--- বিজ্ঞাপন ---

চাঁদাবাজিতে শিবির-যুবলীগ মিলেমিশে!

0

চট্টগ্রাম,( ২৫ অক্টোবর, ২০১৯ ইং):  নগরীতে যুবলীগ কর্মী পরিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে  চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

পুলিশ  জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে অবস্থান করা দুই কুখ্যাত শিবির ক্যাডার সরওয়ার ও ম্যাক্সন এবং যুবলীগ ক্যাডার একরামের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি, আকবর শাহ, অক্সিজেন, মুরাদপুরসহ আশপাশের এলাকায় তাদের নামে চাঁদাবাজি চলছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত এ পাঁচজন হচ্ছে, মো. তুহিন (২৮), রুহুল আমিন (২১),সুজন (২৯) জাবেদ ওরফে ভাগিনা জাবেদ (৩১) ও রনি (২০)।জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুলিশকে জানায় , সরওয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের নামে তারা চাঁদাবাজি করে আসছে। চাঁদার ভাগ কাতারে পাঠানো হয় ।

অতি সম্প্রতি  নগরীর দুজন ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে হয়রানি করেছে গ্রেফতারকৃত এ পাঁচজন। একজনের বাড়িতে পেট্রোল বোমাও নিক্ষেপ করে তারা। এতথ্য পাবার পর পুলিশী অভিযানে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (বায়েজিদ বোস্তামি জোন) পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, দুজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে আমরা সরওয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি। তারা কাতারে বসে সন্ত্রাসীদের দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে চাঁদাবাজি করাচ্ছে। তিনজনের নির্দেশে চাঁদাবাজিতে জড়িত পাঁচ যুবককে আমরা গ্রেফতার করেছি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রিটন সরকার  জানান, ২০১৭ সালে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে কাতারে চলে যায় সরোয়ার ও ম্যাক্সন। গত বছর (২০১৮) নগরীর পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় তাসফিয়া আমিন নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একরামকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপর একরামও পালিয়ে কাতারে চলে যায়।

পরিদর্শক প্রিটন আরও জানান, নগরীর মুরাদপুরের এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে  গত ৬ সেপ্টেম্বর   চাঁদা দাবি করে গ্রেফতার হওয়া এসকল যুবকরা। এসময় তারা ওই ব্যবসায়ীকে সরোয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের নির্দেশের কথা জানায়। কথামতো চাঁদা না দেয়ায় ২৩ সেপ্টেম্বর নয়াহাটে তার বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে ওই ব্যবসায়ী থানায় কোনো অভিযোগ সেসময় করেননি। পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর তিনি থানায় গিয়ে মামলা করেছেন।

পরিদর্শক প্রিটন বলেন,  উজ্জ্বল দেওয়ানজী নামে  আরও এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নামে টাকা দাবির মৌখিক অভিযোগ পাই। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা জানতে পারি সরোয়ার, ম্যাক্সন ও একরাম কাতারে অবস্থান করে গ্রেফতার হওয়া রুহুল আমিনের মাধ্যমে উজ্জ্বলের কাছ থেকে টাকা চেয়েছে। রুহুল আমিনের খোঁজ পেয়ে আমরা এদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করি। গ্রেফতার  হওয়া চাঁদাবাজরা চাঁদা চাইতে গিয়ে অনেকসময় কাতারে সরওয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয় বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানিয়ে আপসে অনেকের টাকা দেয়ার তথ্যও আমাদের কাছে আছে, বলেন এই পুলিশ পরিদর্শক।

## শহীদ

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.