঞাপন ---

সুইস ব্যাংকে ২০১৭ সালে ভারতীয়দের ৭ হাজার কোটি টাকা জমা

0

আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ বাইরে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ আগেই নিয়েছিল ভারত। পাচার বেড়ে যাওয়ার কারনে এর আগে মোদী সরকার ভারতে ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট নিষিদ্ধ করে। ভারতীয়রা বেশিরভাগ টাকা পাচার করে রাখতেন সুইস ব্যাংকে। পূর্বে ভারত সরকার সুইস ব্যাংকে রাখা টাকার হিসেব না পেলেও বর্তমানে সুইস ব্যাংকের সাথে হওয়া চুক্তি অনুসারে সব তথ্য তারা দিচ্ছে ভারত সরকারকে। তবে তা দু’বছর পর পর।

সুইস ব্যাঙ্কে যে সব ভারতবাসীর অর্থ গচ্ছিত রয়েছে, তার প্রথম তালিকা ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সুইজারল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।

এ বছর জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেই প্রথম এ সম্পর্কিত খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সে খবরে জানানো হয়েছিল, অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অফ ইনফর্মেশন (এইওআই) কর্মসূচির আওতায় ভারতের যেসব বাসিন্দাদের সুইস ব্যাঙ্কে বর্তমানে অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলির আর্থিক তথ্য ভারত সরকারকে দেওয়া হবে। ২০১৮ সালে যেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলিও দেওয়া হবে সরকারকে। পরবর্তী দফায় এ সম্পর্কিত তথ্য ভারতের হাতে আসবে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।

২০১৬ সালে ভারত ও সুইজারল্যান্ড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আদানপ্রদান সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে বলবৎ হয়। সারা পৃথিবীতেই এ ধরনের তথ্য দেওয়ানেওয়া চালু রয়েছে কমন রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড নামক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে। এই পদ্ধতি চালু করেছে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)।

দুটি সুইস এজেন্সির বক্তব্য অনুসারে- এ বছর মোট ৭৫টি দেশকে এ সম্পর্কিত তথ্য দেওয়া হচ্ছে, যার একটি ভারত। গত বছর ৩৬টি দেশকে এ ধরনের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল। ভারতীয়রা কত পরিমাণ সম্পদ সুইস ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে মজুত করে রেখেছেন, সে সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারে এই তথ্য। ২০১৮ সালে জুরিখের সুইস ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল তিন বছর ঘাটতির পর, ২০১৭ সালে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের অর্থ মজুত করার পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭০০০ কোটি টাকায়।##৮.১০.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.