--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে নাগরিকগণ আবরার হত্যা, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ক্যাসিনো, কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন

0

চট্টগ্রাম,(১২ অক্টোবর,২০১৯ ইং): চট্টগ্রামের নাগরিকগণ হাতে হাত রেখে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকান্ড, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, ক্যাসিনো এবং কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন। দুপুরের তীব্র রোদ উপেক্ষা করে নাগরিক সমাজের এই মানববন্ধন ও সংহতি সমাবেশ দৃষ্টি কাড়ে অনেকের। এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ছাড়াও ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের  প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

নাগরিকদের এ সমর্থন সুচক ঐক্যে চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও সমর্থন জানিয়ে চট্টগ্রামেও দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো মালিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। শনিবার সকালে প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগে আয়োজিত মানব বন্ধনে এ ঘোষনা দেন মেয়র নাছির।

মানববন্ধনে মেয়র নাছির প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতি, জুয়া এবং ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেও যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিজের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নজির ঘটনা। এখান থেকে বিপদগামী দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য বার্তা রয়েছে বলে মেয়র মনে করেন।

মানববন্ধন ও সমাবেশ চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়কারী সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায়ে অনুষ্ঠিত মাবনবন্ধন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও প্রাবন্ধিক লেখক শেখ মুজিব আহমেদ। একাত্ততা প্রকাশ করে মানববন্ধন ও সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন একাত্ততা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদরিস আলী,  সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ইকবাল, মোহাম্মদ ঈসা, চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসা, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ সাহা, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. আহসান উল্লাহ, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক এড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, মহানগর পুজা উদযাপন পরিষদ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেব নাথ, কবি অ্যাডভোকেট তুতুল বাহার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, সাংস্কৃতিক সংগঠক দেওয়ান মাকসুদ আহমেদ, ছড়াকার ও লেখক আ ফ ম মোদাছের আলী, আইনজীবী ও কবি তুতুল বাহার, মানবাধিকার সংগঠক আমিনুল হক বাবু, নগর যুবলীগের সদস্য ওয়াহিদুল আলম শিমুল, জাবেদুল আলম সুমন, এম এ মান্নান শিমুল, সুমন সাহেদ সিদ্দিকী, স্বেচছাসেবক লীগ নেতা মুকসুদ আলী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, ইয়াছির আরাফাত, কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভিপি টিপু শীল জয়দেব, রুমকী সেন গুপ্ত, উমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সভাপতি কারিমা বেগম বিজলী, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের শামসের নাহিদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ চক্রবর্ত্তী, নগর ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছির আরাফাত বাপ্পী, মাকসুদুর রহমান মাসুদ, এম আই শহীদ, আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক জিএস জাফর আলম রবিন, বাউবি ছাত্র ঐক্যপরিষদের সভাপতি কারিমা বেগম বিছলি, ব্রাইট বাংলাদেশের শামশের নাহিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী কবি সজল দাশ, নারায়ন দাশ, জনি বড়ুয়া প্রমুখ।

মেয়র নাছির বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা নিন্দা ও গভীর শোক জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স চট্টগ্রামবাসী সহ দেশবাসী সমর্থন জানিয়েছে । এই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শক্তি যাতে দেশের গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য নাগরিকদের দায়িত্বশীলতার কথাও উল্লেখ করেছেন মেয়র। তিনি বলেন, নিকটাত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও যুবলীগ সভাপতির ক্ষেত্রেও কঠোর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর (যুবলীগ সভাপতির) বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক  হিসাব তলব করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শিক্ষণীয়।

আবরার হত্যার বিচারের প্রক্রিয়ায় সরকার ও আওয়ামীলীগ সচেতনভাবেই  দায়িত্ব পালন করেছে । মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির ইতিহাস। তিনি প্রসঙ্গক্রমে  ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হত্যা ও ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, রাতের আঁধারে স্বজন হারিয়ে, দিবালোকে বারে বারে হামলার শিকার হয়েও  প্রধানমন্ত্রী ও জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের শান্তি  উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন করেছেন । তাঁকে সমর্থন দেয়া ও নাগরিক সমাজের দায়িত্ব।

মেয়র নাছির বলেন, ক্যাসিনো জুয়া, দুর্নীতি বন্ধে শুদ্ধি অভিযান ও বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকান্ডে দোষীদের শাস্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ সাদরে গ্রহণ করেছে দেশের জনগণ।

মানব বন্ধন সমাবেশটিতে সভাপতির বক্তব্যে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে কোন ক্যাম্পাস হত্যাকান্ডের ক্ষেত্রে এত দ্রুত আসামি  গ্রেফতার ও প্রশাসন এত দৃঢ় অবস্থান নেয়া  লক্ষ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদক জঙ্গিবাদ ও কালোটাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সকে চট্টগ্রামবাসীসহ দেশবাসী স্বাগত জানিয়েছেন ।

আবরার হত্যাকান্ডকে কেন্দ করে ইতিহাসের কোন কালো শক্তিকে কোন মহল যাতে আহ্বান জানাতে না পারে, সে ব্যাপারেও নাগরিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান এই নাগরিক সংগঠক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ, ক্যাসিনো-জুয়া বিরোধী  যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন তাকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের নাগরিক উদ্যোগের মানববন্ধনটি এক জনসমাবেশে রূপান্তরিত হয় এবং বক্তাগন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যেকোন সাহসী পদক্ষেপে চট্টগ্রামবাসী  তার পাশে থাকবে । প্রধানমন্ত্রী  বিশ্বনন্দিত জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গীবাদ, ক্যাসিনো-জুয়া বিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুর“ করেছে এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন। অপরাধী যত বড় নেতা, আমলা ও ব্যক্তি হোন না কেন, এই অভিযান থেকে কারো রক্ষা নেই। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্ভীক ও সাহসী প্রত্যয় জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছে।

## শহীদ, চট্টগ্রাম, ১২.১০.২০১৯ ইং।

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.