--- বিজ্ঞাপন ---

সাংবাদিক সম্মেলনে কি বলেছেন প্রধানমন্ত্রী

0

ডেস্ক রিপোর্টঃ ভারতে এলপিজি গ্যাস রপ্তানি এবং ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে এটা কখনো হতে পারে না।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। নিউইয়র্ক ও দিল্লি সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এলপিজি গ্যাস প্রাকৃতিক গ্যাস নয়, এটা আমাদের দেশে উৎপাদন হয় না। এটা আমাদের প্রাকৃতিক নয়, আমদানি করা গ্যাস। ত্রিপুরায় যে গ্যাস দিচ্ছি, সেগুলো আমদানি করা গ্যাস।’

তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে গ্যাস বিক্রি না করার কথা বলায় আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আজকে যারা খুব সমালোচনা করছে, গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে সেই বিএনপি-জামায়াত ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ শেখ হাসিনা বিক্রি করবে এটা কখনো হতে পারে না। বরং যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো একেকটা করে আমরা সমাধান করছি।’

তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরা যদি কিছু চায় আমাদের দিতে হবে। কারণ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদের বাহিনীর নির্যাতনের মুখে ত্রিপুরা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। সেখানে আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’

ফেনী নদীর পানি বণ্টন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি যদি বলি ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? বলুন তো যারা এটা নিয়ে অনেক কথা বলছেন এটা কোথায়? এটার উৎপত্তি খাগড়াছড়ি। এটার বড় অংশ হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুদেশেরই স্বার্থ থাকে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে পরিমাণ পানি তাদের দিচ্ছি তা অত্যন্ত নগণ্য। এত বড় একটা নদী, যার বড় অংশ আমাদের ফেনী-ছাগলনাইয়ায়। এটা নিয়ে কেন এত চিৎকার আমি বুঝি না। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আমরা যদি না দিই এটা কেমন দেখায়?’

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা নদীর বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন- সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে এ সমস্যার সমাধানে তিনি আগ্রহী।

তিনি বলেন, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তিনি আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহী বলে জানান।

৯৬ সাল পর্যন্ত যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো, এরাই প্রকৃত আওয়ামী লীগার। সামনের নির্বাচনে এই মানুষ গুলোকে মাঠের কর্মী হিসাবে নামানোর চেষ্টা করুন। কারণ ভালো মানুষ হিসাবে, সৎ আওয়ামী লীগার হিসাবে সমাজে একমাত্র এদের গ্রহনযোগ্যতাই সবচেয়ে বেশী।

২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত নির্যাতনের স্বীকার ওরাই, এক এগারো এর মোকাবিলা করেছিল মূলত ঐ মানুষ গুলোই।

অথচ জরিপ করলে দেখা যাবে ৯৫% ঐ আওয়ামী লীগার, সরকারের এই দুই মেয়াদে দলীয়ভাবে চরম অবহেলিত।

কিসের ছাত্রলীগ, সে বিবেচনা করব না

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারে নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘কিসের ছাত্রলীগ, সে বিবেচনা করব না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই। অপরাধী অপরাধীই।’

শেখ হাসিনা বলেছেন, অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয় যা–ই হোক, নিশ্চিত করা হবে সর্বোচ্চ শাস্তি। “বাংলাদেশের প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রত্যেকটি হলে হলে সার্চ করা হবে।
জনগণের অর্থে মাত্র ৩০ টাকায় হলে থেকে মাস্তানি সহ্য করা হবে না…। ”

জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ২২ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লি সফর করেন।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.