--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে  “ক্লিন হ্যান্ডস্ ফর অল” জাতীয় স্যানিটেশন ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত।

0

চট্টগ্রাম, ( ৩০ অক্টোবর, ২০১৯ ইং): জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে “সকলের জন্য উন্নত স্যানিটেশন, নিশ্চিত হোক সুস্বাস্থ্য জীবন”এবং  “ক্লিন হ্যান্ডস্ ফর অল” -এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে  বুধবার ৩০ অক্টোবর সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস থেকে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য ‌র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পুনঃরায় সার্কিট হাউসে এসে শেষ হয়। র‌্যালিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এরপর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে ক্ষুদে ডাক্তারদের হাত ধোয়া প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। ক্ষুদে ডাক্তারেরা স্যানিটেশন ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

এর আগে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। সকাল ১১টায় দিবসটি উপলক্ষে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ের আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ সামসুদ্দোহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ সুলতান মিয়া ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম মাওলা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান। সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন  জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার প্রকৌশলী মোঃ গোলাম মোর্শেদ। মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে স্যানিটেশন ব্যবস্থা বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানের প্রকৗশলী সুমন রায়। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হাসান রশিদ ও  বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া সভায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থার প্রতিনিধি, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিলেন  ইউনিসেফ, ব্র্যাক,  ডিএসকে, ডব্লিউএসসিসি, ইপসা, অপকা, উসাপ ও কোডেক।

জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, শরীরকে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত রাখতে হলে খাবারের আগে ও পরে, মলত্যাগের পরে বিশুদ্ধ পানি ও সাবান  দিয়ে ভাল করে হাত ধোয়ার পাশাপাশি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। বদ্ধ পায়খানা ব্যবহার থেকে বিরত থেকে স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহার করতে হবে। জীবানুমুক্ত  জীবন গড়তে হলে ওয়াশ রুম, ল্যাট্টিন, বেসিনসহ অন্যান্য জিনিষগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এমন কি থালা-বাসন ও শতভাগ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খাবারে মশা, মাছি, পোকা মাকড় ও অন্যান্য জীবানু যাতে না বসে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।  খাবারের  আগে ও পরে দাত ব্রাশ করা, সঠিক সময়ে নখ কাটা, গোসল করা, পরিস্কার পোষাক  পরিধান করা ও  নিজেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে বিভিন্ন রোগ থেকে  ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ প্রতিকার পাওয়া যায়। যে খাবার শরীরের জন্য নিরাপদ নয়, সে খাবার নিজেও খাবো না অপরকে না খেতে পরামর্শ দেব। সুস্থ সবল জাতি গঠনে উন্নত স্যানিটেশনের কোন বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা যদি নিরাপদ পানি ও খাবার খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারি তাহলে মানুষ আরও দীর্ঘায়ু হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুইলে স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। অনিরাপদ পানি পান ও দুর্বল স্যানিটেশন ব্যবস্থার কারণে ডায়রিয়া রোগ দেখা দিতে পারে। শরীরে কৃমিও প্রবেশ করতে পারে। নিয়মিতভাবে হাত ধুইলে ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে  কমপক্ষে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়রিয়া ও শ্বাস প্রশ্বাস জনিতরোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। জীবনকে সুস্থ রাখতে হলে সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে  নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ভালো করে হাত ধুইয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি স্যানিটেশন ও  হাত ধোয়া বিষয়ে সচেতন করতে  স্কুল, কলেজ,  মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, মন্দির ও গির্জাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে  প্রচার প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।

## শহীদ, চট্টগ্রাম, ৩০.১০.২০১৯ ইং।

 

 

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.