--- বিজ্ঞাপন ---

চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১১ সশস্ত্র ডাকাত গ্রেফতার।

0

চট্টগ্রাম,(০২ নভেম্বর ২০১৯ ইং): চট্টগ্রামে এক ভর্য়কর ডাকাত চক্রের সন্ধান পেয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। নগরীর  কোতোয়ালী থানার টাইগারপাস এলাকা থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওই দলের ১১ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে জানা গেছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোরের দিকে বাস-ট্রেনের যাত্রীদের  সর্বস্ব কেড়ে নিতেন তারা।

শনিবার ২ নভেম্বর ভোর ৪টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।

গ্রেফতার ১১ ডাকাত হচ্ছে,  মো. সালাউদ্দিন (২৪), মো. রাজু (১৯), ইসরাফিল হোসেন আলম (২২), মো. আকবর হোসেন (২২), মো. সেলিম (২৮), মো. টিটু (২৫), মো. ইয়াসিন (২৩), মো. ফজর আলী (৩৫), সুমন (২৫), রহিম প্রকাশ হৃদয় (২২) ও মো. পলাশ হোসেন (২৫)।গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরি দেশীয় এলজি, ২টি কার্তুজ, ২টি কালো রংয়ের টিপ ছোরা, একটি লোহার তৈরি ছেনি, ৩টি কাঠের বাটযুক্ত কিরিচ, একটি সাদা রংয়ের পিকআপ, একটি সিলভার রংয়ের প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের  দক্ষিণ জোন কার্যালয়ে এই ডাকাতদলের বর্ণনা দিতে গিয়ে এস এম মেহেদী হাসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্য তাদের নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে ডাকাতি করত। তাদের টার্গেট ছিল ভোরে নগরে আসা বাস-ট্রেনের যাত্রীরা। যাত্রীদের অনুসরণ করে নির্জন জায়গা বুঝে অস্ত্র ও ছুরি ঠেকিয়ে মোবাইল, টাকা ছাড়াও নিয়ে নিত সঙ্গে থাকা পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র। তারপর যোগাযোগ করে মূল্যবান কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়ার নামে করত আরেক দফা চাঁদা আদায়। ডাকাতি শেষে তারা লুকাত বিভিন্ন পাহাড়ে।

তিনি আরও বলেন, আসামিরা নগরের বাইরেও সুযোগ বুঝে ডাকাতি করত। বাসা, অফিস, দোকানের তালা ভেঙে মালামাল লুট করত। তারা নিজেদের ট্রাকও ব্যবহার করত। তাদের সঙ্গে ঘরভাঙার সরঞ্জামাদি ছাড়া থাকত দেশীয় অস্ত্র। কোথাও বাধার সম্মুখীন হলে ব্যবহার করত সেই অস্ত্র।তিনি বলেন, এই ডাকাতরা ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই দলের প্রধান মো. সালাউদ্দিন আগেও জেল খেটেছেন। বের হয়ে আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে তারা ডাকাতি করতে শুরু করে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।এছাড়াও সুযোগ বুঝে বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ভেঙে মালামাল লুট করত বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও  উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ, এসি কোতোয়ালি নোবেল চাকমা, কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মহসীন।

## শহীদ

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.