--- বিজ্ঞাপন ---

সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায়ে বিপিসির রেকর্ড সাফল্য

0

মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম,(১০ অক্টোবর ২০১৯ ইং): দেশের অভ্যন্তরে  জ্বালানি তেল আমদানি, পরিশোধন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত  রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি)।অতি সম্প্রতি বিপিসি  আওতাধীন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নিকট অতীতের পাওনা প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি গত এক বছরের আয় বৃদ্ধি করেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ।জানা গেছে, প্রতিষ্ঠনটির বর্তমান চেয়ারম্যান সরকারের সচিব জনাব মো:সামছুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর তার সফল ব্যবস্থাপনায় বকেয়া আদায়ে কঠোরতা অবলম্বন করায় বিপিসির অতীতের বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাওনা আদায় সম্ভব হয়েছে ।

বিপিসি সূত্রে জানা গেছে, সমগ্র দেশে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৩টি কোম্পানির (পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা) মাধ্যমে জ্বালানি সরবরাহ করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বর্তমানে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে বর্হি:সমুদ্র কুতুবদিয়া হতে মাদারভেসেলে (বড় জাহাজ) আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেল পাইপ লাইনের মাধ্যমে পতেঙ্গাস্থ  ইষ্টার্ণ রিফাইনারি লি: (ইআরএল) এ পরিবহণের জন্য সিংগেল পয়েন্ট মুড়িং (এসপিএম) প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইন প্রকল্প, কুর্মিটোলা-কাঞ্চন ব্রিজ, রুপগঞ্জ পর্যন্ত জেট-এ-১ পাইপ লাইন প্রকল্প, ইষ্টার্ণ রিফাইনারি লি: (ইআরএল) ২য় ইউনিট প্রকল্প এবং ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপ লাইন প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।গত এক বছরে বর্ণিত প্রকল্পসমূহের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং যথাসময়ে প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হবে মর্মে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

 

 

 

সূত্রে আরও জানা গেছে , জ্বালানি তেল পরিমাপ ও সরবরাহ পদ্ধতি আধুনিকায়ণের মাধ্যমে চট্টগ্রামস্থ প্রধান স্থাপনাসহ দেশের সকল ডিপোর অপারেশনাল কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনার  উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।ফলে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিতকরনসহ সিস্টেম লজ সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকবে বলে বিপিসি সূত্রটি জানায়। এছাড়া, কর্তৃপক্ষের দৃঢ় পদক্ষেপে বিভিন্ন  বিপণন কোম্পানির (পদ্মা, মেঘনা ,যমুনা ও এসএওসিএল) নিকট বিপিসির দীর্ঘদিনের পাওনা গত ফেব্রুয়ারি,২০১৯ মাসে আদায়,সমন্বয় করা সম্ভব হয়েছে।এবং  সরকারের বিভিন্ন পাওনা ভ্যাট,ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়েছে। বিমানের নিকট দীর্ঘ দিনের বকেয়া পাওনা আদায়েও উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে মর্মে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। জ্বালানি তেলের মূল্য আদায়ে পেমেন্ট অটোমেশনাল কার্যক্রমও হাতে নিয়েছে বিপিসি। বর্তমানে উক্ত কার্যক্রম গ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।জ্বালানি তেলের মূল্য আদায়ে পেমেন্ট অটোমেশনাল কার্যক্রম বাস্তাবায়িত হলে রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটির যাবতীয় আর্থিক লেনদেনে অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।

 

তাছাড়া, জনবল কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) অনুযায়ী বিপিসি ও এর অধীনস্থ কোম্পানীসমূহে প্রায় ৫০০০ জন জনবল থাকলে বর্তমানে প্রায় ৪,৫০০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিরলসভাবে দেশে জ্বালানি তেলের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। যাহা বর্তমান সময়ে আরো বৃদ্ধি করা হয়েছে । তাদের দক্ষতা উন্নয়নে সম্প্রতি বিপিসিÕর নিজস্ব জায়গায় শহরের জামালখাঁনস্থ জয়পাহাড়ে ব্রিটিশ আমলের একটি পরিত্যক্ত বাড়ী সংস্কার করে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গত ২৬-০৯-২০১৯ তারিখে চালু করা হয়েছে। এছাড়া, আমদানিকৃত জ্বালানি তেল জাহাজ হতে খালাস, পরিবহন, ট্যাংকে রিসিভ, পরিমাপসহ যাবতীয় কাজে অধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষ্যে বিপিসি কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাগণকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর দায়িত্ব প্রদান করছে। উল্লেখ্য যে, জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধ, পরিমাপ সঠিক প্রদানে দেশের সকল ফিলিং ষ্টেশন, ডিলার এর কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য বিপণন কোম্পানি, বিপিসি, বিএসটিআই, স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশব্যাপী অভিযান জোরদার করা হয়েছে।জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপিসির বর্তমান কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে মর্মে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টগণ আশা প্রকাশ করছেন।

 

প্রায়  ৪০ বছরের পুরাতন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমানে চট্রগ্রাম ও ঢাকাতে নিজস্ব কোন অফিস ভবন নাই। যে সমস্যার সমাধানে চট্টগ্রামে নগরীর জামালখানস্থ জয়পাহাড় স্টেটে নিজস্ব ভবন নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এজন্য দেশীয়  ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়াটি বর্তমানে যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এছাড়া  ঢাকাতে একটি  নিজস্ব  অফিস ভবন নির্মানের  প্রচেষ্টা চলছে ।

## চট্টগ্রাম, ১০.১০.২০১৯ইং।

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.