--- বিজ্ঞাপন ---

চীনের মোকাবেলায় জাপান ‘অডুবন্ত বিমানবাহী জাহাজ’ কিনছে

0

জাপানের কিউসু দ্বীপ থেকে ২১ মাইল (৩৪ কিলোমিটার) দূরে অনেকটা বিমানবাহী জাহাজের আকৃতির মত দেখতে জনমানবহীন অথচ সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মাগেসিমা দ্বীপ। আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে উৎপত্তির সমুদ্রে এই দ্বীপটিকে একটি ‘অডুবন্ত বিমানবাহী জাহাজ’  হিসেবে ব্যবহার করতে চায় জাপান ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। ভবিষ্যতে জাপান ও মিত্র দেশ আমেরিকা বিমানবাহী জাহাজে উঠানামার  বিমান মহড়া সম্পন্ন করার কাজে ব্যবহার করতে চায় এটিকে।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবীকৃত জাপানের হাতে থাকা সেনকাকু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে ভবিষ্যৎ যে কোন যুদ্ধে এ মাগেসীমা দ্বীপটিতে  জাপানের স্থায়ী ঘাঁটি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে বিভিন্ন দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিরোধের ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ঐ দ্বীপটিতে স্থায়ী ঘাঁটি থাকলে  জাপানের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের মেরীন সেনারাও তা ব্যবহার করতে পারবে। দ্বীপসমূহের মালিকানা নিয়ে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক প্রস্তুতির মুখে আগ্নেয়গিরির লাভা থেকে উৎপত্তি এই দ্বীপটিকে একটি অডুবন্ত বিমানবাহী জাহাজ হিসেবেও ব্যবহার করতে চায় জাপান ও মার্কিন সামরিক বাহিনী। এশিয়া টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত সর্বশেষ এক নিবন্ধে সাংবাদিক ডেভ মেকিচুক এতথ্য তুলে ধরেন।

সামরিক দিক থেকে দ্বীপটির তাৎপর্য অনেক উল্লেখ করে জাপানের প্রধান কেবিনেট সচিব ইয়োশিদ সুগা মন্তব্যে বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন সামরিক দিক দিয়ে এ গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপটি জাপান ও মিত্র দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যবাহার শুরু করলে সামরিক দিক থেকে ভবিষ্যৎে চীনের বিরুদ্ধে সংঘাতে নিজেদের অবস্থান বেশ মজবুত ও সুদৃঢ় হবে। জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার জন্য জনবিরল ব্যক্তি মালিকানাধীন দ্বীপটি ক্রয় করতে গত নভেম্বরে চুক্তিতে পৌঁছায় জাপান। দ্বীপটিতে পুরাতন রানওয়ে উপযোগী ও সচল করলে মার্কিন মেরিন সেনাদের বিমানগুলো বিমানবাহী জাহাজ আইওজিমা শ্রেণীর বিমানবাহী জাহাজের মত  ক্যারিয়ারে ল্যান্ডিং প্রশিক্ষণ নিতে যেখানে বর্তমানে ১৩৬০ কিলোমিটার (৮৫০ মাইল) লাগছে সেটা  ৯৬০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল ) কমে যাবে।

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ওই দ্বীপটি কিনতে ব্যয় হচ্ছে ১৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১১ সালে মার্কিন যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণস্থল জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে মাগেশিমা দ্বীপে স্থানান্তরের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়। সামরিক উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ বলেই টোকিও ডেভলপমেন্ট নামের কোম্পানির টাসুটন এয়ারপোর্ট ব্যক্তি মালিকানাধীন  দ্বীপটিতে বিমান উঠানামার রানওয়ে বানিয়েছিল যা পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। জাপান সরকার কর্তৃক খরিদ করার পর এটিকে একটি অডুবন্ত বিমানবাহী জাহাজ হিসেবেই ব্যবহার করার গুরুত্ব সামরিক দিক থেকে অনেক বেশী।

## শহীদ, ১১.১২.২০১৯ইং।

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.