--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্বে আধুনিক অস্ত্র বিক্রির শীর্ষে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর দাপট

টপলিস্টের ১০০ বিক্রেতার ২০১৮ সালের টার্নওভার ৪২০ বিলিয়ন ডলার

0

বিশ্বের আধুনিক অস্ত্রের বাজার এখনও আমেরিকার নিয়ন্ত্রনে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমেরিকান অস্ত্র রফতানির পরিমান দিন দিন বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ জিইয়ে রেখে আমেরিকা অস্ত্র সাপ্লাই দিচ্ছে তার মিত্রদের কাছে।

এশিয়া টাইমসের সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববাজারে অস্ত্র রফতানি ও নির্মানের বিষয়ে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট(এসআইপিআরআই) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র ও সামরিক সেবার বিক্রয়  প্রায় পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চীনারা কত টাকার অস্ত্র রফতানি করেছে তা বাদ দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অস্ত্র নির্মাতারা পূর্বের তুলনায় অধিক অস্ত্র বানিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের হিসেবকে সামনে রেখে তা করা হয়েছে। এ সময় বছরে  অস্ত্র বিক্রির সম্মিলিত টার্নওভার ছিল ৪২০ বিলিয়ন ডলার। পূর্বের তুলনায় প্রায় ৫ শতাংশ বেশি। এসআইপিআরআইয়ের অস্ত্র শিল্পের যে ডেটাবেস রয়েছে তার থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্য থেকে দেখা যায়, শীর্ষ ১০০ সংস্থার মধ্যে মার্কিন কোম্পানিগুলোর সামরিক সরঞ্জাম বিক্রয় বহুলাংশে বেড়েছে।

“অপর্যাপ্ত তথ্য” থাকার কারণে চীনকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে এসআইপিআরআইয়ের গবেষণায় যা অনুমান করা হচ্ছে তাতে দেখা যায়, অস্ত্র নির্মাতাদের শীর্ষ দশ র‌্যাঙ্কিংএর মধ্যে অন্তত সাতটি চীনা সংস্থা রয়েছে, যাদের অস্ত্র উৎপাদন ও বিক্রি কোন অংশে কম নয়। মার্কিনীদের অস্ত্র উৎপাদনের গতি পাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো, বেশ কিছু বড় অস্ত্র নির্মানকারী এক হয়ে কাজ করেছে। অস্ত্র নির্মানকারী কোম্পানি নর্থরোপ গুরুম্যান, রাইদিয়ান ও জেনারেল ডায়নামিক্স এ তিন কোম্পানি বিপুল অস্ত্র বানিয়েছে। বলা হচ্ছে মার্কিন ৫ অস্ত্র কোম্পানির গত বছর টার্নওভারই ছিল প্রায় ১৪৮ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প ইতিবাচক ভুমিকা রখেছে। তিনি চীন ও রাশিয়ার সাথে অস্ত্র বানানোর প্রতিযোগিতায় যাতে মার্কিন কোম্পানিগুলো পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য সচেষ্ট ছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে আধুনিক অস্ত্র বানানোর জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছেন।

বিশ্বে আধুনিক অস্ত্র বানানোর ১০০ কোম্পানির মধ্যে ৮০ টিই আমেরিকা, ইউরোপ ও রাশিয়াতে। বাকি ২০ কোম্পানির মধ্যে ৬টি জাপান, ইসরাইল, ভারত ও দক্ষিন কোরিয়ায়। পরবর্তি ৩টির মধ্যে তুরস্কে ২টি, অস্ট্রেলিয়া,, কানাডা ও সিঙ্গাপুরে ১টি করে।

২০০২ সালের পর প্রথমবারের মতো,  অস্ত্র উৎপাদনের র‌্যাকিং এ  শীর্ষ পাঁচটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে। লকহিড মার্টিন, বোনয়িং, নর্থরোপ গ্রুমম্যান, রায়থিয়ন এবং জেনারেল ডায়নামিক্স। যারা গত বছর ১৪৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে। যা পূর্বের তুলনায় বেশি। মোট রফতানির ৩৫ শতাংশ তারা নিয়ন্ত্রন করেছে।রাশিয়া বিশ্বব্যাপী অস্ত্র উৎপাদনে বাজারের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এর পরে যুক্তরাজ্য এবংফ্রান্স। বিশ্ব বাজারে রশিয়ার ১০ টি অস্ত্র কোম্পানির সম্মিলিত বিক্রয় ছিল ৩৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার  যা গত ২০১৭ সালের তুলনায় ০.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।  রাশিয়ার বৃহত্তম অস্ত্র উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলমাজ-অ্যান্টি একমাত্র সংস্থা শীর্ষ দশের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে। রাশিয়াি এ কোম্পানি শীর্ষ ১০০ এ যে অস্ত্র রফতানি করেছে তার মধ্যে ২৭ শতাংশ এর নিয়ন্ত্রক। ২০১৮ সালে আলমাজ-অ্যান্টির অস্ত্র বিক্রয় ১৮ শতাংশ বেড়েছে যার পরিমান ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাগুলির অস্ত্র বিক্রয় ৪.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তারপরও তারা ইউরোপে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র উত্পাদনকারী যুক্তরাজ্যের বিই সিস্টেমস ৬ষ্ট অবস্থানে রয়েছে। তবে  বিক্রি ২০১৮ সালে ৫.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বিক্রি করেছে ২১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা পূর্বেআরও বেশি ছিল।

এদিকে, ফরাসী সংস্থাগুলির সম্মিলিত অস্ত্র বিক্রয় ইউরোপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল। যার পরিমান ২৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।  শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে ছয়টি ফরাসী সংস্থার অস্ত্র বিক্রির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি মূলে রয়েছে যুদ্ধবিমান বিক্রি। যার নির্মাতা ড্যাসাল্ট এভিয়েশন। ###১১.১২.১৯

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.