--- বিজ্ঞাপন ---

আবরার ফাহাদের আত্মীয়া ‘মাহবুবা খন্দকার’ এর টাইমলাইন থেকে

0

আবরার ফাহাদ রাব্বি, তোর মাকে দেখতে গিয়েছিলাম ভাই।আমাকে জড়িয়ে এমন কান্নাটা না কেঁদেছে আর বলেছে “১০ দিন বাড়ি ছিল গতকাল আমি ছেলেটাকে নিজে বাসে তুলে দিয়ে এলাম আর বললাম যে খাবারগুলো দিয়ে দিলাম খেয়ে নিস বাবা। পৌঁছে আমাকে ফোন দিয়েছিল। রাত ১০ টার পরে ফোন দিয়ে ওকে পাইনি,ভেবেছি জার্নি করায় ঘুমিয়ে পড়েছে। আমার ছেলে যদি কিছু করেই থাকে আমাকে বললি না কেন, আমি ওকে বুঝিয়ে বলতাম। ও যে আমার কত বাধ্য ছেলে।”

কি বলে তাকে সান্ত্বনা দেবো – আমি যে দেখেছি ছেলেদের জন্য সে কী দৌড়াদৌড়ি করেছে, স্কুল, কোচিংসেন্টার, স্যারের বাড়ি। মাস্টার্স ডিগ্রী পাশ করেও চাকরি করেনি ছেলে দুইটা মানুষ করার জন্য। মানুষও করেছে কিন্তু এভাবে তাকে কাঁদতে হবে তা কখনো ভেবেছে কি??

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধা তালিকায় ১৩তম, মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারপর বুয়েটে চান্স পেয়ে অন্যগুলো বাদ দিয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েছে। লেখাপড়া ভিন্ন অন্যচিন্তা যার নেই সেই সন্তানের মা হওয়া কতই না গর্বের। আল্লাহ তোকে জান্নাতবাসী করুন দোয়া করি মনেপ্রাণে। ছোটবেলার তোর ঐ আধো আধো বোল ভীষণ মনে পড়ছে রে।

এমন শান্তশিষ্ট ভদ্র প্রখর মেধাবী ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.