--- বিজ্ঞাপন ---

বিশ্ব ড্রোন সমরাস্ত্রে তুরস্কের আরেক নতুন আবিষ্কার ‘সোনগার’

0

একের পর এক নিত্য নতুন অস্ত্র আবিষ্কার করার মধ্য দিয়ে বিশ্বের সমরাস্ত্র মার্কেটে তুরস্ক ইতিমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। ড্রোন প্রযুক্তিতে দেশটির বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাতা কোম্পানী বেশ এগিয়েছে। সাম্প্রতিককালে লিবিয়ায় তুরস্কের সরবরাহকৃত অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। তুরস্কের অস্ত্র কোম্পানীর নতুন ড্রোন যুদ্ধে নতুন মাত্রা নিয়ে হাজির হয়েছে। লিবিয়ায় লেসার অস্ত্রের সাহায্যে ড্রোন ভূপাতিত করার অস্ত্রটিও প্রথম ব্যবহার করেছে এই মুসলিম দেশটি। লিবিয়ায় সে দেশের জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারকে অস্ত্র যোগানদাতাদের প্রধান তালিকায় তুরস্ক। অপরদিকে, বিদ্রোহী হাফতার বাহিনীকে অস্ত্রসহ সমর্থন দিচ্ছে মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল, রাশিয়া।
তুরস্কের নতুন ধরনের সাঁজোয়া ড্রোনের নাম দেয়া হয়েছে ‘সোনগার’।এই ড্রোনটিতে সজ্জিত থাকছে মেশিনগান। চলতি মাসে চালু হলে এটিই হবে বিশ্বের সর্বপ্রথম মেশিনগান ড্রোন। ‘নিউসায়েন্টিস্ট’ পত্রিকার সাংবাদিক ডেভিড হাম্বলিং ১২ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এ সংবাদ দিয়েছেন। এ যাবতকালে বিভিন্ন যুদ্ধে রিমোট কন্ট্রোল এসব উড়ন্ত ড্রোনের সাহায্যে গ্রেনেড নিক্ষেপ কিংবা বিস্ফোরক ফেলা হত ।তবে মেশিনগান সংযুক্ত করে নির্ভুল হামলার কাজে ব্যবহারের ধারণাটি এই তুর্কী কোম্পানী সর্বপ্রথম আবিষ্কার করল। বলা হয়েছে, ৪০০ মিটারেরও বেশী দূর থেকে মেশিনগানের গুলি নির্ভুলভাবে টার্গেটে আঘাত হানতে সক্ষম এই নতুন ড্রোন ‘সোনগার’।এটিতে সেন্সর ও রোবট আর্ম সংযুক্ত থাকছে।যা দিয়ে এটি টার্গেট ঠিক হওয়ার সাথে সাথেই নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারবে। ২৫ কেজি ওজনের ড্রোন ‘সোনগার’ এর পাখায় থাকবে ৮টি ব্লেড হেলিকপ্টারের মত। আর মেশিনগানের ম্যাগজিনে গোলা থাকবে ২০০ রাউন্ড। সিঙ্গেল শুট কিংবা একসাথে ১৫ রাউন্ড ফায়ার করতে পারবে এই মেশিনগান ড্রোন।রাতের বেলায়ও এই ড্রোন অপারেশন চালাতে পারবে নাইট সেন্সরের সাহায্যে এক্ষেত্রে ড্রোনটির পাল্লা থাকছে ১০ কিলোমিটার।

 

 

তুরস্কের অস্ত্র কোম্পানী ‘এ্যাসিসগার্ড ’ এই সর্বশেষ অত্যাধুনিক ড্রোনটির নির্মাতা। এই কোম্পানীর মুখপাত্র আইহান সুনার বলেন, তারা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে একই সাথে তিনটি এই নতুন ‘সোনগার’ ড্রোন আকাশে উড়িয়ে পরীক্ষমূলক টেস্ট করেন। এতে দেখতে পান একটি মাত্র রিমোটের সাহায্যে একইসাথে তিনটি ড্রোন সমানভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে সফলভাবে। সফল পরীক্ষায় আরও দেখা গেছে, এই ড্রোন টার্গেটের ২০০ মিটার দূরত্ব থেকে ১৫ সেন্টিমিটার আকারের বস্তুকে শতভাগ নির্ভুলতার সাথে আঘাত হানতে সক্ষম।ভূমিতে থাকা সৈন্যদের উপর আঘাত হানতে এটি একটি নিখুঁত উড়ন্ত অস্ত্র বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পেনসিলভানিয়া স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইন্সটিটিউট এর মুখপাত্র রবার্ট বাংকার বলেন, এধরণের নতুন ড্রোন এর প্রযু্িক্ত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী নকল করে ব্যবহার শুরু করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তিনি বলেন, এ নতুন ড্রোন এর টার্গেট থাকবে প্রহরারত সৈন্য কিংবা রক্ষীদল। অস্ত্র বাজারে এতদিন ড্রোন দিয়ে সাধারণত: বড় বড় লক্ষ্যবস্তু যেমন ভবন, স্থাপনা ইত্যাদিতে আঘাত হানার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুরস্কের নতুন এই আবিষ্কার যু্দ্ধে এবং গোপণ কমান্ডো অভিযানে ড্রোন অস্ত্র ব্যবহারের  গুরুত্বকে আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে দিল। #

আপনার মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.